এ সময় তার গলায় জুতার মালা ও ঝাড়ু পরিয়ে উল্লাস করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
এ ঘটনায় কিশোরের নানি আলেয়া বেগম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে সদর থানায় মামলা করেছেন। সেই সাথে পুলিশ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সন্ধ্যায় শহরের বাঞ্চানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাশেদ ও ইসমাইল হোসেন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে দোকান থেকে টাকা চুরির অভিযোগে মৃত কিরণ হোসেনের ছেলে কর্মচারী নিরবকে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতন চালায় দোকান মালিক রাশেদ, কামাল ও ইসমাইলসহ অন্যরা। এরপর নিরবের গলায় জুতার মালা ও ঝাড়ু পরিয়ে ঘুরানো শেষ তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পরে ওই দিন রাতেই সালিশ বৈঠকের কথা বলে নিরবকে থানা থেকে নিয়ে আসেন দোকান মালিক। রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সালিশে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু নানি আলেয়া এতিম ওই কিশোরের দায়িত্ব নিতে রাজি না হওয়ায় আবারো হট্টগোল শুরু হয় এবং দ্বিতীয়বার তাকে মারধর করা হয়। পরে রাতে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কিশোর নিরব হোসেনকে নির্যাতনের ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’