দিনমজুর, চা বিক্রেতা, রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা চালক এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীরা যেমন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তেমনটি স্বজনদের প্রবাস থেকে পাঠানো অর্থের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোও অসহায় অবস্থায় আছে।
উপজেলার আলগী বাজারে সাইকেল মেরামত করা কর্ণজিৎ জানান, এক সপ্তাহ ধরে তার কোনো আয় নেই। একই অবস্থা বিদ্যুৎ মিস্ত্রি কৌশিক ও ঝালাইকারক পরিমলেরও। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তারা আছেন অসহায় অবস্থায়।
মহজমপুরের রিকশাচালক মোক্তার বলেন, ‘মানুষ তো ঘর হতে বের হয় না। আমরা রিকশা নিয়া কই যামু?’
একই এলাকার অটোচালক সুরুজ বলেন, কর্ম না থাকায় অসহায় জীবনযাপন করছে শত শত পরিবার। অনেকে লোকলজ্জায় কারও কাছে হাত পাততে ইতস্তত করছেন।
আলগী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফারুক গাজী বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে ১৪টি দরিদ্র পরিবার আছে। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিতে পারিনি।’
তবে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পক্ষ হতে উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে ৩ হাজার পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দেয়া শুরু হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, ‘করোনার এ মহাদুর্যোগে অসহায় ও পরিস্থিতির শিকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সরকার ও ব্যক্তি উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক পরিবারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘এ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আমরা খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। করোনায় কর্মহীনদের তালিকা প্রণয়নে ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।’