আ ক ম মোজাম্মেল হক
সব মুক্তিযোদ্ধার কবর একইরকম হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
সব মুক্তিযোদ্ধার কবর একইরকম নকশায় নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, শত বছর পরও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে কবর দেখেই চিনতে পারে এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট ও প্রতিষ্ঠানের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণের উদ্যোগ গ্ৰহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
শনিবার (২ মার্চ) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা জেলা ও মহানগর উইনিট কমান্ড আয়োজিত সংবর্ধনা ও মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভয়ে কথা বলতে পারতেন না।
‘অনেকে তাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে যে সমস্ত প্রমাণাদি ছিল তা পুড়িয়ে ফেলেছেন, মাটিতে পুঁতে রেখেছেন, অনেকে লুকিয়ে রেখেছেন।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে লড়াই সংগ্রাম শুরু করেন বাঙালি জাতি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা এখনো ভুলে যায়নি তারা এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তাই মুক্তিযোদ্ধাকে এক হয়ে তাদের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের আশা মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ৩০ সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবর্ধনা
৮ মাস আগে
ডিসেম্বরের মধ্যে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের আশা মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের তালিকার নীতিমালা তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদে নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা তৈরি করার জন্য আগে কোন আইন ছিল না। বিগত পার্লামেন্টে এই আইন পাশ হয়েছে। এখন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির মাননীয় সভাপতি শাহজাহান খানকে আহ্বায়ক করে তালিকা প্রণয়নের জন্য এবং নিয়মাবলী অর্থাৎ কিভাবে প্রণয়ন করবে তা নির্ধারণের জন্য তাকে দায়িত্ব প্রদান করে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করা যায় ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ৩০ সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবর্ধনা
এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে দলের প্রধান অথবা সাধারণ সম্পাদক কথা বলতে পারেন। আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করবো না। মঙ্গলবার সকালে একদিনের সফরে সিলেট এসে পৌঁছান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি দুপুরে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত করে সেখানকার মসজিদে নামাজ আদায় করেন। বিকেলে হযরত শাহপরাণ (র.) মাজার মসজিদে নামাজ আদায় এবং কবর জিয়ারত করেন।
এরপর রাতে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন শেষে বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের একটি ডেটাবেস হয়েছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর হত্যার অন্তরালে যারা ছিল তাদের বিচার হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
১ বছর আগে
অপরাধীদের একটি ডেটাবেস হয়েছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, অপরাধীদের একটি ডেটাবেস হয়েছে। সেগুলো দেখে ঘৃণ্য অপরাধে জড়িতদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। এ সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সুযোগ্য নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পুজা শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। এর আগে ঈদুল আজহাও আল্লাহর রহমতে সফলভাবে শেষ হয়েছে। অতীতের মতো এবারও তেমন যানজট ছিল না।
তবে রোহিঙ্গাদের নিয়ে উৎকণ্ঠ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, কারণ সীমান্ত এলাকায় তাদের অপতৎপরতা নিয়ে সরকার সচেতন আছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল লোক আছে। যারা মাদক কারবারে জড়িত। মাদক আনা, পাচার করা বা সরবরাহ করছে তারা। সেগুলোর ওপর আরও বেশি কঠোর নজরদারি রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রাত্রিকালীন টহল আরও বাড়াতে ও মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহনীয় হতে বলা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে মাদক আসা বন্ধে কঠোর হতে হবে। যাতে মাদক দেশের ভিতরে আসতে না-পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।
হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়াদের নিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, কিছু লোক এরমধ্যে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে। ধর্মের নামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মতৎপরতা ও উন্মাদনা সৃষ্টিতে জড়িত সংগঠনের সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে যাদের ধরা হচ্ছে, তারাও স্বীকার করে নিয়েছে। সেগুলোর উৎস খুঁজে বের করতে চেষ্টা চলছে। এরমধ্যে অনেকটা শনাক্ত হয়েছে।
যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, ভেজাল ওষুধপত্র কিংবা খাদ্যদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশেষ করে সাইবার অপরাধীরা বিদেশে বসে অপপ্রচার করছে। মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব অপরাধী দেশের বাইরে থাকে বলে তাদের সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেয়া যায়, কীভাবে তাদের শনাক্ত করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টা আমরা গভীরভাবে দেখবো।
বিএনপি মাঠে নামছে, সামনের দিনগুলোতে তাদের কীভাবে মোকাবিলা করা হবে; জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচি দিবেই। তারা মিটিং, মিছিল ও জনসভা করবে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গুরুত্ব দেয়ারও কিছু নেই। কিন্তু আমাদের সেক্রেটারি বলেছেন, আপনারা মিছিল মিটিংয়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে আসেন, তা ভালো কথা। জাতীয় পতাকার যদি নিয়ম মতো কোনো লাঠির মাথায় বেঁধে আনা হয়, তা ঠিক আছে। কিন্তু তা যদি গজারি কিংবা মোটা বাঁশের মাথায় বেঁধে নিয়ে আসেন, তখন তা মানানসই মনে হবে না, মনে হবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনী ও র্যাব অভিযান চালাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে; তা নিয়ে আপনাদের কিছু জানানো হয়েছে কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। তারা কারা-কোত্থেকে এসেছে, তা তদন্ত করে জানা যাবে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা যাবে না। আনুমানিক কোনো কথা বলার সুযোগ নেই।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয় না: মোজাম্মেল হক
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর হত্যার অন্তরালে যারা ছিল তাদের বিচার হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার অন্তরালে যারা ছিল তাদের বিচার হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু পর্দার অন্তরালে যারা ছিলেন, তাদের বিচারের সময় এসেছে। কমিশন গঠন করে সেই সমস্ত মদদদাতাদের খুঁজে বের করে জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। হয়তো অনেকে মারা গেছে, তাদের বিচার হবে না, কিন্ত ইতিহাস তো জানা উচিৎ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জে শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও শোক দিবসের আলোচন সভায় মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: টিকা না দিলে শাস্তি: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা শুধু ব্যক্তির হত্যা ছিল না, বা মুষ্টিমেয় কয়েকজন দুস্কৃতিকারী হত্যা করেছে, তা নয়। এটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ফসল।
মন্ত্রী বলেন, এই দেশে একটি দল এখনও শ্লোগান দেয়, ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। এখনও তারা হত্যা করতে চায়। তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে ষড়যন্ত্র করেই শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। তারেক ছিল তার মদদ দাতা, মাস্টার মাইন্ড।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান ও উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নিজাম উদ্দিন।
২ বছর আগে
জাতীয় উন্নয়নে দেশীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করতে দেশীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রণালয় ও তাদের অধীনস্থ সংস্থাগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দেশের যা কিছু সম্পদ আছে, দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং জনগণ সম্মান অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাঙালিরা এখন মাথা উঁচু করে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াবে।
তিনি আবারও বলেন, ‘আমি জানতাম পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি। আমার সেই বিশ্বাস ছিল। একপর্যায়ে আমি নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করতে পারবে তা দেশ-বিদেশের অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা তা করেছি (পদ্মা সেতু নির্মাণ), এটি কেবল ইট-সিমেন্ট-ইস্পাত-লোহা দিয়ে তৈরি কংক্রিটের অবকাঠামো নয়; এটি আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক।’
তিনি বলেন, এই পদ্মা সেতু আমাদের বিজয় ও সম্মানের প্রতীক, কারণ আমরা বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকারী বিজয়ী জাতি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে হবে হ্যাঁ আমরা পারি। শুধু উন্নত দেশগুলোই পারে না, আমরাও করতে পারি। ইনশাআল্লাহ, আমরা নিজেদেরকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব এবং এটাই আমাদের বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুখী-সমৃদ্ধির দেশ সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার অধিকাংশই তার (আওয়ামীলীগ ) সরকার বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিপুল পরিমাণ অপচনশীল পণ্য পরিবহন করা হবে।
তিনি এসব পণ্যের ভালো ব্যবস্থাপনার জন্য আমিন বাজার, মহাখালী, সায়েদাবাদ/কাঁচপুর এবং পোস্তগোলা/কেরানীগঞ্জে পাইকারি বাজারের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কারওয়ান বাজার এলাকায় চাপ কমাতে আমাদের এগুলো তৈরি করতে হবে।
তিনি রাজধানীর চারপাশে রিং রোড নির্মাণের ওপর জোর দেন, যাতে যানবাহন চলাচল ও পণ্য পরিবহন নির্বিঘ্ন হয়।
বন্যা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বন্যাপ্রবণ দেশ হওয়ায় জনগণকে এর সঙ্গেই বাঁচতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সব পরিকল্পনা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য।’
তিনি আবারও সকলকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তার দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে এবং এভাবে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে চাই যার মাধ্যমে আমরা ক্ষমতা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, সরকার ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছে। ২০০৮ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে জাতি দুটি মেগা ইভেন্ট হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুন: বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত উন্নত দেশে পরিণত করে জনগণের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সরকার ২০২১-২০৪১ এর জন্য একটি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
এর আগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ও সচিবরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজ নিজ এপিএ-এর অনুলিপি হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এপিএ স্বাক্ষর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এপিএ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
চুক্তির অধীনে, মন্ত্রণালয়গুলো সরকারের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের ভিশন, মিশন ও কৌশলগত লক্ষ্য নির্ধারণ করবে এবং বাজেট বরাদ্দ অনুযায়ী স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করবে।
সরকার প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সম্পদের সঠিক ব্যবহার এবং সর্বোপরি, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য সরকারি খাতের জন্য ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে এপিএ পদ্ধতি চালু করে।
এপিএ প্রবর্তনের প্রধান উদ্দেশ্য হল মন্ত্রণালয়ের ফোকাস প্রক্রিয়া-অভিযোজন থেকে ফলাফল-অভিযোজনে নিয়ে যাওয়া এবং বছরের শেষে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সামগ্রিক কর্মক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য একটি উদ্দেশ্যমূলক ও ন্যায্য ভিত্তি প্রদান করা।
এপিএ হল বেসামরিক প্রশাসনের শীর্ষ থেকে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত একটি অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া, যাতে সরকারি কর্মকর্তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়। যার লক্ষ্য তাদের বার্ষিক কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করা এবং দায়িত্বের প্রতি তাদের দায়বদ্ধ করা।
সরকার মন্ত্রণালয় ও তাদের অধীনস্থ সংস্থাগুলোর সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষর করে। যার মধ্যে সরকারের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অফিসগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিজয়ীদের মধ্যে এপিএ এবং জাতীয় সততা সেবা পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে কুয়েতের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতেই সাম্প্রদায়িক নৈরাজ্য: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
দেশকে পাকিস্তানের মত অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতেই সারাদেশে সাম্প্রদায়িক নৈরাজ্য বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর সদরের সার্কিট হাউসের পাশে কালেক্টরেট হাই স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আরও বলেন, অতীতে আপনারা দেখেছেন দেশ এবং বিশ্ববাসী দেখছে যখনই দেশ এগিয়ে যায় তখন এই অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য বিশেষ এক শ্রেণি যারা আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারে নাই, প্রত্যক্ষভাবে বিরোধীতা করেছে সেই অপশক্তিরাই এই দেশকে তাদের সাধের পাকিস্তানের মত অকার্যকর, ব্যর্থ রাষ্ট্র করার জন্য বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মানুষের ধারণা, এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। অচিরেই প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা হবে এবং সবাই সেটি জানতে পারবে।
এর আগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ করা প্রয়োজন: জাতিসংঘ
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলা: ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৩ বছর আগে
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ
প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার বিকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলন এ তালিকা প্রকাশ করেন।
এই প্রকাশিত তালিকা আজকেই মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার আবাসন নির্মাণ করবে সরকার
মন্ত্রী বলেন, আরও যাচাই বাছাই এবং আপিল শুনানি শেষে ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে যাচাই বাছাইধীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা পরের ধাপ ৩০ জুন প্রকাশ করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গ্যাজেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা আবেদন করতে পারবে না। যারা আগে আবেদন করে রেখেছেন তারা শুধু রিভিউ ও আপিল করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণশহীদদের কীভাবে সম্মানিত করা যায় সেটা আমরা ভাবছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা গ্যাজেট তালিকা ইতোমধ্যেই বাতিল কার হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বেড়ে হবে ২০ হাজার টাকা: প্রধানমন্ত্রী
‘সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের গ্যাজেট প্রকাশটা বিতর্কিত ছিল। তবে তাদের ভাতা এখনও চালু আছে। বাহিনীর মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কারা যাচাই বাছাই চলছে। আমাদের ধারণা ৮-১০ হাজার সঠিক মুক্তিযাদ্ধা হবে এবং ৫-৭ হাজার কোন যুদ্ধই করেনি,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকাশিত তালিকায় যদি কারও কোন তথ্যে মিল না থাকে তাহলে ভাতা পেতে বিভ্রান্ত হতে পারে। সেজন্য আমরা একবছর যাচাই বাছাই করেছি। শতবাগ নির্ভুল করার জন্য সময় নিয়েছি। তারপরও ভুল থাকতে পারে। তবে সেই ভুল তেমন বড় কোন কিছু হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৫ জনের নাম প্রকাশ করা হল। বাকিদের যাচাই বাছাই করে মোট ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হবে না।’
তালিকায় জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোস্তাকের নাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোস্তাকের নামসহ এই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আছে। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কিন্তু অপকর্মসহ যেমন বঙ্গবন্ধুর খুনের সহযোগিতা ও খুনি হিসেবে তাদের নামের পাশে তাদের কর্ম উল্লেখ থাকবে।
‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটি যার যার অর্জন। সেটা কেউ বাতিল করতে পারবে না। তবে তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে। খেতাবটা একটি সম্মান। সেটি যেকোন সরকার সম্মান দিতে পারেন, আবার চাইলে যেকোন অপারাধের জন্য ফিরিয়ে আনতে পারেন,’ বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নাম বাদ, শোকেই মৃত্যু
৩ বছর আগে
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগে গৃহহীনদের বাসস্থান নিশ্চিত করা হবে: মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই দেশের সকল গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করা হবে।
৪ বছর আগে
৬৩ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে: মন্ত্রণালয়
দেশের ৬৩ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ঢাকা জেলা ও ৩০ উপজেলায় নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৪ বছর আগে
রাজাকারের ত্রুটিপূর্ণ তালিকা: সংসদে তোপের মুখে মন্ত্রী
রাজাকারের ত্রুটিপূর্ণ তালিকা প্রকাশের ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক দায় এড়াতে পারেন না বলে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য।
৪ বছর আগে