নিহত রফিকুল ইসলাম শার্শার নাভারন কাজিরবেড় গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়ে বিষপান করেন রফিকুল। পরে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
নাভারন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় ছিলেন। মালয়েশিয়ায় থাকাকালে উপার্জিত সব টাকা তিনি স্ত্রীর নামে দেশে পাঠাতেন। সম্প্রতি দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করে রফিকুলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রফিকুল ইসলাম।’
আত্মহত্যার আগে রফিকুল ফেসবুক লাইভে সব ঘটনা উল্লেখ করেন এবং ১০০ টাকার একটি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার স্ত্রীর সহযোগীদের নাম লিখে গেছেন বলে জানান নাভারন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘লাশ এবং সকল আলামত আমরা সংগ্রহ করেছি। নিহতের স্ত্রী মনিরা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’