বুধবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মো. আব্দুল ওয়াহেদ নামে এক ব্যবসায়ী।
আদালত মামলা গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উত্তর জোনের উপকমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন— নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুর নবী ও গোলাম মোহাম্মদ নাছিম হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অমিত ভট্টাচার্য, মো. শরিফুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. সোলাইমান ও ফৌজুল করিম এবং পুলিশের সোর্স রুবেল।
মামলার বাদী আব্দুল ওয়াহেদ নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আরেফিন নগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।
বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমার মক্কেলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে হয়রানি করায় দণ্ডবিধির ৩৮৫, ৩৯৫, ১৬১, ২৯৮, ৪২০, ১০৯, ৫০৬ (২) ও ৩৪ ধারা অনুযায়ী মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে নগর পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নগর পুলিশ আগামি ১ অক্টোবর এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিবেন বলে তিনি জানান।
মামলার এজহারে বাদী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৩ জুলাই বায়েজিদ বোস্তামীর জামাল কলোনি এলাকা থেকে বিনা কারণে বাদীকে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় এবং ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অপারগতা জানালে মাদক আইনে বাদী ও আরও কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। মামলা হালকা করতেও টাকা দাবি করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী।
বাদী আরও বলেন, তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হয়। টাকা দিতে না পারলে তার বাসা থেকে ইয়াবা উদ্ধারের মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। অভিযোগ কী, সেটা এখনো জানতে পারিনি।’