তাদের মধ্যে পাঁচ জন ঢাকায় ও রাজধানীর বাইরে একজন ভর্তি আছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ৬২ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫০ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি ১১ জন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১১৯ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে এখন পর্যন্ত সাতটি মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে। আইইডিসিআর চারটি ঘটনার পর্যালোচনা সমাপ্ত করে তিনটি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে।
গত বছর দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মশাবাহিত এ রোগে তখন ১৭৯ জন মারা যান।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।