বুধবার দুপুরে সুলতানপুর বড় বাজারের আলমগীর স্টোর্সের গুদামে এ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ৬২ রকমের প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়।
অভিযানে আটক হাজী আলমগীর হোসেনকে (৪৫) ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তিনি শহরের পলাশপোল এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল আমিন জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) দেয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত শহরের সুলতানপুর বড়বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় আলমগীর স্টোর্সের গুদাম থেকে বিএসটিআই অনুমোদনহীন জনসন বেবি পাউডার, ক্রিম, লেকমি ক্রিম, ফগস পারফিউম, ক্লিন অ্যান্ড ক্লিন ক্রিমসহ ৬২ রকমের চার হাজার ৫৬টি নকল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়। ওই সব পণ্যের গায়ে কোনো বিএসটিআইর সিল নেই। নামিদামি কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে খুচরা ও পাইকারি দামে তা বিক্রি করতেন ওই ব্যবসায়ী।
জব্দকৃত প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ওই পণ্য নষ্ট করে ফেলা হবে বলেও জানান তিনি।
নিজের দোষ স্বীকার করে ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, ঢাকার চকবাজার থেকে ওইসব নিম্নমানের প্রসাধনী ও নামি কোম্পানির স্টিকার কিনে এনে তা খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করতেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযানে এনএসআইয়ের সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক জাকির হোসেন, র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বজলুর রশীদ ও সুলতানপুর বড়বাজার কসমেটিকস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।