সংশ্লিষ্টরা জানায়, ইতোমধ্যেই ব্রাহ্মণগ্রাম, আড়কান্দি ও জালালপুরের জায়গা জমিসহ বহু গাছপালা নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। অনেক পরিবার ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিনে এনায়েতপুর থানার খুকনী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম, আড়কান্দি ও জালালপুরে ভাঙন শুরু হয়েছে এবং নদীতীর সংরক্ষণ কাজের দুটি এলাকার বেশ কিছু অংশ ধসে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় ভয়াবহ গর্জন ও ভাঙন দেখে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার বিকাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণগ্রামে ডাম্পিং করা জিও ব্যাগের দুটি স্থানে প্রায় ২৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং ইনস্টিটিউড, দেশের সর্ববৃহৎ এনায়েতপুর তাঁত কাপড়ের হাট, আঞ্চলিক সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তাঁতকারখানাসহ বহু ঘরবাড়ি।
যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে ওঠায় পশ্চিম তীরে এনায়েতপুর এলাকায় তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। এ কারণে অসময়ে এই নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা নদীর তীরবর্তী এনায়েতপুর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে শুনেছি। ওই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তুতি চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।’