বুধবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুরে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রুহুল আমিন। তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের খশির নামনগর এলাকার আলিম উদ্দিনের ছেলে।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকার স্থায়ী ভিসা (গ্রিনকার্ড) পেয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাড়ি ফিরছিলেন রুহুল।
এ দুর্ঘটনায় নিহত রুহুল আমিনের বাবা আলিম উদ্দিন, ছোট ভাই নুরুল আমিন ও ফখরুল আমিনসহ আহত হয়েছেন পাঁচজন। এদর মধ্যে নুরুল আমিন ও মাইক্রোবাস চালক চালক বাদশাহ মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে পৌঁছে মাকে দেশে আসার কথা জানিয়েছিলেন রুহুল আমিন। কিন্তু মায়ের মুখ আর দেখা হলো না তার। ছেলের মৃত্যুর সংবাদে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন রুহুলের মা।
নিহতের স্বজনরা জানান, পরিবারের পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রুহুল সবার বড়। খায়রুল আমিন নামে তার আরেক ভাই দুবছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। অন্য তিন ভাই-বোন লেখাপড়া করছেন।
জানা যায়, রুহুল আমিন ১০ বছর বয়সে মামার সাথে আমেরিকা যান। তিনি ৬ সপ্তাহের জন্য দেশে আসছিলেন।
স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার তার মায়ের সাথে শেষ কথা হয় রুহুলের। তাকে আনতে মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান তার বাবা, ছোট দুই ভাই এবং অপর এক আত্মীয়। মাধবপুরে আসার পর তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে হলে প্রাণ হারান রহুল।
প্রবাসী রুহুল আমিনের মৃত্যুর সংবাদে পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নামাজে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।