সিলেটে জলাবদ্ধতায় পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কের পাশে নালা কাটা নিয়ে স্থানীয়দের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ বেশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (১৪ জুন) দুপুর ২টা থেকে প্রায় ৪টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
জানা গেছে, সিলেটে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার সকালের টানা বৃষ্টিতে কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সিলেট বিমানবন্দর বাইপাস সড়কের চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলার কারণে সড়কের বেশ কিছু জায়গায় মাটি তুলে রাখা হয়েছে। এ কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সড়কের পানি অনেকের ঘরেও ঢুকে পড়ে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে সেই জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বর্ধিত ৩৯নং ওয়ার্ডের মইয়ারচর, নয়া কুরুমকলা, নাজিরেরগাঁও এবং শিমুলতলার বাসিন্দারা কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় অবরোধকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ সিসিক নির্বাচনের একাধিক প্রার্থী ঘটনাস্থলে যান। দুপুর ২টার দিকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সদর উপজেলাধীন সোনাতলা এলাকার একটি রাস্তা কাটতে গেলে স্থানীয়রা এতে বাধা দেন।
এ বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোনাতলা এলাকাবাসীর সঙ্গে মইয়ারচর, নয়া কুরুমকলা, নাজিরেরগাঁও এবং শিমুলতলার মানুষের তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয়পক্ষ একে অপরের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫
প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। পরে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পরিস্থিতি থমথমে থাকায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য রাস্তা কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়, এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আহতদের পরিচয় এখনই জানানো যাচ্ছে না।
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, দুই এলাকার বাসিন্দাদের সংঘর্ষ থেমেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। সংঘর্ষে জড়িত ব্যক্তিদের ছত্রভঙ্গ করতে একাধিক কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যদের খবর দেওয়া হলেও তাদের সংঘর্ষ থামাতে মাঠে নামতে হয়নি। তারা আসার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: সাভারে মোবাইল দোকানিদের হামলায় ৫ জাবি শিক্ষার্থী আহত