সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বাংলা বাজার ব্রীজের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার নিজপাট লামাপাড়া গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহসান, নিজপাট তোয়াসীহাটি গ্রামের রনদিপ পালের ছেলে নিহাল পাল, নিজপাট পানিহারাহাটি গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে মেহেদী হোসেন তমাল ও নিজপাট জাঙ্গালহাটি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ। তারা সকলেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা প্রাইভেট কারে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, জৈন্তাপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালি উল্লাহ বদরুল জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা জৈন্তাপুর থেকে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে জাফলং এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ৪ নম্বর বাংলাবাজার এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি ব্রিজের নিচে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদেরকে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তারাও মারা যান।
পরে রাতেই লাশগুলো হাসপাতাল থেকে তাদের নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার ৪ নম্বার বাংলাবাজার ব্রিজের পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় তিনি নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের শান্তনা দেন।
এছাড়া দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ। এছাড়া শতশত ছাত্রলীগ নেতা কর্মী হাসপাতালে জড়ো হন।