মদিনাস্থ উয়ুন থানা সূত্রে বাংলাদেশি পাঁচজনের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন-চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সাম্বিরপাড়া ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুলতান আহমদের দুই ছেলে মিজানুর রহমান ও আরাফাত হোসেন মানিক, কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজম এলাকার জালাল আহদের ছেলে ইসহাক মিয়া, একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে আব্দুল আজিজ এবং আবু গফুরের ছেলে মো. রফিক উদ্দিন।
নিহত অপর বাংলাদেশি নাগরিকের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক ঘর পুড়ে ছাই
জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সময় বুধবার রাত আনুমানিক ৪টার দিকে সৌদি আরবের মদিনা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে হেরাজ মার্কেটের কাছে আল খলিল রোড এলাকায় অবস্থিত একটি সোফা তৈরির কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
কনস্যুলেট সূত্র আরও জানায়, অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মৃতদেহ মদিনাস্থ কিং ফাহাদ হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষিত রয়েছে। নিহতদের মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে।
গ্রিসের ওলগায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসীদের পাশে দূতাবাস
এদিকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আহসান হাবিব জিতু ইউএনবির এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘লোহাগাড়ার কোনো বাসিন্দার সৌদি আরবে মারা যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। অফিসিয়ালি এখনো আমাকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।’
চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ দোকানের কোটি টাকার ক্ষতি
মর্মান্তিক এ ঘটনায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ আদায়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সেলরকে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে দূতাবাসকে অবহিত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
চট্টগ্রামে দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড
এছাড়া স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করে নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় ও মৃতদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন রাষ্ট্রদূত।