সড়ক দুর্ঘটনা
মিসরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
মিসরে দুটি পিকআপ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন। শুক্রবার (২১ মার্চ) দেশটির আচওয়ান প্রদেশে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি সংবাদ মাধ্যম।
রাষ্ট্রীয় পত্রিকা আহরাম জানিয়েছে, দেশটির আচওয়ান প্রদেশের ওয়াদি আল আলাকি সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
আচওয়ান প্রদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন পরিচালক বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানিয়েছে, অতিরিক্ত গতির কারণে গাড়ি দুটির সংঘর্ষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
সূত্রটি বলছে, দুটি গাড়িতে মিসরীয় ও সুদানের নাগরিকদের বহন করছিল। কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত করছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর হাজার হাজার হতাহতের ঘটনা ঘটে মিসরে। এর বেশিরভাগই ঘটে অতিরিক্ত গতির কারণে। এছাড়া রয়েছে ট্রাফিক আইন না মানা ও সড়কের দুর্বল অবকাঠামো।
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে মিসর বিগত কয়েক বছরে নতুন নতুন সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ, পুরোনো সেতু মেরামত করেছে।
৫ দিন আগে
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সাথিয়া-পাবনা আঞ্চলিক সড়কের নন্দনপুরের হাটবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— পাবনা সদর উপজেলার শ্রীপুরের ফৈজুড়ী এলাকার বাসিন্দা আজিজুল (৪০) এবং তার ছেলে আবু হুরাইরা (৩)। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি সাঁথিয়া থেকে পাবনার দিকে যাচ্ছিল আর নসিমনটি বিপরীত দিক থেকে সাঁথিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে ঘটনাস্থলে যানদুটির সংঘর্ষ হলে অটোরিকশার ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘আহতদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার পরই নসিমনের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। তবে নসিমনটি জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১৩ দিন আগে
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক-যাত্রী নিহত
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় ভ্যান উল্টে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মদিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— কালকিনি উপজেলার রমজানপুর গ্রামের ভ্যানচালক স্বপন খান এবং যাত্রী আব্দুর রাজ্জাক দক্ষিণ পালরদী গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন বলেন, ‘অজ্ঞাত এক পরিবহন ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানটি উল্টে চালক ও এক যাত্রী মহাসড়কের মধ্যে ছিটকে পড়ে। এরপর গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, ‘ঘাতক পরিবহন শনাক্ত করে জড়িতদের আটক করতে থানায় বার্তা দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া এ ঘটনা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
১৫ দিন আগে
বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিক নিহত, অবরোধে তীব্র যানজট
রাজধানীর বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১০ মার্চ) সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সকাল ৬টার এ ঘটনার প্রতিবাদে সহকর্মীরা বিমানবন্দর সড়ক বন্ধ করে রাখেন। এক্সপ্রেসওয়েতেও যান চলাচল আটকে দিয়েছেন শ্রমিকরা। এতে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার জানান, মিনারা নামে ১৯ বছরের একজন গার্মেন্টস কর্মী বনানী চেয়ারম্যান বাড়ির কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের তিনটি গার্মেন্টস কর্মীরা রাস্তায় নেমে এসে মূল সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। আমরা চেষ্টা করছি রাস্তা ক্লিয়ার করতে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রাক্টরচাপায় দুই বন্ধু নিহত
ট্রাফিক গুলশান বিভাগের ডিসি মফিজুল ইসলাম সকাল ৯টার দিকে জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে রাস্তা বন্ধ আছে। পুলিশ বিভিন্ন বিকল্প সড়ক দিয়ে যানবাহন গুলোকে গন্তব্যে পাঠানোর চেষ্টা করছে।
ট্রাফিক গুলশান বিভাগের ফেইসবুক পেজে জানানো হয়েছে, আজ সকালে বনানীস্থ চেয়ারম্যান বাড়ি ইউ টার্ন ইনকামিংয়ে একজন নারী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে কোন পরিবহন এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, তা জানা যায়নি।
‘দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস কর্মীরা ইনকামিং/আউট গোয়িং উভয় দিকের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন। এছাড়া গার্মেন্টস কর্মীরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন।’
এক্ষেত্রে বনানী-কাকলী ক্রসিং এবং মহাখালীর আমতলীতে ডাইভারশন দিয়ে গুলশান-২ ও গুলশান-১ হয়ে আমতলী দিয়ে ইনকামিং এবং ভাইস ভার্সা হয়ে আউট গোয়িং এ চলাচল করা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, জানায় ট্রাফিক গুলশান বিভাগ
১৭ দিন আগে
ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৮
এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে মোট ৫৯৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫৭৮ জন এবং কমপক্ষে ১ হাজার ৩২৭ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ৭৩ জন ও শিশু ৮৭টি।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেছে বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২২৭ জন যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে মোট সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এছাড়া মাসজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন যা মোট নিহতের ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮২ জন (১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ)। একই সময়ে দুটি নৌ দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ১৪টি রেল দুর্ঘটনায় ১৩ প্রাণহানি ও ৬ জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী ২২৭ জন, বাসযাত্রী ৩৩ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৫৬ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ২২ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯২ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম-এস্কেভেটর) ২০ জন ও বাইসাইকেল-রিকশার আরোহী নিহত হয়েছেন ১৪ জন।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২০৯টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৮টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি গ্রামীণ সড়কে, ৪৬টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। এ সময় দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ছিল মোট ৯৩৮টি।
১৮ দিন আগে
সিলেটে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
সিলেটে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার বলাউড়া নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—জালালাবাদ থানাধীন বলাউড়া বাজারের কসরপুর গ্রামের মৃত জমির আলীর ছেলে রুবেল আহমদ (১৮) ও একই গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে সালেক (২০)। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
পুলিশ সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মামুন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশার ছয় যাত্রী আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে অটোরিকশাচালকের অবস্থা গুরুতর।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশিদ বলেন, বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
১৯ দিন আগে
লালমনিরহাটে বাসচাপায় চাচা-ভাতিজি নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চাচা-ভাতিজি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আদিতমারী উপজেলার স্বর্ণামতি সেতু এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর।
নিহতরা হলেন— চাচা রমজান আলী (৪৫) ও ভাতিজি খাদিজাতুল কোবরাকে(২৬)। তারা কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীখাতা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এখন টিভির সাংবাদিক মাসুমা মারা গেছেন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে কালীগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলে লালমনিরহাট যাচ্ছিলেন তারা।
এ সময় বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা নাবিলা বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মোটরসাইকেলটির। এতে ঘটনাস্থলেই চাচা রমজান আলী নিহত হয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয় ভাতিজিও।
ওসি আলী আকবর বলেন, ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও সহযোগীরা পালিয়ে গেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
২৭ দিন আগে
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এখন টিভির সাংবাদিক মাসুমা মারা গেছেন
রাজশাহীতে কর্মরত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এখন টিভির সাংবাদিক মাসুমা আক্তার আর নেই।
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চারদিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মঙ্গলবার (১৮ ফব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মাসুমার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরের নারায়নপুর গ্রামে। তার শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লায়। বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে তিনি একমাত্র মেয়ে। মাসুমা রাজশাহী নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে লেখাপড়া করেছেন। তার সাংবাদিকতা যাত্রা শুরু ২০১৪ সাল থেকে।
এখন টিভির রাজশাহী অফিসের সিনিয়র রিপোর্টার রাকিবুল হাসান রাজিব বলেন, গেল শুক্রবার বিকালে মাসুমা স্বামীর সঙ্গে কুমিল্লায় শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিলেন। কুমিল্লায় বাস থেকে নেমে সিএনজির সঙ্গে ভাড়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন তারা। এ সময় একটি দ্রুতগামী বাস তাদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে তারা দুইজনই রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। এতে গুরুতর আহত হন মাসুমা।
আরও পড়ুন: সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই
স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। যেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
রাকিবুল হাসান রাজিব জানান, মাসুমা আক্তার ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো অফিসে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরে।
তিনি আরও জানান, পড়ালেখা শেষে রাজশাহীর বাংলার জনপদ নামের একটি মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন তিনি। পরে এখন টিভি দিয়ে তার টেলিভিশন ক্যারিয়ারের সূচনা হয়।
তরুণ এই সাংবাদিকের অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা শোক জানিয়ে আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
৩৭ দিন আগে
সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকে সম্পৃক্ত করা দরকার: ডিএমপি কমিশনার
সড়ক দুর্ঘটনার তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকে সম্পৃক্ত কিংবা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, ‘কোনো ক্র্যাশ ঘটলে তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তদন্ত করতে পুলিশের দক্ষতা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ সড়কের দায়িত্বে থাকে কিন্তু ক্র্যাশের ঘটনা তদন্ত করে ক্রাইম বিভাগ। এ ধরনের ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকেও সম্পৃক্ত করা বা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দক্ষতা বাড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। দুদিনের এ প্রশিক্ষণে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কলাকৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কর্মরত ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তারা রোড পুলিশিং বিষয়ে বৈশ্বিক ধারণা লাভ করেন।
আরও পড়ুন: ছিনতাই ঠেকাতে ট্রাফিক সার্জেন্টদের অস্ত্র দেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা ও রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে সবার ট্রাফিক নিয়মকানুন মেনে চলা প্রয়োজন। কিন্তু, সড়ক ব্যবহারকারীদের অনেকেই ট্রাফিক নিয়ম মানেন না, বিশেষ করে নির্ধারিত গতিসীমা না মানা এবং হঠাৎ লেন পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।’
‘ঢাকা শহরে অধিকাংশ রোড ক্র্যাশ মধ্যরাত থেকে সকালের মাঝে ঘটে, যখন সড়ক তুলনামূলক ফাঁকা থাকে,’ বলেন তিনি। রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধ করতে তিনি পুলিশ সদস্যদের কঠোরভাবে সড়কে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণসহ বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটির (বিআইজিআরএস) ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সারওয়ার, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, জিআরএপির এশিয়া-প্যাসিফিক ম্যানেজার ব্র্যাট হারম্যান ও সিনিয়র রোড পুলিশিং এডভাইজর অ্যাল স্টুয়ার্ট, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
দুদিনের কর্মশালার প্রথম দিনে ‘রোড পুলিশিং লিডারশিপ’ ও দ্বিতীয় দিনে ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। কর্মশালায় ৬০ জন পুলিশ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
এতে রোড ক্র্যাশের বিভিন্ন ঝুঁকি—যেমন বেপরোয়া গতি, মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানোর প্রভাব এবং এসব পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের করণীয় বিষয়েও ধারণা পান তারা। পাশাপাশি সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণীয় পদ্ধতিগুলো তাদের সামনে তুলে ধরা হয়।
জিআরএসপির এশিয়া-প্যাসিফিক ম্যানেজার ব্র্যাট হারম্যান ও সিনিয়র রোড পুলিশিং এডভাইজর অ্যাল স্টুয়ার্ট কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। এই প্রশিক্ষণে তারা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ‘সেফ সিস্টেম’ পদ্ধতি অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেন এবং কার্যকরভাবে সড়ক আইন বাস্তবায়নে পুলিশের করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
পাশাপাশি তারা রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের ভূমিকা, ক্র্যাশের ক্ষেত্রে যানবাহনের উচ্চ গতির ঝুঁকি, গতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব, গতি নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ও কৌশল এবং রাস্তার পাশের তল্লাশিচৌকিগুলোর নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ওপর আলোচনা করা হয়।
৩৮ দিন আগে
ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
ময়মনসিংহের ফুলপুর ও ধোবাউড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফুলপুর পৌরসভার গোদারিয়া গ্রামে এবং ধোবাউড়ার এরশাদ বাজার-ঘোঁষগাও সড়কের চন্দ্রঘোনা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনাদুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন—ঘোঁষগাও ভালুকাপাড়া গ্রামের লাল মিয়া (৪০) ও গোদারিয়া গ্রামের এহসানুল হকের একমাত্র ছেলে আল মুবিন (১০)।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাদি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ (রবিবার) দুপুরে বাড়ির কাছে বাইসাইকেল চালাচ্ছিল মুবিন। এ সময় দ্রুতগতির একটি ড্রাম ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
অপরদিকে, ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার জানান, বিকালে চন্দ্রঘোনায় মোটরসাইকেলআরোহী লাল মিয়াকে একটি বালু ভর্তি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
দুর্ঘটনার পর ট্রাকদুটি জব্দ করা গেলেও চালকরা পালিয়ে গেছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
৩৮ দিন আগে