স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীতে সাত জনসহ সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ২৬৬টি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যুর প্রতিবেদনের মধ্যে ২৬৩টি ঘটনা পর্যালোচনা করে ১৬৪ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করে।
গত বছর রাজধানীসহ সারাদেশে মোট ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে এক লাখ ১ হাজার ৩৭ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
চলতি বছরে ২৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। যাদের মধ্যে ২২৩ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
ডেঙ্গু জ্বর এক ধরনের মশাবাহিত ভাইরাল ফ্লু। এর প্রভাবে সাধারণত প্রচণ্ড জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়িসহ মারাত্মক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলেছে যে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ এর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৩৯ কোটি মানুষ এ জ্বরে আক্রান্ত হয় বলে অনুমান ডাব্লিউএইচও’র।
সংস্থাটির মতে, ডেঙ্গুর সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে এবং সঠিক চিকিৎসা পেলে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার এক শতাংশেরও নিচে নেমে আসে।