করোনা উপসর্গ
করোনা উপসর্গে দিনাজপুরে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫১.৫১ শতাংশ
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিস্তারে দিনাজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন রোগী মারা গেছেন।
একই হাসপাতালে ২৫ জনসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। এ নিয়ে জেলার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৯ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৩৪ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এতে করে শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ। মেডিকেল কলেজের স্যাম্পল কালেকশন বুথে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। গেল ডিসেম্বর পর্যন্ত বুথ প্রায় ফাঁকা ছিল।
এছাড়া জেলায় নমুনা পরীক্ষা ছাড়াও টিকার পাশাপাশি চলছে বুস্টার ডোজ গ্রহণ।
আর পড়ুন: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
এদিকে, করোনার বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য বিধিসহ অন্যান্য শর্ত মেনে চলতে মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছে করোনা প্রতিরোধ কমিটি। মাস্ক না পরার কারণে শনিবার (২২ জানুয়ারি) খানসামা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কয়েকজনকে আর্থিক জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
২ বছর আগে
করোনা: ফরিদপুরে আরও ২ মৃত্যু
কয়েকদিন আগে মৃতের হার শূন্যে নামার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরে আবারও দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরও একজন।
সোমবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১৬ জনে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। উপসর্গে মারা গেছেন আরও একজন।
একই সময়ে পিসিআর ল্যাবে ২৬০ নমুনা পরীক্ষার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৬১ জন। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গত এক সপ্তাহ ধরে এই হার ২০ শতাংশের নিচে ছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২২ কোটি ৪৬ লাখ ছাড়াল
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি ঠিকভাবে না মানলে শনাক্ত ও মৃতের হার আবার বাড়তে পারে।
জেলা সিভিল সার্জন অরুণ কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা বাড়ায় সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু মানুষ আবার স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু করায় শনাক্তের হার আবার বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা চলবে না।‘
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান বলেন, ‘এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৯ জন। এছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন আরও ১১ রোগী।‘
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনায় ২ মৃত্যু
৩ বছর আগে
রামেকে করোনা ইউনিটে আরও ৯ মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টার মধ্যে করোনা ইউনিটে এই ৯ জনের মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর চারজন, নাটোরের দুজন, নওগাঁর একজন ও মেহেরপুরের একজন।
এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। যাদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে দুজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে একজন।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ইউনিটে নতুন রোগি ভর্তি হয়েছে ১৬ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ জন। বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ২৬১ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ২০ জন।
৩ বছর আগে
রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১১ মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ইউনিটে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাত এবং উপসর্গ নিয়ে আরও চারজন মারা গেছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের দুজন, নওগাঁ একজন ও পাবনা দুজন। এদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও চারজন নারী।
মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে দুজন এবং শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সের মধ্যে একজন শিশুর মৃত্যু হয়।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪২ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৪ জন। সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কোভিড ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৩৯৯ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১৯ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে করোনা ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের ‘অক্সিজেন বন্ধু রুহুল’
করোনায় কর্মহীনদের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দাবি
করোনা: ২২৫ জনের দাফন করেছে চাঁদপুর ইসলামী আন্দোলন
৩ বছর আগে
বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্ত ৩০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২০
বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮২২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্ত ৩০ হাজার ৫৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, একই সময়ে বিভাগে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২০ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বাকিরা উপসর্গে মারা গেছেন। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের মধ্যে ১৬ জন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় ২৯৩ জন, পটুয়াখালীতে ১১৭, ভোলায় ১২০, পিরোজপুরে ১৩৫, বরগুনায় ৮৮ এবং ঝালকাঠিতে ৬৯ জন রয়েছে।
পড়ুন: করোনা: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চিকিৎসা সামগ্রী উপহার
রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ২১ মৃত্যু
এদিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০০ বেড বিশিষ্ট করোনা ইউনিটে মঙ্গলবার ২৫৭ জন ভর্তি রয়েছেন, যার মধ্যে ১১৭ জনের করোনা পজিটিভ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ইউনিটে ৪৬ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
৩ বছর আগে
কিশোরগঞ্জে করোনা ও উপসর্গে ১৫ জনের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া এসব ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তিনজন মারা গেছেন বাড়িতে।
এদিকে জেলায় নতুন করে ১২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ৫৯ জন। ফলে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বর্তমান রোগীর সংখ্যা ৬০ জন বেড়েছে।
আগের দিন জেলায় করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল ১৪১৬ জন। এখন জেলায় বর্তমান রোগীর সংখ্যা মোট ১৪৭৬ জন।
পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ১৯ লাখ ছাড়াল
কুষ্টিয়ায় একদিনে আরও ১৪ মৃত্যু
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে দুজন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার, দুজন ভৈরব উপজেলার, একজন কুলিয়ারচর উপজেলার এবং একজন নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। একমাত্র অষ্টগ্রাম উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনও মৃত্যু নেই।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। এরপর গত ১৯ জুন থেকে সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ৭৩ জন সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
৩ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৮ মৃত্যু
করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১৫ ও উপসর্গ নিয়ে তিন জন মারা গেছেন।
এর আগের শুক্রবার আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় প্রাণ গেল ইবি শিক্ষার্থীর
জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৯২ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৯২ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরো ১০০ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে ও করিডোরে রাখতে হচ্ছে। হাসপাতালে এখন করোনা রোগীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৮৯টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ হাজার ৬০ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৯ জন। এনিয়ে মারা গেছেন ৩১০ জন।
নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৭৬ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৯৭ জন, দৌলতপুরের ১৮, কুমারখালীর ১৭, ভেড়ামারার ৩৭, মিরপুরের তিন ও খোকসা উপজেলায় চার জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় ৭০ হাজার ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৭ হাজার ২৮৩ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার তিন হাসপাতালে করোনায় ১৫ মৃত্যু
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৮ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ১০৩ জন।
৩ বছর আগে
বরিশালে একদিনে সর্বোচ্চ ৪৫৯ শনাক্ত
বরিশাল বিভাগে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ ৪৫৯ জন শনাক্ত হয়েছেন, এর আগে সোমবার আগের ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৩৬ জন। এনিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ হাজার ৫৩২ জনে।
এছাড়া একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের এবং আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গেল ২৪ ঘন্টায় বরিশাল বিভাগে ৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩২৬ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড শনাক্ত, মৃত্যু ৪০
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ১৯ হাজার ৫৩২ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯৪ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ শনাক্ত ১৭৮ জন নিয়ে মোট ৮ হাজার ৫৩০ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৩৬ জন নিয়ে মোট ২ হাজার ৬১৯ জন, ভোলায় নতুন ১৪ জনসহ মোট ২ হাজার ১১৭ জন, পিরোজপুরে নতুন ৮৪ জন নিয়ে মোট ২ হাজার ৫৮৩ জন, বরগুনায় নতুন ৪৩ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৫৭২ জন এবং ঝালকাঠিতে নতুন ১০৪ জন নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১১ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত ১৮ কোটি ৪১ লাখ ছাড়াল
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সাতজনের এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১৮ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৬১ জনের মধ্যে ২৯ জনের কোভিড পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৩ মৃত্যু
হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫৪ জন ও করোনা ওয়ার্ডে তিনজন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৩৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ৪৬ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৯০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।
৩ বছর আগে
রামেকের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আটজনের করোনা পজিটিভ ছিল। বাকিরা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। তাদের মধ্যে আটজন পুরুষ ও চারজন নারী। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর তিনজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাতজন এবং নাটোর ও নওগাঁর একজন করে।
এ নিয়ে চলতি মাসের গত ১৫ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১৫ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৪৮ জন। এর মধ্যে ৮৮ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: রামেক হাসপাতালের করোনায় ১২ মৃত্যু
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আট, নাটোরের চারজন, নওগাঁ পাঁচজন ও কুষ্টিয়ার দুজন। একই সময় সুস্থ হয়েছে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৩ জন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন শুরু
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ হাসপাতালের ২৭৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩২৫ জন। অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে ৫২ জন রোগীকেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ১৮৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮২, নাটোরের ১৭, নওগাঁর ২৬, পাবনার চার, কুষ্টিয়ার ছয় ও চুয়াডাঙ্গার একজন।
৩ বছর আগে
দেশে করোনায় আরও ১৯ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৮৮৪
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ১৯ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৯৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
৩ বছর আগে