সিরাজগঞ্জ থেকে গো-খাদ্য বোঝাই ছিনতাই হওয়া ট্রাক কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার চর রূপপুর গ্রামের খেরুমালের ছেলে নাছিম আল মাল ওরফে রাজু (২১), পাবনা জেলা সদরের তিনগাছা রাজাপুর গ্রামের নজরুল মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা ওরফে রকিব (১৯), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার তারা সোনিয়া গ্রামের মৃত রহমত মোল্লার ছেলে ইমরান আলী মোল্লা (৫০), একই উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মো. রাব্বানের ছেলে রাজু আহম্মেদ (২৮), একই গ্রামের মৃত সেকেন প্রামাণিকের ছেলে শাহাবুল ইসলাম (৩০), গাছের দিয়ার (টলটলিপাড়া) নাসির উদ্দিনের ছেলে রোকনুজ্জামান (২৩) ও সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানগড়া জগাইর মোড় মহল্লার নূর ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ (২৮)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ১১ দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর থানা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা বন্দর থেকে ৪০৫ বস্তা গো-খাদ্য বোঝাই একটি ট্রাক ১৮ মে রাতে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার কাজিপুর মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে রেখে চালক ও হেলপার ঘুমিয়ে পড়লে ডাকাতেরা ট্রাকে উঠে চালক-হেলপারকে মারপিট করে ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের সার্কিট হাউজের পেছনে নামিয়ে দিয়ে ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। চালক ও হেলপার ১৯ মে ভোরে বিষয়টি থানায় জানালে ট্রাকটির মালিক আব্দুল মালেক খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ওই দিনই তিনি থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলা দায়েরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের মাধ্যমে তদন্ত শুরু করা হয়। এরপর বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ মে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা এলাকা থেকে ওই ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আসামি শাহাবুলের বাড়ি থেকে ৮৭ ও রোকনুজ্জামানের বাড়ি থেকে ২৩৫ সহ মোট ৩৪২ বস্তা ডাকাতি করা গো-খাদ্য উদ্ধার করা হয়।
স্নিগ্ধ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তারর আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে কোথায় কতগুলো মামলা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী এবং ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।