৪টার দিকে লাগা আগুন আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী ইউনুস জানান, ভোররাতে কর্মকারের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মুদি, কসমেটিক, কাপড়, সেলুন, টেইলার্স, কুলিং কর্নার ও মোবাইলের দোকান।
ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এ মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ বলা যাবে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এমচর হাটের ব্যবসায়ী আ স ম দিদারুল আলম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি এবং পরে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই। তবে, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার পূর্বেই স্থানীয়ারা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ১৭টি দোকান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, ভোর ৫টার দিকে লোহাগাড়ার পুটিবিলা এমচর হাটে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমাদের দুটি গাড়ি গিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবীব জিতু জানান, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের তালিকা তৈরির জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। তালিকানুযায়ী তাদেরকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।