শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া গ্রামে হাজী মাওলানা আহম্মদ উল্লাহ মাদরাসা কমপ্লেক্স ও এতিমখানায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে মাদরাসার কর্তৃপক্ষ দাবি করছে।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যবাহী ‘ঢোল সমুদ্র’ দিঘির পাড়ের গাছ কেটেছে দুর্বৃত্তরা
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো ভোরে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে। এ সময় খাবার ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে তারা। এর আগে মাদরাসার বাইরে অজ্ঞাত মানুষের কথাবার্তাও শোনা যায়। পরে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় শিক্ষকরা আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশকে আগুনের বিষয়টি জানালে পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
পরে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এর আগেই চাল-তরকারি, ফ্রিজ ও আসবাবপত্রসহ খাবার ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মাদরাসার নিরাপত্তা দেওয়ালের ওপর দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় বলে দাবি করছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত, স্ত্রী আহত
মাদরাসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘কে বা কারা আগুন দিয়েছে আমরা দেখিনি। তবে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে সাইফ উদ্দিন ও আবদুল মালেকদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতার জের ধরে তারাই আগুন লাগিয়ে মাদরাসার খাবার ঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে সাইফ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। মাদরাসার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি আমার জানা নেই। আমরা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা পাওনা আছি। ওই টাকা চাওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে মিথ্যা অভিযোগ আনছে তারা।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিস্তারিত ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।’
আরও পড়ুন:লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ১
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ওয়াসি আজাদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনে সূত্রপাত হতে পারে। আগুনে দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হতে পারে। তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানানা তিনি।