গত ২৪ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানানো হয়, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের না জানিয়ে গ্রাম পুলিশ-চৌকিদারদের দিয়ে বয়স্ক ভাতা, জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উপকারভোগীর তালিকা তৈরি করেছেন ইউএনও।
এছাড়া, চেয়ারম্যান মেম্বরদের সাথে খারাপ আচরণ ও মানহানিকর মন্তব্য করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তানভীর রহমান।
কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে জনপ্রতিনিধিদের সাথে কোনো পরামর্শ ছাড়াই স্বেচ্ছাসেবক গঠনের নামে বিএনপি জামায়াত-শিবিরদের দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পিএ মো. জহির রায়হান একই উপজেলার কাতলী গ্রামের বাসিন্দা এবং রাজাকারের সন্তান বলে জানা যায়। তাকে দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অসহায় ও কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদাবাজি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়াও ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিল উত্তোলন, ওভারল্যাপিংয়ের মাধ্যমে পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের বিল উত্তোলন এবং নির্বাহী কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেই তিনি নানা উপায়ে হয়রানি, হুমকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগকারী চেয়ারম্যানরা তাদের লিখিত বক্তব্যে জানান।
অভিযোগকারী চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আইনগত শাস্তি ও বদলির দাবি জানান। অন্যথায় গণ আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।
অভিযোগর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তানভীর রহমান বলেন, ‘আমার কর্মকাণ্ড কারও ভালো না লাগলে যে কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারেন। অভিযোগ দিয়েছে যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে আমার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবে। এ বিষয়ে আমার কোনো দ্বিমত নেই। তবে আমার বিরুদ্ধে যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সেটি একেবারেই ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভিত্তিহীন।’