ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদাভাবে আইসোলেশন কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের নিচ এবং দ্বিতীয় তলায়।
মেডিকেল সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দুটি কক্ষে চারটি শয্যা, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া ‘বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র’ ভবনের দ্বিতীয় তলায়ও আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি।
অধ্যাপক কবীর বলেন, ‘কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসোলেশন কেন্দ্র নয়, সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালসহ অন্য হাসপাতালগুলোতেও আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারাও যদি করোনায় আক্রান্ত হন তারা মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন।’
মেডিকেল সেন্টারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্নতমানের ওষুধ কেনা হচ্ছে এবং গুণগত মান ধরে রাখতে ওষুধ রাখার কক্ষ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করার পাশাপাশি ওষুধ সেবা ব্যবস্থা কম্পিউটারাইজড করা হচ্ছে।
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য শাবি পরিবারের কাউকে বাইরে যেতে হবে না। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি। আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেডিকেল সেন্টার থেকে উন্নতমানের সেবা পাবেন। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমরা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’