রবিবার দুপুরে আমলি আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগমের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের জুয়েল হোসেনের ছেলে মোতাহার হোসেন (২১), একই গ্রামের সহিদার রহমানের ছেলে আমির হোসেন (৩০), বুড়িমারী লাইনেরপাড় গ্রামের জুয়েল রানার ছেলে বিপ্লব হোসেন লিমন (১৯) ও একই গ্রামের বানার উদ্দিনের ছেলে আতিয়ার রহমান পাইয়া (৩৫)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, আবু ইউনুস মো. শহিদুন্নবী জুয়েল হত্যায় দায়ের করা হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনে হামলার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গত ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ওই চারজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, তদন্তে ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুরের ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় তাদের গ্রেপ্তারর দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। রবিবার আদালত শুনানি শেষে চার আসামির প্রত্যেককে দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে ২০ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। যার মধ্যে শেষের চারজন ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর ও লুটপাট মামলায়। অন্য ১৬ জনকে হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়।
জুয়েল হত্যার ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলায় পুলিশ ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। যার মধ্যে মূলহোতা বুড়িমারী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন ডেকোরেটর এবং মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৯ অক্টোবর বুড়িমারী বাজারের বাসকল এলাকায় শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।