লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন।
কমলনগর তোরাবগঞ্জের উত্তর চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমদ রতন ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মির্জা আশরাফুল জামাল রাসেল সমর্থকদের মধ্যে ধায়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর গাড়িসহ ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে কেন্দ্রের বাইরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া মধ্য চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তোরাবগঞ্জ ইসলাম পাড়া আনসার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, আহত ১০
অপরদিকে, রামগতির পোড়াগাছার কোডেক কলোনীর নোমানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচজন আহত হয়। একই উপজেলার চররমিজ ইউপির উত্তর পূর্ব চর আফজাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজাদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও চররমিজ দক্ষিণ পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হামলা, পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে আরও ১০ জন আহত হয়।
আহতদের রামগতি, কমলনগর ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চরবাদাম, হাজিরহাট ও চরফলকন ইউপির কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।।
বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রতিটি ভোট কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কা সিল মারার অভিযোগ করেছেন।
তোরাবগঞ্জ ইউপির আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমদ রতন অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ, প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে নৌকা মার্কায় সিল মারা হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হয়নি।’
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
সোমবার (২১ জুন) লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে এবং রামগতি ও কমলনগরের ৬ ইউপিতে ব্যালটে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংসদীয় আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও লাঙল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ ফায়েজ উল্লাহ শিপন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২ হাজার ৯৬৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪ হাজার ৬৬৪জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯৮ হাজার ২৯৯ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৬টি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উত্তর টুমচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এসে শতভাগ জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের জানান, নির্বাতি হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন।
মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ও পুলিশ সুপার ড. এএইচ এম কামরুজ্জামান বলেছেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। কোথাও কোন ধররনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।