বুধবার দুপুরে বেঁধে দেয়া সেই সময়সীমা শেষ হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন ভূইয়া। পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আর কউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় লাগাতার কর্মসূচি পালনের পদক্ষেপ নিয়েছে রায়হানের পরিবার।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ, শুক্রবার বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে রায়হানের জন্য দোয়া মাহফিল ও শনিবার বিকেল ৪টায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মদিনা মার্কেট পয়েন্টে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
পরিবারের পক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়হানের স্বজন মো. শওকত হোসেন।
এ সময় ঘোষিত এসব কর্মসূচি সফল করতে সিলেটের সর্বস্তরের জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামের অভিযুক্তরা গেপ্তার না হলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা আপাতত কঠোর কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি। তবে প্রশাসন যদি জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয় তাহলে নতুন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে বুধবার দুপুরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সিলেটের কর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামে এক যুবক। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।