অভিযুক্ত চন্দন চন্দ্র (২৩) সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের মধুরাম গ্রামের জগদীশ চন্দ্রের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, স্বামী কাজের সন্ধানে বাড়ির বাইরে থাকায় গত সোমবার দুপুরে গৃহবধূ বাড়িতে একা ছিলেন। এ সুযোগে তার প্রতিবেশী যুবক চন্দন চন্দ্র বাড়িতে প্রবেশ করে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে ধর্ষক চন্দন চন্দ্র পালিয়ে যায়।
দিনভর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে গোপনে সালিশ বৈঠকের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় চন্দনের পরিবার।
মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্ত করে গৃহবধূকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার গৃহবধূ বাদী হয়ে সদর থানায় চন্দন চন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ।
তবে অভিযুক্ত যুবক চন্দনের পরিবারের দাবি, ‘জোরপূর্বক নয়, চন্দন ছিল গৃহবধূর পরকীয়া প্রেমিক। লিভ টুগেদার করতে গিয়ে গৃহবধূর ননদ (স্বামীর বোন) হাতে নাতে দেখে ফেলায় বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে।’ এটি ধর্ষণ নয় বলেও দাবি করেন চন্দনের পরিবার।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘গৃহবধূর দায়ের করা অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’