সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলার ১৫টি এলাকাকে 'রেড জোনের' আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যার মধ্যে সদর উপজেলায় পুরো সুনামগঞ্জ পৌর এলাকা, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব পাগলা, পশ্চিম পাগলা ও জয়কলস ইউনিয়ন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়ন, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন, জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন, দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার, দোয়ারাবাজার সদর ও মান্নারগাঁও ইউনিয়ন, ছাতক উপজেলার ছাতক পৌরসভা, জাউয়া বাজার ও কালারুকা ইউনিয়ন এবং জগন্নাথপুর উপজেলার জগন্নাথপুর পৌরসভা ও সৈয়দপুর ইউনিয়নকে রেডজোন করা হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন, জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়ন, দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ও নরসিংপুর ইউনিয়ন, ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়ন এবং জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নকে হলুদ জোন করা হয়েছে।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির বলেন, ছাতকে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ছাতক পৌরসভা, নোয়ারাই, কালারুকা, গোবিন্দগঞ্জ ও জাউয়াবাজার ইউনিয়নকে রেড জোন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যা মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, এই সংকটকালে পৌরসভা খোলা আছে এবং যথাসাধ্যভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল প্রকার নাগরিককে সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন,' রেড জোনের মধ্যে যদি কেউ পাড়ায় আড্ডায় দেয় পুলিশ দেখতে পায় তাহলে সাথে সাথে আটক করা হবে। একই সাথে নীরবতার ফাঁকে যাতে চুরি না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখবে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজনে যে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরে যেতে পারবেন সে বিষয়ে আমাদের আপত্তি নেই।'
এদিকে, সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সুনামগঞ্জের আরও ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় আরও চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় নতুন করে ৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলার ১৬, ছাতক ১৭, জামালগঞ্জ ও শাল্লায় সাত জন করে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ২৪, দিরাই তিন, বিশ্বম্ভরপুর চার, দোয়ারাবাজারের পাঁচজন রয়েছেন।