সোমবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর গ্রামের জাহাবক্স দালালের ছেলে গোলাম রব্বানী(৬২), তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানাধীন শাকদাহ গ্রামের সামছুদ্দিন সরদারের ছেলে মৃত ইউনুস আলী (৪২) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুস্তুম আলী (৭০)।
এদিকে, সাতক্ষীরায় একই পরিবারের ৩ জনসহ নতুন করে আরও ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন ইউনুছ আলী। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মারা যান।
রবিবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের রুস্তুম আলী। সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।
এর আগে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়া নিয়ে রবিবার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি হন কৃষক গোলাম রব্বানী (৬২)। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ১১টার দিকে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তিনি মারা যান।
মৃত তিনজনেরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের বাড়ি লকডাউন করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ডা. জয়ন্ত সরকার।
এ নিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার ১২টি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
সাতক্ষীরায় নতুন করে একই পরিবারের ৩ জনসহ আরও পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
সোমবার বিকালে করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার বলেন, এ নিয়ে জেলায় ১০০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।