এসময়ে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ মাস্টারকে কেন্দ্র করে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আ’লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড চলতে থাকে। এছাড়া মেঘনা নদীর পাড়ে অবৈধ মাছের আড়ৎ ও ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কোন্দাল আরও সক্রিয় হয়ে উঠে।
এ ঘটনায় কয়েকবার সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আহত ও পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলাও হয়েছে। এমতাবস্থায় আ’লীগ নেতা ওসমান খাঁ ও আলাউদ্দিন খাঁ আলতাফ মাস্টারর সাথে বিরোধ মিটিয়ে ফেলেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে ওসমান খাঁ গ্রুপ রুহুল আমিন খলিফার অনুসারী এক কর্মী 'খাসেরহাট স্বাধীন হয়েছে ও প্রয়োজনে আবার স্বাধীন হবে' এমন লেখাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে ফেসবুকে হুমকি-ধমকি শুরু হয়। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে রুহুল আমিন ও রাশেদ খলিফার নের্তৃত্বে সাত-আটজন কর্মী আলতাফ মাস্টারের কার্যালয়ের সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে।
এসময় বাধা দেয়ায় আরও ১৫ জন কর্মীকে পিটিয়ে আহত ও কার্যালয়সহ মাস্টারের একটি পাইভেটকার ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।
রুহুল আমিন ও রাশেদ খলিফা বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আ’লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে দলীয় সভা করছিলাম। এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ মাস্টারের ভাতিজা আলাউদ্দিন মিথ্যা অজুহাতে ঝগড়া লাগিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছে। আমাদের ছয় নেতা-কর্মী লক্ষ্মীপুর ও ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, ‘উভয়পক্ষের লোকদের শান্ত রাখতে রাত থেকেই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তবে শনিবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’