এছাড়া তার দোকানের কর্মচারী বাপেন ভৌমিককে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে নিহতের পরিবারকে প্রদান করতে আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
এই মামলায় খালাস পেয়েছেন প্ররোচনার অভিযোগে অভিযুক্ত আমলাপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, মামলাটি বেশ স্পর্শকাতর ছিল। সে কারণেই দ্রুত মামলাটি শেষ করা হয়েছে।
গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। মামলায় ৩০ জন সাক্ষী থাকলেও ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। পরে গত ৯ জুলাই সড়কে শহরের কালীরবাজার এলাকা থেকে পিন্টু দেবনাথ ও বাপন ভৌমিক বাবুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাদের দেয়া তথ্য মতে রাতেই শহরের আমলাপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীর ঘোষের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।