ডাকাত
হবিগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
হবিগঞ্জে লাখাইয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে হিরাজ মিয়া নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় জনতার হাতে আব্বাছ মিয়া নামে আরও এক ডাকাত আটক হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলায় লোকড়া-মাদনা সড়কের ঝনঝনিয়া সেতু এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, গুলিবিদ্ধ ৫
নিহত ডাকাত হিরাজ সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে এবং আব্বাছ একই গ্রামের মস্তু মিয়ার ছেলে।
লাখাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হায়দার বলেন, মঙ্গলবার রাতে ৮ থেকে ১০ জন ডাকাত লুকড়া-মাদনা সড়কের গোয়াখাড়া গ্রামের ঝনঝনিয়া ব্রীজের পাশে অবস্থান নেয়। ডাকাতদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে এলাকার লোকজন ডাকাতদেরকে ধাওয়া করে হিরাজ মিয়া ও আব্বাছ মিয়াকে আটক করে গণপিটুনী দেয়।
খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ডাকাতকে উদ্ধার করে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঐদিন রাত ৩টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক হিরাজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হিরাজ মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
মানিকগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
৭ মাস আগে
সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে চার যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর আহত আরও এক যুবককে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে গণপিটুনি, যুবক নিহত
রবিবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরি গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-খ) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, রবিবার রাতে বাগরি গ্রামের বিলে একসঙ্গে ১০/১২ জন যুবককে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা গ্রামে এসে জানায়। এরপর মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের উপস্থিতির কথা প্রচার করা হয়।
এসময় আরও তিন গ্রামের বাসিন্দারা বিলের সামনে জড়ো হয়ে যুবকদের ঘিরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেওয়া শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজনর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
পাবনায় গণপিটুনিতে নিহত ৩
৮ মাস আগে
গাজীপুরে ডাকাতের হামলায় ২ পুলিশ আহত, গাড়িচাপায় ডাকাতের পা বিচ্ছিন্ন
গাজীপুরের শ্রীপুরে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় চলন্ত গাড়ির নিচে চাপা পড়ে এক ডাকাত সদস্যের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রবিবার(৩ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের হাসিখালি সেতু এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- শ্রীপুর থানায় কর্মরত কনস্টেবল মো. রুহুল আমিন ও মো. সেলিম। তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ডাকাত দলের সদস্য রুবেল মিয়া শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনায়েত কবির জানান, এএসআই আলিমের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ মাওনা ইউনিয়নে টহল দেওয়ার সময় জানতে পারে মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের সিংগারদিঘী গ্রামের হাসিখালি সেতুতে গাছের গুঁড়ি ফেলে ডাকাতি করা হচ্ছে।
ডাকাতির সময় পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা রামদা দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। এতে এক পুলিশ সদস্য মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন, অপরজনের হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়েছে ৩টি ঝুটের গোডাউন
তিনি আরও জানান, এরপর পুলিশের অন্য সদস্যরা ধাওয়া দিলে ডাকাত দলের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ির নিচে চাপা পড়ে রুবেল নামে এক ডাকাত সদস্যের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারাহ বিনতে ফারুক জানান, আহত দুই পুলিশ সদস্য ও অপর এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মদপানে ২ জনের মৃত্যু
৮ মাস আগে
৯৯৯-এ ফোন: নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় পাইপগান ও অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বেগমগঞ্জ থানার কোয়ারিয়া আট নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বাস পোড়ানোর ঘটনায় ‘বিরোধী দলের’ ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে ডাকাতির বিষয়টি টের পেয়ে একজন কলার পুলিশের জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯- নম্বরে ফোন করেন।
ফোনে কলার বলেন, এলাকায় অস্ত্রসহ দুই ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। অস্ত্রধারীরা যে বাড়িতে অবস্থান নেয় এলাকার লোকজন সেই বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে। এ তথ্য জানিয়ে কলার দ্রুত পুলিশী সহায়তার অনুরোধ জানান।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মাসুদ রানা।
কনস্টেবল মাসুদ তাৎক্ষণিকভাবে বেগমগঞ্জ থানায় বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এএসআই মিজানুর রহমান কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশী তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুব বলেন, সংবাদ পেয়ে বেগমগঞ্জ থানার একটি দল ঘটনাস্থল গিয়ে দেশিয় অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর থেকে বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন গ্রেপ্তার
১১ মাস আগে
বরিশালে মালামালসহ ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার
বরিশালের বাকেরগঞ্জে অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, স্বর্ণ, নগদ টাকা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম (বিপিএম)।
গ্ৰেপ্তার ডাকাতেরা হলেন- বাকেরগঞ্জের দুধল ইউনিয়নের চাটরা গ্রামের বাদল খানের ছেলে মুছা খান (২১), একই এলাকার নুর মোহাম্মদ খলিফার ছেলে পলাশ খলিফা (৩৩), জালাল সিকদারের ছেলে সাগর সিকদার (২৩) ও আব্দুল আজিজ খানের ছেলে মাসুদ খান (৪০)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২০ অক্টোবর দিবাগত রাতে উপজেলার দুধল ইউনিয়নের চাটরা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্য রফিকুল ইসলাম খলিফার (৫৪) বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০ থেকে ১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জানালার গ্লাস ভেঙ্গে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ডুকে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরা থেকে নগদ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০০ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন, ঘড়ি ও অন্যান্য মালামালসহ মোট ১২ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম ইসলাম বাকেরগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত পলাশ খানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও একটি মাদক মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া মুছা খানের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা বিচারাধীন আছে।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মুছা খান ও সাগর সিকদার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সাগর সিকদারের বাসা থেকে ডাকাতির একটি স্বর্নের চেইন, গ্ৰিল ভাঙার কাজে ব্যবহৃত একটি রেঞ্জ ও মুছা খানের বাসা থেকে একটি রামদা, একটি ছোরা এবং মাসুদ খানের বাসা থেকে এক জোড়া কানের ঝুমকা, এক জোড়া কানের রিং এবং নগদ ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ডাকাত ও অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
১ বছর আগে
গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয় লোকজন। শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে সদর থানাধীন মজলিশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আসাদ উদ্দিন মোল্লা (৬৫)। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কালুয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর কড্ডা এলাকা থেকে শনিবার দিবাগত রাতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে ধরতে কারখানা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন আসাদ উদ্দিন মোল্লা।
তাঁর ছোট নৌকাটি মজলিশপুর এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় কয়েকজন দেখতে পান। এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে নৌকাটি থামাতে বলেন। তুরাগ নদে কিছুটা স্রোত থাকায় নৌকা থামাতে সময় লেগে যায়।
এ সময়ে তাঁরা ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা আসাদ উদ্দিনের নৌকায় উঠে যায়। এতে আসাদের নৌকাটি ডুবে যায়। পরে লোকজন আসাদ উদ্দিনকে ধরে ওপরে উঠিয়ে নিয়ে পিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গাজীপুর সদর মেট্রো থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই গাজীপুর সদর থানার পুলিশ নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সাতকানিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
১ বছর আগে
কুমিল্লায় ডাকাতদের এলোপাতাড়ি কোপে নারীসহ আহত ১১
ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড়ইয়ার কৃষ্ণপুর গ্রামে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীদের রামদা, ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে ডাকাত দলের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান গ্রামবাসীদের। এতে আহত ১১ নারী-পুরুষ বড়ইয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুলিশ-যুবদল সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আহতরা হলো- গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির মো. শাহ আলম (৭০), তার স্ত্রী জয়নব বেগম (৬২), ছেলে আনিছুর রহমান (৩০), একই বাড়ির মৃত মজিবুর রহমান ছেলে আবদুর রহমান (৩১), মো. লোকমান হোসেনের ছেলে সোলায়মান (২৮), মৃত ছিফাত উল্লাহর ছেলে রবিউল্লাহ (৪৫), মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে জসিম উদ্দিন প্রধান (৪৫), মৃত আমিন উদ্দিন প্রধানের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রধান (৬৫), মৃত মজিবুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা (৩৮), রশিদ প্রধানের ছেলে ওসমান গনি (৩৫), সেলিম প্রধানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮)।
এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনিছুর রহমানকে গৌরীপুর সরকারি হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠান চিকিৎসকরা।
জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটায় বিল্ডিং বাড়ির পেছন দিক থেকে জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাত দল। ২০-২৫ জনের শর্ট প্যান্ট পরিহিত ও মুখোশধারী ডাকাত দল তাদের পরিবারের সদস্যদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে। ডাকাতরা নগদ টাকা, একটি মোবাইল, স্বর্ণের কানের দুল ও আংটি লুট করে।
এ সময় পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন টের পেয়ে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের চিৎকারে গ্রামের অন্যান্য লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করে। এছাড়া কয়েকজন রাস্তায় ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা সবাইকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসির আদেশ
কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে যুবদল কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আটক ১০
১ বছর আগে
বাগেরহাটে ‘ডাকাত’ দলের সর্দারসহ আটক ৪
বাগেরহাটের কচুয়ায় বসত বাড়ির গ্রিল কেটে দুর্ধ্বষ ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার গভীর রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।
আরও পড়ুন: ইউএনও’র ওপর হামলার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৪
আটকেরা হলো- আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার বানরগাথী এলাকার শহিদ গাজীর ছেলে কামাল গাজী (৩৫), একই জেলার রূপসা এলাকার মালেক গাজীর ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে আলিফ গাজী (২৫), ঢাকার খিঁলগাও এলাকার দ্বীন ইসলামের ছেলে সোহেল আবিদ ইসলাম ওরফে সোহেল (২৬) এবং বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকার অমরী চন্দ্র স্বর্ণকারের ছেলে প্রদীপ কুমার স্বর্ণকার (৪০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, লুণ্ঠিত একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি স্বর্ণের আংটি এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ। এনিয়ে ওই ডাকাতি মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার বিকালে বাগেরহাট পুলিশ অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ১২০ কোটি টাকা মূল্যের ‘আইস’ জব্দ, আটক ৪: র্যাব
১ বছর আগে
গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
গাজীপুরের শ্রীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত সুলতান (৫০) জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সূর্য নারায়ানপুর বিলপাড়া গ্রামের মৃত হাসু মুন্সির ছেলে।
আরও পড়ুন: সাতকানিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত রাতে ৫ থেকে ৬ জন লোক শ্রীপুরের বেড়াবাড়ি এলাকার মোশারফের বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা আটকে বাড়ির লোকজনকে মারধর করতে থাকে ।
এসময় ওই বাড়ির কমপক্ষে চারজন আহত হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও সুলতান হোসেন নামে একজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় জনতা।
একপর্যায়ে তার মৃত্যু হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর জানালে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এবিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনাটি চুরির। নিহতের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
১ বছর আগে
জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে কারাগারে দেখা হওয়ার পর জঙ্গি নেতা হয়ে ওঠেন ডাকাত
গ্রেপ্তার নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া’র সশস্ত্র শাখার প্রধান এবং কাউন্সিল (শুরা) সদস্য রণবীর ডাকাতির অভিযোগে জেলে থাকাকালীন জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন এই গ্রুপের শীর্ষ নেতা হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ‘জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ২
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সোমবার কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গতকাল মাসুকুর রহমান ওরফে রণবীর ওরফে মাসুদ ও বাশারকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়।
রণবীরের সহযোগী বাশার বোমা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ।
রণবীর পোস্ট অফিসে চাকরি করতেন। তিনি একটি সশস্ত্র ডাকাত দলের নেতৃত্ব দেন এবং গ্রেপ্তার হন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, কারাগারে থাকাকালীন তিনি জেএমবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তির পর তিনি কারাগারে জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে থাকেন। তাদের পরিবারের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল।
শুরা সদস্য রাকিবের সঙ্গে ২০১৭ সালে তিনি দেখা করেন এবং পরে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার অর্থ ও মিডিয়া শাখার প্রধান এবং একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন।
র্যাবের সদস্যরা সোমবার(২৩ জানুয়ারি) কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্দুকযুদ্ধের পর রনবীর ও বাশারকে গ্রেপ্তার করে।
বন্দুকযুদ্ধের পর ক্যাম্পের একটি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ দু’জনকে আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে গ্রেনেড উদ্ধার মামলায় জেএমবি সদস্যের সাড়ে ৫ বছর কারাদণ্ড
১ বছর আগে