প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের ধারণা ফুটফুটে শিশুটিকে জিনে নিয়ে গেছে।
এদিকে, নানির বাড়িতে আশ্রয় নেয়া ফাতেমা খাতুন তার ছেলে সন্তান সোহানকে হারিয়ে অনেকটা বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। প্রতিবেশীরা ঘটনাটি জানতে ওই বাড়িতে ভিড় করছে। সেখানে চলছে কান্নার রোল।
কবিরাজ বলেছে শিশুটিকে জিনে নিয়ে গেছে এবং কয়েকদিন পরেই ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
দু’বছর ধরে নানির বাড়িতে থাকা ফাতেমার কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়িতে কিছুদিন থাকার পর পারিবারিক কলহের কারণে আবারও স্বামীকে নিয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় নানির বাড়িতে। গত ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহরের আনোয়ারা ক্লিনিকে জন্ম নেয় তাদের একটি ছেলে সন্তান। শিশুটির নাম রাখা হয় সোহান হোসেন।
এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গত ২৫ নভেম্বর বুধবার তারা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়। কে বা কারা তাকে চুরি করে নিয়ে গেছে কেউ বলতে পারছেন না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে তারা এক কবিরাজের আয়না ভরনে জানতে পারেন, শিশুটিকে জিনে নিয়ে গেছে। সেখানে সে নাকি ভালো রয়েছে এবং কদিন পরেই তাকে ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। প্রত্যন্ত গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো তারই অপেক্ষায় যেন প্রহর গুনছে।
শিশুটির মা ফাতেমা খাতুন জানান, দুপুরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে তার বাচ্চা নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।