তবে বেশিরভাগ প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, গত ৫ দিনে ৬৯ জন প্রবাসীকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদেরকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া করোনার বিস্তার রোধে প্রচারপত্র, পোস্টার, মাইকিংসহ নানা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে একটি ও ৯টি উপজেলায় একটি করে মোট ১০টি চিকিৎসা টিম গঠন করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৬৩টি বেড স্থাপন করা হয়েছে। বিদেশ থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিদের সন্ধান করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হননি।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ (ডিএসবি) জানান, গত ৩ সপ্তাহে ১৬৯৪ জন প্রবাসী সিরাজগঞ্জে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে বেশিরভাগই কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় বড় ধরনের ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, জেলায় বিদেশ থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পোস্টার, লিফলেট বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে প্রয়োজনে সব ধরনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।