বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে অভিযোগের শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মিন্নি ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন- রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।
আগামী ৮ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম।
অভিযুক্তদের মধ্যে মুসা পলাতক রয়েছেন। এছাড়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টের জামিনে আছেন।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
শিশু অপরাধী হিসেবে চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলো- রাশিদুল হাসান রিশান ওরফে রিশান ফরাজী (১৭), রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫), আবু আবদুল্লাহ ওরফে রায়হান (১৬), ওলিউল্লাহ ওরফে অলি (১৬), জয় চন্দ্র সরকার ওরফে চন্দন (১৭), মো. নাইম (১৭), তানভীর হোসেন (১৭), নাজমুল হাসান (১৪), রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫), সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিবুল্লাহ (১৭), মারুফ মল্লিক (১৭), প্রিন্স মোল্লা (১৫), রাতুল শিকদার জয় (১৬) ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবন (১৬)। কিশোর আসামি প্রিন্স মোল্লা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বাইরে আছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রিফাতকে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।