প্রবাসী বাংলাদেশি
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননে বাংলাদেশের দূতাবাস।
নিহত মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (৩১) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি বৈরুতে একটি কফি শপে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে নিজাম উদ্দিন বৈরুতের হাজমিয়ে এলাকায় নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, নিহতের স্ত্রী বর্তমানে লেবাননে অবস্থান করছেন। লেবাননে বাংলাদেশের দূতাবাস তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা বারবার প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েল: লেবাননের প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট না থাকায় মরদেহ বাংলাদেশে আনা সম্ভব হবে না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান জানান, জীবিকার তাগিদে গত ১২ বছর আগে মোহাম্মদ নিজাম লেবাননে যান। শনিবার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয়েছেন বলে তার বড় ভাই আমাকে নিশ্চিত করেছেন। তার লাশ সেখানে হিমঘরে রাখা আছে।
নিজাম উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৫২, আহত ৭২
২ সপ্তাহ আগে
দুই দেশের অর্থনীতিতেই অবদান রাখছেন ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রশংসা করে বলেছেন, তারা দু'দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অর্থনীতিতে যেমন বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান রয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অবদান রয়েছে। উভয় অর্থনীতিই শ্রমশক্তির সুফল পাচ্ছে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পশ্চিম এশিয়ার দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পারফরম্যান্সের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন ওমানের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্য এবং তারা উভয় অর্থনীতির জন্য কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: আমরা আমাদের দরজা বন্ধ রাখতে পারি না: ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ওমান দীর্ঘদিন ধরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে এবং বর্তমানে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছে।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হতে পারে।’
এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সময় ওমানের সহায়তার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, ওমানে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন।
তিনি বলেন, 'এটা (বিধিনিষেধ) সুনির্দিষ্ট করে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারণ করা হয়নি। চাহিদা নির্ধারণের জন্য আমরা পর্যায়ক্রমে শ্রমবাজার পর্যালোচনা করি। সেই পর্যালোচনার ভিত্তিতে আমরা অনেক সময় যেসব দেশে জনবল বেশি, সেসব দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া স্থগিত করি। স্থগিতাদেশ শিথিল করার জন্য আপনাকে পরবর্তী পর্যালোচনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বাংলাদেশের ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে- বিষয়টি যে এমন নয় তা স্পষ্ট করেন তিনি।
'কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা এমন ছিল না। জনশক্তি ভিসা ছাড়া ফ্যামিলি ভিসা ও ট্যুরিস্ট ভিসাসহ অন্য সব ভিসা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য বর্তমানে ১০টি ক্যাটাগরিতে ওমানের ভিসার দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তার সরকারের কাছে চিঠি পাঠানোর পরামর্শ দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনা করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি, যাতে শিগগিরই ওয়ার্কিং ভিসা চালু করা যায়।’
সার আমদানি ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সরকারের আলোচনা করার প্রস্তাব করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং জানুয়ারিতে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি আরও বলেন, হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ করলে ভালো হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আপনাকে নিয়ে গর্ব করতেন।’
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে একটি ওমানি নৌকার রেপ্লিকা উপহার দেন।
সেখানে লেখা ছিল, 'দৃঢ়তা ও সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মশাল বহনকারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার আলবুলুশির পিক্ষ থেকে অভিনন্দন।’
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১৮ মিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রায় ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীরা বাড়তি রেমিট্যান্স পাঠানোয় মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে।
১৯ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ জুন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৯.২১ বিলিয়ন ডলার। ১৯ জুন রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ১৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারে।
আগামী সপ্তাহগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়তে থাকবে। কারণ জুন শেষ হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: এপ্রিল থেকে ১০.৩ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে মে মাসে
জুনের শেষ সপ্তাহে আইএমএফ ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১.১৫ বিলিয়ন ডলার দিতে পারে এবং বিশ্বব্যাংক বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিতে যাচ্ছে। এতে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেট-সেটিং মেকানিজমের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার এবং তুলনামূলক নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থা চালু করার এক মাস পরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির সর্বশেষ উন্নতি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ৪ মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
৫ মাস আগে
ভিলা নোভা দ্যা মিলফোন্তেসের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদ উদযাপন
পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ পর্তুগালের আরেকটি শহর ভিলা নোভা দ্যা মিলফোন্তেসের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
সেখানে মিলফোন্তেস ও আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ১০০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সাফল্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আরও পড়ুন: নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করলেন ডেপুটি স্পিকার
তিনি বলেন, তাদের রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভকে মজবুত ও অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
এসময় রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা বৈধ পথে দেশে পাঠানোর জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রবাসীরা তাদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি দু’দেশের অর্থনীতিতেই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে অভিনন্দন জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের কাউন্সেলর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কনস্যুলার সহকারী।
মিলফোন্তেস পর্তুগালে অবস্থিত আরেকটি শহর যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মূলত কৃষি কাজ ও রেস্টুরেন্টে কর্মরত আছেন।
এদিকে মিলফোন্তেসে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা পবিত্র ঈদের দিন রাষ্ট্রদূতকে তাদের মাঝে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হন।
রাষ্ট্রদূত তাদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
মত-বিনিময় সভায় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের প্রবাস জীবনের নানাবিধ অভিজ্ঞতা, সম্ভাবনা ও সীমাবন্ধতা বিশদভাবে তুলে ধরেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত তাদের মতামতের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ও আলোচিত বিষয়াবলির ওপর তার পরামর্শ দেন।
সভা শেষে, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
পবিত্র ঈদ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূতের মিলফোন্তেসের প্রবাসীদের আনন্দকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে মর্মে তাদের উচ্ছাস ও কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৩ লাখ মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়
বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
৫ মাস আগে
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
রিয়েল এস্টেট, স্টক মার্কেট, স্টার্ট-আপ বা ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো বিনিয়োগের অনুকূল দিগন্ত উন্মোচন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। মার্কিন ডলারের হার বেড়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বিনিয়োগের বিনিময় হারে। অন্যদিকে, উচ্চ মূল্যের ডলার আয়ের সঙ্গে উন্নত হয় রেমিটেন্স ক্রয় ক্ষমতা। প্রবাসীদের এই অর্থ দেশে থাকা তাদের পরিবারের জন্য যেমন সহায়ক হয়, তেমনি সম্ভাবনা তৈরি হয় দেশের বাজারে আরও বিনিয়োগের। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগের উপায় বাংলাদেশ সরকারের নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশি (এনআরবি) বন্ডগুলো। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড বা ইউএসডিআইবি।চলুন, এই বন্ডে বিনিয়োগের পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কী
সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই এনআরবি বন্ড ইস্যু করা হয় মার্কিন ডলারে।
এটি মূলত রেমিটেন্সের বিপরীতে ফরেন কারেন্সি (এফসি) বা বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য নিবেদিত একটি সঞ্চয় প্রকল্প। অন্যান্য অধিকাংশ বন্ডের মতো এই বন্ডেও রয়েছে মুনাফা লাভ এবং সুদাসলের উপর কর-মুক্তির সুবিধা।
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের বৈশিষ্ট্য
- এই বিনিয়োগ সুবিধাটি অনিবাসী বাংলাদেশি বা বাংলাদেশে বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের জন্য
- বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের এই বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে তাদের এফসি অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়
- বন্ডের মূল্য রেমিটেন্সের উপর মার্কিন ডলারে যে কোনো মূল্যের হয়ে থাকে
- বন্ডের মেয়াদ ৩ বছর
- বর্তমানে সাধারণত ৫০০, ১ হাজার, ৫ হাজার, ১০ হাজার, এবং ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যমানের ইউএসডিআইবি ইস্যু করা হয়
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কেনার উপায়
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বৈধ পাসপোর্টের অনুলিপি (বাংলাদেশে অবস্থান করলে দেশে আগমন ও প্রস্থানের সিলসহ পৃষ্ঠা প্রদর্শন করতে হবে)
- সম্প্রতি তোলা আবেদনকারি এবং নমিনি উভয়ের এক কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি
- ওয়ার্ক পারমিট অথবা ভিসার অনুলিপি
- তহবিলের উৎস সম্পর্কিত কাগজপত্র (চাকরির পরিচয়পত্র বা বেতন প্রাপ্তির স্লিপ)
- অন্য কেউ স্পন্সর করে থাকলে তার পাসপোর্টের অনুলিপি এবং আয় সংক্রান্ত নথি
- সম্পূর্ণ পূরণকৃত এবং স্ব-হস্তে স্বাক্ষরকৃত আবেদনপত্র
বন্ড ক্রয় পদ্ধতি
বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বা আভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ওয়েব পোর্টাল থেকে বন্ড ক্রয়ের আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করা যায়।
এছাড়া দেশে বা বিদেশে এই বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও বিনামূল্যেই এই ফর্ম বিতরণ করে থাকে।
ফর্ম পূরনের পর ফর্ম সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি যে কোনো ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানে ইমেল করতে হবে। উপরোক্ত নথিপত্র ছাড়াও বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও কিছু দরকারি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফিরতি ইমেলে এনআরবি গ্রাহককে অবহিত করবেন।
এরপর স্ব-হস্তে স্বাক্ষরকৃত আবেদন ফর্মসহ যাবতীয় কাগজপত্র কুরিয়ারের মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় পাঠাতে হবে। তারপর আবেদনকারির বন্ডের মূল্য পরিশোধের সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বন্ড ইস্যু করবেন। পরিশেষে ক্রয়কৃত বন্ডের পরিচিতি স্বরূপ একটি অ্যাডভাইস কপি গ্রাহককে প্রেরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
যে প্রতিষ্ঠানগুলো এই বন্ড ইস্যু করে থাকে, সেগুলো হলো:
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- দেশের ভেতর ও বাইরে অবস্থিত বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোর এডি (অনুমোদিত ডিলার) শাখা
- প্রতিনিধি অফিস, ফরেন করেসপন্ডেন্ট
- শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর এক্সচেঞ্জ হাউস
বন্ড ক্রয়ের জন্য আবেদন পদ্ধতি
নিম্নের লিঙ্ক থেকে বন্ডে বিনিয়োগের আবেদন ফর্মটি সরাসরি ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। https://ird.gov.bd/sites/default/files/files/ird.portal.gov.bd/forms/6ef7c349_b2ef_4608_bd1d_3c7b80b2f3f6/Editable_Purchase_US_Dollar_Investment_Bond_converted.pdf
ফর্ম পূরণে যে তথ্যগুলো প্রয়োজন হয়, তা হলো:
- আবেদনকারী বা বন্ড ক্রেতা এবং তার নমিনির নাম ও ঠিকানা
- নমিনির সঙ্গে আবেদনকারীর সম্পর্ক
- বন্ড ক্রেতার পাসপোর্ট নম্বর
- বন্ডের মূল্য
- এফসি অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং যেই ব্যাংকের যে শাখাতে অ্যাকাউন্টটি রয়েছে, তার নাম ও ঠিকানা
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্ট ইস্যুর স্থান, এবং পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্ম তারিখ
- বন্ড ক্রেতার চাকরির পদবি, কোম্পানির নাম
- বন্ড ক্রেতার বাংলাদেশ ও বিদেশের ঠিকানা
- সবশেষে আবেদনকারীর সই
আরও পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
৫ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করা হয়েছে। এক নবজাতক ও দুইজন তরুণ বাংলাদেশির আবেদন স্লিপ প্রদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে এক্সপাট সার্ভিসেস নামে একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
সুরক্ষা সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ২০২০ সালে প্রথম ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়। এ পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা কোড রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট চালু করা হলো।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
এর মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সেবার মান বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো স্মার্ট ও দ্রুততর হবে এবং পাসপোর্ট সেবায় গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মাসুদ চৌধুরী আরও বলেন, এ পাসপোর্টের মাধ্যমে উন্নত দেশের নাগরিকদের মতো বাংলাদেশিরাও শিগগিরই নিজে স্ক্যান করে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মর্যাদা আরও বাড়বে এবং বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন, সংখ্যার বিচারে যা সৌদি আরবের পর বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কমিউনিটি। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে হাইকমিশনে ক্রমান্বয়ে দাবি জানিয়ে এসেছেন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা। ‘ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের’ মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে ই-পাসপোর্ট সেবার ব্যবস্থা করেছে হাইকমিশন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ‘ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প’ বিষয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনের কাউন্সেলর (ভিসা ও পাসপোর্ট) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ নুরুস ছালাম, হাইকমিশনের মিনিস্টার ও ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
৭ মাস আগে
অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নতুন ট্রেড ইউনিয়নের ঘোষণা
অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে একটি নতুন ট্রেড ইউনিয়ন প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছে ছয়টি গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও একটি নারী গৃহকর্মী ইউনিয়ন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় অনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেড ইউনিয়ন প্ল্যাটফর্মটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই নতুন ট্রেড ইউনিয়ন প্ল্যাটফর্মের নাম হবে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন প্ল্যাটফর্ম।
নতুন প্ল্যাটফর্মটি আগামী দুই বছরের জন্য তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে ১১ সদস্যের একটি পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন করেছে।
নতুন ট্রেড ইউনিয়ন প্লাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার বলেন, ‘আমরা অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকারের কথা বিচ্ছিন্নভাবে বলে আসছিলাম। এখন থেকে আমরা তাদের অধিকারের কথা আরও বেশি বেশি করে বলব।’
প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা হলো- বাংলাদেশ মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন, বাংলাদেশ বিপ্লবী গার্মেন্টস ওয়ারকারস ফেডারেশন, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন এবং জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: জাপানি ব্যবসায়ীদের শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্ল্যাটফর্মটিতে চারজন সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রয়েছে যাদের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তারা হচ্ছে- সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি, আওয়াজ ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশী অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন।
প্ল্যাটফর্মটির লক্ষ্য দেশে ও বিদেশে কাজ করা অভিবাসী শ্রমিকরা যেন তাদের অধিকার আদায় করতে পারেন।একই সঙ্গে কোনো পরিস্থিতিতে বৈষম্যের শিকার না হন।
সলিডারিটি সেন্টারের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর একেএম নাসিম বলেন, 'এটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। কারণ এটি অভিবাসী শ্রমিকদের একটি ট্রেড ইউনিয়ন।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো মূলত অভিবাসন সমস্যা নিয়ে কাজ করত।’
ট্রেড ইউনিয়নের পরিচালনা পরিষদের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন চন্দন কুমার দে এবং সদস্য সচিব লিলি গোমেজ।
অনুষ্ঠানে ছিলেন সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মনিকা হার্টসেল।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সরকারের সহযোগিতা চায় বিটিসিসিআই
রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
১ বছর আগে
প্রবাস স্কিম: প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করবেন
দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হলো সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম। গত ১৩ আগস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপনটি জারি করে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী পেনশন প্রকল্পটির শুভ উদ্বোধন করেন। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের আয়ের ধরন যাচাই করে তাদেরকে ৪টি ভিন্ন প্রধান ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে: বেসরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী অথবা অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মী, স্বল্প আয়ের ব্যক্তি এবং প্রবাসী বাংলাদেশি। আজকের নিবন্ধে এই প্রবাসী বাংলাদেশিরা কীভাবে সর্বজনীন পেনশন 'প্রবাস' স্কিম-এ নিবন্ধন করবেন- তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৩-এর সাধারণ নিয়ম
বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু বৃদ্ধির রেশ ধরে বয়স্ক নাগরিকদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে নির্ভরশীলতার হার, যা ভবিষ্যতে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, আর্থিক অস্থিরতা নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর উৎপাদনশীলতায়। এই তাৎপর্যবহুল বিষয় দু’টির সমাধানকল্পেই উদ্ভূত হয়েছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩-এর।
আরও পড়ুন: কী কী থাকছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়
প্রকল্পের আওতাভূক্ত সর্বসাধারণের জন্য প্রযোজ্য সাধারণ নিয়মাবলী:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এর ভিত্তিতে ১৮ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকরা বিশেষ বিবেচনায় স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তারা শুধুমাত্র ১০ মেয়াদী স্কিমটা নিতে পারবেন। ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে উপনীত বয়স থেকে তিনি আজীবন পেনশন পাবেন।
- আগ্রহীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করে যে কোনো একটি স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্তদের এই পেনশন স্কিমে অংশ নিতে হলে তাদের পূর্ববর্তী ভোগ করা সুবিধাদি বাদ দিতে হবে।
- বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরাও এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন। প্রবাসীদের এনআইডি না থাকলে, পাসপোর্ট দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে যত দ্রুত সম্ভব এনআইডি প্রস্তুত করে জমা দিতে হবে।
- কর্মসূচি শুরুর সময় থেকে প্রত্যেক চাঁদাদানকারীর জন্য একটি আলাদা পেনশন অ্যাকাউন্ট খোলা হবে।
- পেনশন চলাকালে ৭৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই পেনশন গ্রহণকারীর মৃত্যু হতে পারে। এক্ষেত্রে তার মনোনীত উত্তরাধিকারকে বাকি সময়ের পেনশনগুলো প্রদান করা হবে।
- কমপক্ষে ১০ বছরের প্রকল্প সম্পন্ন করার আগে চাঁদাদানকারীর মৃত্যু হতে পারে। এ অবস্থায় চাঁদা হিসেবে জমা করা সমুদয় অর্থ মুনাফাসহ তার মনোনীত উত্তরাধিকারকে ফেরত দেওয়া হবে।
- পেনশনের জন্য দেওয়া চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে, তবে তা কর রেয়াতের আওতাভুক্ত হবে। অর্থাৎ, পরবর্তীতে মাসিক পেনশনের ওপর কোনো আয়কর ধার্য হবে না।
- সরকারি বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ধার্য করা ক্যাশআউট চার্জ শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ এই কর্মসূচির জন্যও প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, মোবাইলের মাধ্যমে পেনশনের চাঁদা দেওয়ার সময় চাঁদাদানকারীকে প্রতি হাজারে ৭ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে এই প্রকল্পে অভিন্ন সার্ভিস চার্জের বিষয়টি নির্ধারিত হয় ১৬ আগস্ট।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রবাস স্কিম: প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৩
প্রবাস স্কিম/প্যাকেজে কত টাকার কিস্তিতে মাসিক কত টাকা পেনশন পাবেন
মাসিক চাঁদার হার
৫,০০০ টাকা
৭,৫০০ টাকা
১০,০০০ টাকা
চাঁদা প্রদানের মোট সময় (বছর)
মাসিক পেনশন (টাকায়)
মাসিক পেনশন (টাকায়)
মাসিক পেনশন (টাকায়)
৪২
১,৭২,৩২৭
২,৫৮,৪৯১
৩,৪৪,৬৫৫
৪০
১,৪৬,০০১
২,১৯,০০১
২,৯২,০০২
৩৫
৯৫,৯৩৫
১,৪৩,৯০২
১,৯১,৮৭০
৩০
৬২,৩৩০
৯৩,৪৯৫
১,২৪,৬৬০
২৫
৩৯,৭৭৪
৫৯,৬৬১
৭৯,৫৪৮
২০
২৪,৬৩৪
৩৬,৯৫১
৪৯,২৬৮
১৫
১৪,৪৭২
২১,৭০৮
২৮,৯৪৪
১০
৭,৬৫১
১১,৪৭৭
১৫,৩০২
সূত্র: বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বজনীন পেনশন 'প্রবাস' প্যাকেজে নিবন্ধন পদ্ধতি
প্রবাসীসহ অন্য সকল ক্যাটাগরিভুক্ত বাংলাদেশি নাগরিককে প্রথমেই যেতে হবে ইউপেনশন ওয়েবসাইটে। এরপর সরাসরি ক্লিক করতে হবে পেনশনার রেজিস্ট্রেশনে।
পরিচয় ধরন নিশ্চিতকরণ
নিবন্ধন প্রক্রিয়ার প্রথম পাতায় প্রার্থীর পরিচয়ের ধরন নিশ্চিত করতে হবে। এখানে প্রার্থীকে অবশ্যই কোনও সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হওয়া যাবে না। এই স্কিম-বহির্ভূত কোনও ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো সুবিধা প্রাপ্ত হওয়া যাবে না। এমনকি যারা ইতোমধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনো ধরনের ভাতা গ্রহণ করছেন, তারাও এই নিবন্ধন করতে পারবেন না।
এই সবগুলো ধরন যাচাই করে ‘আমি সম্মত আছি’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ভুল তথ্য দিয়ে করা আবেদন বাতিল করা হবে। এমনকি এর ভিত্তিতে পরবর্তীতে পেনশনের জন্য চাঁদা দেয়া হলে সেই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না।
আয়ের ক্যাটাগরি নির্বাচন
এরপরের ওয়েবপেজটি প্রার্থীর ক্যাটাগরি নির্বাচনের। প্রবাসীরা এগুলোর মধ্য থেকে প্রবাস ক্যাটাগরিটি নির্বাচন করবেন। সেই সঙ্গে তাকে ১০, ১৩ বা ১৭ অঙ্কের এনআইডি সংখ্যা এবং জন্ম তারিখ প্রবেশ করাতে হবে। মোবাইল নাম্বার এবং ই-মেইল আইডির জায়গায় সব সময় ব্যবহৃত নাম্বার ও ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে। কেননা এগুলোতে নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে চাঁদা ও পেনশন সংক্রান্ত যাবতীয় বার্তা পাঠানো হবে। তথ্যগুলো সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করে নিচের দিকে থাকা ক্যাপচা পূরণ করে পরের পাতায় চলে যেতে হবে।
এ সময় প্রার্থীর মোবাইল নাম্বারে ও ই-মেইল ঠিকানায় একটি ওটিপি (ওয়ান-টাইম-পাসওয়ার্ড) আসবে। এটি অনলাইন ফর্মে নির্দিষ্ট জায়গায় নির্ভুলভাবে সরবরাহ করার পরই পরবর্তী ধাপে যাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: সংসদে সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন বিল পাস
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
এবার আসবে ব্যক্তিগত তথ্যের ওয়েবপেজ। এখানে এনআইডি সংখ্যা, ছবি, বাংলা ও ইংরেজিতে পুরো নাম, পিতা ও মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সবকিছু এনআইডি অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে।
বার্ষিক আয়ের ঘরটিতে সংখ্যা লিখে পূরণ করতে হবে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম ড্রপডাউন লিস্ট থেকে নির্বাচন করতে হবে। পেশা বাছাইয়ের ঘরে উল্লেখিত পেশাগুলো ভেতর থেকে নিজের পেশাটি নির্বাচন করে দিতে হবে। সব তথ্য পূরণ শেষ হলে পরের ‘স্কিম তথ্য’-এর পাতায় যেতে হবে।
স্কিম তথ্য
স্কিম তথ্যের এই পাতায় মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের ধরন নির্ধারণ করা হবে। মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক-এই তিন চাঁদা পরিশোধের ধরন থেকে প্রার্থী নিজের সুবিধাজনক অপশনটি বাছাই করতে পারবেন।
চাঁদা পরিশোধের মাধ্যম
এবার ব্যাংক তথ্যের ধাপে প্রার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম ও নাম্বার লিখতে হবে। সঞ্চয়ী অথবা চলতি থেকে প্রার্থীর নিজের হিসাবটি বাছাই করতে হবে। রাউটিং নাম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে নাম্বারটি জানা না থাকলে পাশের ‘রাউটিং নম্বর জানা নাই’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এ সময় ছোট্ট একটি বক্স পপআপ হবে, যেখানে ব্যাংক ও ব্যাংকের শাখার নাম চাওয়া হবে। এই তথ্যগুলো যথাযথভাবে পূরণ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাউটিং নম্বরটি সংযুক্ত হয়ে যাবে। এরপরের পাতাটি হচ্ছে নমিনি বা প্রার্থীর মনোনীত উত্তরাধিকারের তথ্যের পাতা।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প বিল সংসদে পেশ
নমিনি পাতা
এখানে নমিনির এনআইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিতে হবে। তারপর নমিনি ‘যুক্ত করুন’-এ ক্লিক করলে নমিনির বিস্তারিত তথ্যের অংশটুকু উন্মুক্ত হবে। এখানে মোবাইল নাম্বার, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক এবং নমিনির প্রাপ্যতার হারের তথ্য দিতে হবে। চাইলে এখানে একাধিক নমিনিও যুক্ত করা যাবে। এক্ষেত্রে ‘আরও নমিনি যুক্ত করুন’-এ ক্লিক করে একই পদ্ধতিতে একাধিক নমিনি যুক্ত করতে হবে। তথ্য দেয়া সম্পন্ন হলে ‘সম্পূর্ণ ফরম’ ধাপে চলে যাওয়া যাবে।
যাবতীয় তথ্য যাচাইকরণ
নিবন্ধনের এই শেষ ধাপে আগে পূরণ করা ব্যক্তিগত, স্কিম, ব্যাংক ও নমিনি সব তথ্যগুলো দেখানো হবে। এগুলো সঠিক আছে কি না তা সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করে তাতে সম্মতি দিলেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ সময় প্রার্থী সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
প্রবাস স্কিম বা প্যাকেজে পেনশনের চাঁদা জমা দেয়ার কিছু নিয়ম
আবেদনপত্রে দেয়া মোবাইল নাম্বার ও ই-মেইল-এ প্রার্থীর চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা দেওয়ার তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। প্রতি কিস্তির চাঁদা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে। যে কোনও বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড দিয়ে প্রার্থী স্ব স্ব বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যোগ দিতে পারবে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাঁদা না দেয়া হলে জরিমানা মুক্ত চাঁদা দেওয়ার জন্য পরবর্তী সর্বোচ্চ এক মাস পাওয়া যাবে। এক মাস পার হয়ে গেলে পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ১ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে অ্যাকাউন্ট সচল রাখতে হবে।
প্রবাসী ব্যক্তি দেশে ফিরে এলে টাকায় চাঁদা প্রদান করবেন। আর চাঁদার মেয়াদ শেষের পর পেনশনটাও তারা পাবেন টাকায়। এছাড়া একেবারে দেশে ফিরে এলে প্রয়োজনে স্কিমও পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন।
শেষাংশ
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এক নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী এই সর্বজনীন পেনশন 'প্রবাস' স্স্কিম। সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ডিজিটালকরণ করায় নিবন্ধনসহ যাবতীয় তথ্য নথিভূক্তকরণ নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন করার সম্ভব হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম ২০২৩-এর সুষ্ঠু সেবা নিতে পারবেন দেশের যে কোনো নাগরিক। সেই সঙ্গে সমাধান হবে পেনশন সংক্রান্ত পূর্বের সব রকম সমস্যা। এতে কেবল একটি নির্দিষ্ট স্তরের জনগোষ্ঠীর অবস্থার উত্তোরণ হবে- তা নয়, বরং নতুন নাগরিকরাও সাগ্রহে নিজেদেরকে সংযুক্ত করবেন এই প্রকল্পের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: প্রগতি স্কিম: বেসরকারি চাকরীজীবীরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম-এ রেজিস্ট্রেশন করবেন
১ বছর আগে
প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে হবে: মোমেন
প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের সর্বোত্তম সেবা প্রদান এবং তাদের স্বার্থ রক্ষায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের লেবার উইংয়ে নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের ‘ডিপ্লোম্যাটিক ওরিয়েন্টেশন’ কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের সামনে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।’
মোমেন বলেন, প্রায় এক কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে কর্মরত আছেন এবং তারা প্রচুর রেমিট্যান্স সরবরাহ করে আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। সেজন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ফিরলেই রোহিঙ্গারা সুন্দর ভবিষ্যৎ পাবে: মোমেন
বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোর সফলতার জন্য টিমওয়ার্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিশনের সকলে মিলে একটি টিম হিসেবে কাজ করে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরুন।'
তিনি আরও বলেন, ‘সেবা প্রত্যাশী প্রতিটি বাংলাদেশিকে সহানুভূতির সঙ্গে, যত্ন সহকারে সেবা প্রদান করবেন যাতে আপনাদের সততা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারে।’
লেবার উইংয়ে নিযুক্ত কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ কোর্সে যেসব নির্দেশনা পেয়েছেন এবং জ্ঞান অর্জন করেছেন তা প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় সহায়তা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি ওরিয়েন্টেশন কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করায় কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।
এ সময় ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস -এর সভাপতিত্বে সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, বিএন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শ্রম উইংয়ের ভূমিকা আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিদেশের শ্রম বাজার বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের শ্রমশক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরির আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির রেক্টর বলেন, ‘এই ধরণের ওরিয়েন্টেশন কোর্স শুধুমাত্র অফিসারদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান দিয়ে তাদের সমৃদ্ধ করবে না বরং সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সহযোগিতার জন্য বিশেষ সুযোগ তৈরি করবে।’
বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোর শ্রম উইংয়ে নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের জন্য রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গত (১৪মে হতে ২৫ মে ২০২৩) পর্যন্ত 'কূটনৈতিক ওরিয়েন্টেশন' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ১১জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন মধ্যপ্রাচ্যে (দুবাই, দোহা, বাগদাদ, বৈরুত), তিনটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্রুনাই) এবং পূর্ব এশিয়ার (সিউল), আফ্রিকার (পোর্ট লুইস) এবং পূর্ব ইউরোপ (বুখারেস্ট) বাংলাদেশ মিশনে যোগ দেবেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ লেবার উইংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন: মোমেন
১ বছর আগে
প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
একজন নাগরিকের জন্য তার পাসপোর্টটি তার নিজের দেশে যতটা না দরকার তার চেয়েও বেশি দরকার অভিবাসনের মাধ্যমে তিনি যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশে। সেখানে তার অভিবাসনের কারণ ও উদ্দেশ্যের পাশাপাশি দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য একমাত্র অবলম্বন এই পাসপোর্ট। তাই সেই দেশে থাকার মুহূর্তগুলোতে পাসপোর্টের কার্যকারীতার ব্যাপারে যথেষ্ট খেয়াল রাখা উচিত।
বর্তমানে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরের দেশের দূতাবাসগুলোতেও ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। সেই দেশগুলোতে বাংলাদেশের মতই পাসপোর্টের নবায়নকারীদের দেয়া হচ্ছে নতুন ই-পাসপোর্ট। চলুন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়ন করার উপায় জেনে নেয়া যাক।
ই-পাসপোর্ট-এর জন্য আবেদনের যোগ্যতা
বাংলাদেশে অবস্থানকারী পাসপোর্টধারীদের ন্যায় বিদেশ- বিভুঁইয়ে থাকা বাংলাদেশিদেরকেও পাসপোর্ট নবায়ন এবং নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এজন্য পূর্বশর্তগুলো হলো-
আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈধ বাংলাদেশি এনআইডি(জাতীয় পরিচয়পত্র) কার্ড এবং অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র থাকতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদের ক্ষেত্রে, আবেদনকারীর নিজের ও পিতামাতার নামের সঙ্গে যেন অবশ্যই আবেদনের সংশ্লিষ্ট তথ্যের মিল থাকে। নতুবা আগে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র ঠিক করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
উপরন্তু, আবেদনকারী মার্কিন নাগরিক হয়ে থাকলে, তাকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জারি করা দ্বৈত জাতীয়তা সনদপত্র দেখাতে হবে। অন্যথায়, আবেদনকারীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার জন্য থাকতে হবে বৈধ কাগজপত্র যেমন- বৈধ ভিসা বা স্থায়ী বাসিন্দা কার্ড।
বাংলাদেশি পাসপোর্টের সঙ্গে এক বছরের বেশি মেয়াদ থাকলেও আবেদন করা যাবে না যদি না সেই পাসপোর্টধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের স্বপক্ষে কোন বৈধ প্রমাণপত্র থাকে।
প্রবাসীদের পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বারকোড এবং অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখসহ পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদনের সারাংশ
- অনলাইনে জমাকৃত আবেদনের প্রিন্ট কপি
- পাসপোর্ট নবায়ন ফি পরিশোধের মানি অর্ডার/ক্যাশিয়ার চেক/অফিসিয়াল চেক
- বর্তমান বাংলাদেশি পাসপোর্টের মূল কপি
- বাংলাদেশি এনআইডি কার্ড কপি অথবা জন্ম সনদের অনলাইনে নিবন্ধনের যাচাইকরণ ওয়েবপৃষ্ঠার কপি সহ জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র
- মার্কিন নাগরিক হলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বৈত জাতীয়তা সনদপত্রের অনুলিপি
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের প্রমাণপত্রের অনুলিপি, যেমন বৈধ ভিসা, স্থায়ী বাসিন্দা কার্ড, অথবা একটি নোটারাইজড হলফনামা যেখানে উল্লেখ থাকবে যে আবেদনকারী মার্কিন নাগরিক নন।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ/তালাক নিবন্ধন শংসাপত্রের অনুলিপি
- বর্তমান বাংলাদেশি এমআরপি(মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট)-এর তথ্যে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হলে তার স্বপক্ষে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
অনলাইনে প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট নবায়ন করার পদ্ধতি
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন পদ্ধতি
বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের মত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অনলাইনে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে যেয়ে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করবেন। শুরুতেই বাংলাদেশ থেকে আবেদন করা হচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হবে। এখানে না উত্তর দেয়ার পর বাছাই করতে হবে দেশ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের নাম। তারপর নাম, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
নামটি অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ অনুসারে হতে হবে। ইমেইল ঠিকানা যাচাইয়ের মাধ্যমে নিবন্ধনের পর ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। তারপর শুরু হবে পাসপোর্ট নবায়নের মুল আবেদন।
এখানে ব্যক্তিগত সেকশন থেকে শুরু করে বিতরণের ধরণ পর্যন্ত যথাযথ তথ্যাবলি দিয়ে পূরণ করতে হবে। তন্মধ্যে আইডি ডকুমেন্ট সেকশনে ‘Yes, I have a Machine Readable Passport (MRP)’ অপশনটি বাছাই করতে হবে। এরপরে পাসপোর্ট আবেদনের কারণ হিসেবে Expired অপশনটি বাছাই করে বর্তমান পাসপোর্টের নাম্বার, ইস্যু ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লিখে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
অতঃপর পুরো আবেদনপত্রটি সফলভাবে শেষ হলে সাবমিট করার পর ডাউনলোড করে তার একটা প্রিন্ট নিয়ে নিতে হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের বাইরে থেকে কিভাবে পাসপোর্ট নবায়ন ফি দিবেন
মানি অর্ডার/ক্যাশিয়ার/অফিসিয়াল চেক (অনুর্ধ্ব ৩০ দিন)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাস বরাবর নবায়ন ফি প্রদেয় করতে হবে। নগদ বা ব্যক্তিগত চেক বা অনলাইন পেমেন্ট গ্রহণ করা হয় না। তাই অনলাইন আবেদন করার সময় অফলাইন পেমেন্ট নির্বাচন করতে হবে। দূতাবাসে বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির সময় আবেদনকারীকে মানি অর্ডার/ক্যাশিয়ার/অফিসিয়াল চেক ব্যক্তিগতভাবে জমা দিতে হবে।
দেশের বাইরে বাংলাদেশি ই-পাসপোর্ট নবায়ন ফি
ই -পাসপোর্ট ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার হয়ে থাক। প্রবাসীরা ৫-বছর বা ১০-বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে পারবেন। পাসপোর্ট ডেলিভারি রেগুলার, বা জরুরি ভিত্তিতে নিতে পারেন।
বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট নবায়ন ফী বিভিন্ন। প্রবাসীগণ যে দেশে অবস্থান করছেন বা যে দেশ থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান সেই দেশের দূতাবাসের ওপর নির্ভর করে এই ফি ভিন্ন হয়।
আরও পড়ুন: ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি
পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন কিভাবে ও কোথায় জমা দিবেন
যুক্তরাষ্ট্রে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর পূর্বে ইমেলের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় জানানো হতো। কিন্তু এখন অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া চলাকালীন অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণ করতে হবে। আবেদনের প্যাকেজ বা পাসপোর্ট আবেদন সংক্রান্ত কোন নথি ডাকযোগে পাঠানো যাবে না।
আবেদনকারীকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের নির্ধারিত তারিখে সশরীরে দূতাবাসে আসতে হবে। অতঃপর বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির পরে আবেদনকারীর বর্তমান পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। তালিকাভুক্তি সম্পূর্ণ করার আগে খসড়া ডেলিভারি স্লিপ দেখানো হবে। সেখানে সমস্ত তথ্য যাচাই করার পর আবেদনকারী তাতে স্বাক্ষর করে তার নিজের কপিটি সঙ্গে নিয়ে আসবেন। আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা কোন দূতাবাসের আওতায় পড়েছে তা জানা যাবে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট নবায়নে কত দিন সময় লাগে
সাধারণত এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ২১ কার্যদিবস, রেগুলার ডেলিভারিতে ৪৫ কার্যদিবস লাগে। তথ্য অসামঞ্জস্যতা বা সংশোধনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণের সময়ে আরো বেশি সময় লাগতে পারে। তাছাড়া ই-পাসপোর্ট ঢাকা থেকে প্রস্তুত হয়ে বিতরণ হয় বলে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লেগে যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে আনুমানিক ৭৫ দিন সময় লাগে। জার্মানিতে ৮-১০ সপ্তাহ; কখনও কখনও এর চেয়েও বেশি সময় লেগে যায়।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট নবায়ন সমস্যা সমাধানে সৌদি-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
নবায়নকৃত পাসপোর্ট সংগ্রহ
তালিকাভুক্তির সময় আবেদনকারী যদি একটি প্রিপেইড ও স্ব-ঠিকানাযুক্ত রিটার্ন খাম (শুধুমাত্র ইউএসপিএস) ট্র্যাকিং নম্বর এবং নিজের বাংলাদেশি এনআইডির অনুলিপি প্রদান করেন তাহলে তাকে নতুন পাসপোর্ট ডাকযোগে পাঠানো হবে।
নতুন পাসপোর্ট ঢাকা থেকে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে গৃহীত হয়। এ সময় সাধারণ টেমপ্লেট সহ একটি সিস্টেম জেনারেট করা ইমেল ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার জন্য আবেদনকারীর নিকট একটি ইমেইল যায়। এই বার্তাপ্রাপ্তির পর রিটার্ন খাম এবং এনআইডি এর কপি প্রদানকারীরা নিজের বর্তমান ঠিকানায় ডাকযোগে নতুন পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।
যাদের বাংলাদেশি এনআইডি নেই তাদেরকে যে কোনো কর্মদিবসে বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে দূতাবাসে যেয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইট থেকেই পাসপোর্ট ইস্যু হওয়ার আপডেট পাওয়া যায়।
শেষাংশ
প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়ন করার উপায়টি আগের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নবায়ন থেকেও সহজ। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রটি অনলাইন নিবন্ধিত না থাকলে অথবা পাসপোর্টের তথ্যে সঙ্গে মিল না থাকলে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে নবায়নের জন্য আবেদনকারীদের।
বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে প্রবসীদের, কেননা প্রবাসে পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ছয় মাস আগেই পাসপোর্টটি নবায়ন করা জরুরি। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে অভিবাসনের সময়ে পাসপোর্টের সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় নথিপত্র দেশ থেকেই ঠিক করে যাওয়া উত্তম।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
১ বছর আগে