জাফলং
সিলেটের সীমান্ত এলাকার লাখো পাথর শ্রমিক-ব্যবসায়ীর নীরব কান্না
পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের বিষয় উল্লেখ করে বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে সিলেটের ভোলাগঞ্জ, জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি।
শ্রমিক ও ব্যসায়ীদের দাবি, সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করতে হাইকোর্টের আদেশ থাকলেও কী কারণে এসব পাথর কোয়ারি বন্ধ রয়েছে এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর তারা কারো কাছ থেকে পাননি। ।
গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানান, সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে হাইকোর্টরের আদেশের কপি নিয়ে নিয়মিত প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে প্রশাসনের কার্যকরি পদক্ষেপ না পেয়ে হতাশ হয়েছেন তারা।
পাথরগুলো কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকায়, কোয়ারি সংশ্লিষ্ট শ্রমজীবী দিনমজুররা কর্মসংস্থান হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধহারে দিনযাপন করছেন। কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকায় পাথর, বালু ও বারকি শ্রমিকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
প্রতিদিন ভোরে সাজের সন্ধানে বেলচা, টুকরি নিয়ে তীর্থের কাকের মতো বসে থাকেন তারা। দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি সিলেটের জাফলং, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ ও শ্রীপুরসহ সব কয়টি এলাকায় কোয়ারি ও বালু মহালের সংশ্লিষ্ট কয়েক লাখ শ্রমিকের বর্তমান অবস্থা এমনই।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, কোয়ারি ও বালু মহাল সচল থাকলে সরকারের বড় অংকের রাজস্বও আদায় হতো। পাশাপাশি সিলেটসহ সারাদেশের ৩-৪ লাখ শ্রমিক কাজ করে নিজের জীবনযাপন করতে পারতেন। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতি আরও মজবুত হতো।
শুধু পাথর, বালু ও বারকি শ্রমিক নয়, বেকায়দায় পড়েছেন এবার পাথর ব্যবসায়ীরাও। তারা জানান, শেষ সম্বল টুকু ব্যাংকে বন্ধক রেখে কিনেছেন পাথর ভাঙার যন্ত্র (ক্রাশার মিল)। কোয়ারি বন্ধ থাকায় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতেও পারছেন না। হারাতে বসেছেন তাদের শেষ সম্বল টুকু।
পাথর ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় বসে আছেন কোয়ারি খোলার। দীর্ঘ দিন থেকে কোয়ারি ও বালু মহাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় পাথরের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বেকার হয়ে পড়েছেন। বন্ধ হতে চলেছে জাফলং, ধূপাগুল, ভোলাগঞ্জসহ উত্তর সিলেটের ক্রাসিং জোন এলাকা। কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় ওই সব ক্রাশার এলাকা শ্রমিক শূন্য হয়ে পড়েছে দিন দিন।
এদিকে দীর্ঘদিন একই পেশায় নিয়োজিত থেকে অন্য কোনো কাজ করতেও পারছেন না তারা।
এর মধ্যে বেশ কয়েকবার শ্রমিকেরা কোয়ারি খোলার দাবিতে নানা ধরনের আন্দোলনও করেছেন। এছাড়া জাফলং, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ ও শ্রীপুরের ব্যবসায়ী নেতারা পাথর কোয়ারি সচলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
শুধু শ্রমিক ও পাথর ব্যবসায়ীই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন পরিবহন শ্রমিক-মালিকরাও।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম শাখার ট্রাক-পিক আপ-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, এ এলাকায় প্রায় দুই হাজার ট্রাক পাথর পরিবহন করে। বর্তমানে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরাও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পাথর কোয়ারি খুলে দিলে সরকার যেমন রাজস্ব পাবে, তেমনি শ্রমজীবীরাও পেটের ভাত পাত পাবে।
বিছন্নাকান্দির পাথর ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান বলেন, সোনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তলনের জন্য কোয়ারি খুলে দিলে এলাকার ব্যবসায়ী ও পাথর সংশ্লিষ্ট সবার জীবিকার ও কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচন হবে। অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংকে বন্ধক রাখা সম্পত্তি ফিরে পাবেন। এবার সেই কোয়ারিগুলো থেকে পরিবেশ সম্মতভাবে পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়া জরুরি।
এ ব্যাপারে জাফলং পাথর কোয়ারি এলাকার ব্যবসায়ী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার কারণে কোয়ারি এলাকার শ্রমিকদের মধ্যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ক্রমেই কর্মহীন মানুষের হাহাকার বাড়ছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ইজারা বিহীন কোয়ারি এবং যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাফলং, বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি ও বালু মহাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাথর কোয়ারি বন্ধ রাখতে উপজেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে দীর্ঘ ৬ বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের করা রিট পিটিশনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে জাফলংয়ের ব্যাপারে ২২ অক্টোবর, বিছনাকান্দির ১১ নভেম্বর ও ভোলাগঞ্জের ব্যাপারে ১৪ নভেম্বর পাথর উত্তোলনের নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরাও একই কথা জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে তথ্য আছে পাথর কোয়ারি বিষয়ে হাইকোর্টর আদেশ চেম্বার কোর্টে স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, পাথর ও বালু শ্রমিকদের মানবেতর জীবন বিবেচনা করে পাথর কোয়ারিগুলো জরুরি ভিত্তিতে খুলে দিতে।
৩ সপ্তাহ আগে
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে গোসল করতে নেমে জাওয়াত আহমেদ নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের ঝর্ণা সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
নিহত জাওয়াদ (২৫) ময়মনসিংহ জেলা শহরের নাহার রোডের ডা. আফতাব উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাওয়াত আহমদসহ কয়েকজন মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের ঝর্ণা সংলগ্ন এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামেন। এক পর্যায়ে জাওয়াদ স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়। তার সঙ্গীরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল জানান, পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে বেড়াতে আসা এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাসচাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু
২ মাস আগে
জাফলংয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে শ্রমিকের মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটে কথা কাটাকাটি জেরে হোসেন মিয়ার ঘুষিতে পানিতে পড়ে আব্দুর নূর নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গছে। এ ঘটনায় হোসেন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ জুলাই) ভোরে উপজেলা জাফলংয়ের নয়াবস্তি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর নূর ওই উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়াবস্তি গ্রামের করিম হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত হোসেন মিয়া উপজেলার জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ হাওর গ্রামের রুস্তম খার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় জাফলং নদীতে নৌকা নিয়ে বালু উত্তোলনের কাজে যায় শ্রমিকরা। নৌকা রাখাকে কেন্দ্র করে আব্দুর নূর ও হোসেনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও মারামারি হয়। একপর্যায়ে হোসেনের ঘুষিতে আব্দুর নূর পাশে থাকা নৌকায় লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা প্রায় ৪০ মিনিট খোঁজাখুঁজি করে নদী থেকে আব্দুর নূরকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয়রা হোসেন মিয়াকে আটক করে পুলিশ দেয়। তবে কী বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে, তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থারে প্রস্তুতি চলছে।’
৫ মাস আগে
জাফলং থেকে পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মধ্য জাফলং ইউনিয়নের পিয়াইন নদীর তীর থেকে একটি পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বালতি দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় বারকি শ্রমিকের হাতে মর্টার শেলটি লাগে।
পরে দুইজন শ্রমিক মর্টার শেলটি উদ্ধার করে নদীর পাড়ে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: হিলিতে ধানের জমি থেকে পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, পিয়াইন নদীর এলাকায় বালতি দিয়ে বালু তুলছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় এক শ্রমিকের হাতে শক্ত কিছু একটা লাগে। পরে বস্তুটি উঠিয়ে নদীর পাড়ে এনে দেখা যায়, সেটি মর্টার শেল। পরে শ্রমিকরা গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মর্টারসেলটি থেকে জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসেন। বর্তমানে একদল পুলিশ এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
ওসি বলেন, পিয়াইন নদীতে বালতি দিয়ে বালু তোলার সময় শ্রমিকরা একটি মর্টার শেল দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। শেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে আর কোনো মর্টার শেল বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডে বিএসআরএমের কারখানা থেকে ২টি মর্টার শেল উদ্ধার
১০ মাস আগে
জাফলংয়ে বালুচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে মানিক মিয়া (৫৭) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার ১১ নম্বর মধ্য জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্গত চা বাগানসংলগ্ন নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: করতোয়া নদীতে বালুচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
নিহত শ্রমিক মানিক মিয়া উপজেলার মধ্য লাখেরপাড় গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মানিক মিয়াসহ আরও কয়েকজন শ্রমিক নদীর পাড়ে গর্ত থেকে বালু উত্তোলন করছিলেন। একপর্যায়ে বালুচাপা পড়েন মানিক মিয়া। এসময় তার সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা উদ্ধার করে জৈন্তাপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, তিনি বয়স্ক বালু শ্রমিক ছিলেন। ঠান্ডাজনিত কারণে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
সিলেটের জাফলং ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
বিচিত্রতার কষ্ঠিপাথরে বাংলাদেশকে যাচাই করতে হলে ঘুরে আসতে হবে দেশটির উত্তর-পূর্বের সিলেট বিভাগ। শিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক দিক থেকে এর সমৃদ্ধ জেলাগুলো দেশের সেরা বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। শুধুমাত্র এক জাফলং ভ্রমণ যে কোনও জাতীয়তার পরিব্রাজকের মনে এক টুকরো বাংলাদেশকে গেঁথে দিতে যথেষ্ট। প্রকৃতি কন্যা হিসেবে খ্যাত এই পর্যটনস্থল ভ্রমণের নানা দিক নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, পাহাড়, নদী ও বনের এই অনিন্দ্য সমারোহকে খুব কাছ থেকে দেখার উপায়টি জেনে নেয়া যাক।
জাফলং-এর নামকরণের ইতিহাস
জাফলং-এর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে খাসি জনগোষ্ঠীর হাজার বছরের ইতিহাস। সংক্ষেপে বলতে গেলে খাসিদের মালনিয়াং রাজ্য থাকাকালে এর রাজধানীগুলোর একটি ছিলো বল্লাপুঞ্জি। এই বল্লাপুঞ্জি মূলত জাফলয়েরই একটি এলাকা।
প্রাচীন এই মালনিয়াং রাজ্যেই উৎপত্তি হয়েছিলো জাফলং নামটির, যার মাধ্যমে আনন্দের হাট বোঝানো হতো।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
জাফলং-এর ভৌগলিক অবস্থান
এই দর্শনীয় জায়গাটির অবস্থান সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড়টি মেঘালয় সীমান্তে আলাদা করেছে বাংলাদেশ ও ভারতকে। সীমান্তবর্তী জায়গাটি পড়েছে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পিয়াইন নদীর অববাহিকায়।
ভারতের ডাউকি অঞ্চলের পাহাড় থেকে ডাওকি নদী এই জাফলং হয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে।
জাফলং ভ্রমণের সেরা সময়
এটি এমন এক জায়গা যা প্রতি ঋতুতেই নতুন রূপে সেজে ওঠে। তবে বৃষ্টির মৌসুমে এই প্রকৃতি কন্যা নিজের সকল সৌন্দর্য্য যেন উজাড় করে দেয়। স্বচ্ছ স্রোতস্বিনীর নিচে পাথরের ছোঁয়াছুয়ি খেলা, আর সংগ্রামপুঞ্জীর মায়া দৃষ্টি ভরে নিতে চাইলে আসতে হবে বর্ষাকালে। তাছাড়া জুন থেকে অক্টোবরের এই সময়টাতে; এমনকি নভেম্বরেও পাহাড়ের সবুজটা যেন আরও বেশি করে ফুটে ওঠে।
আরও পড়ুন: মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
১ বছর আগে
সিলেটে ছুরিকাঘাতে বাসচালকের সহকারী খুন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় এক বাসচালকের সহকারীকে ছুরিকাঘাতে করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে জাফলং বাস স্ট্যান্ডসংলগ্ন তাজমহল হোটেলের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
মোরশেদ (২৮) গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে হাসপাতালের দুই ভবনের মাঝ থেকে রোগীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোরশেদকে এলোপাতাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এসময় মোরশেদ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে আহত অবস্থায় বাসস্ট্যান্ডের কয়েকজন উদ্ধার করে প্রথমে ইবনেসিনা হাসপাতলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোরশেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
১ বছর আগে
জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে নিখোঁজের ২দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজের দুই দিন স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে নদীর জিরো পয়েন্টে এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আল ওয়াজ আরশ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই গ্রামের পুলিশ পরিদর্শক (ট্রাফিক) জাহিদুল হোসেনের ছেলে এবং রাজধানরি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
জানা যায়, আরশ তার বাবা, মা ও ছোটভাইয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে যায়। এরপর বাবা-ছেলে মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট নদীতে গোসল করতে নামেন। সাঁতার না জানায় বাবা ও ছেলে ডুবতে থাকে, স্থানীয়রা এসময় জাহিদুল হোসেনকে উদ্ধার করতে পারলেও ছেলে আরশ তলিয়ে যায়।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ১
কিশোরগঞ্জে ‘অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে’ গ্যারেজ মালিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
জাফলংয়ে সাঁতার কাটতে গিয়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আল-ওয়াজ আরশ (১৫) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শিদলাই গ্রামের জাহেদুল হোসেনের ছেলে এবং ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে ২ মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরশ তার বাবা, মা ও ছোটভাই মিলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। বাবা-ছেলে মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট নদীতে গোসল করতে নামেন।
সাঁতার না জানায় এক পর্যায়ে বাবা ও ছেলে স্রোতের টানে পানিতে ডুবে যাচ্ছেন দেখে লোকজন বাবাকে উদ্ধার করতে পারলেও মুহুর্তে প্রবল স্রোতের টানে ছেলে আরশ তলিয়ে যায়।
স্থানীয় এক নৌকাচালক বলেন, পিয়াইন নদীতে স্রোতে পর্যটক তলিয়ে যাচ্ছে দেখে আমরা নৌকা নিয়ে এগিয়ে যাই। বাবাকে উদ্ধার করতে পেরেছি। কিন্তু ছেলেকে আমরা খুঁজে পাইনি। এছাড়া রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আরশের হদিস পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্তও আরশের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার সন্ধানে প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে।
এ ব্যাপারে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. রতন শেখ বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে।
পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, স্ত্রীসহ আটক ৪
সিলেটের জাফলংয়ে রিসোর্টের পাশ থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই পর্যটকের স্ত্রী এবং তার কথিত পরকীয়া প্রেমিকসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জাফলংয়ে রিসোর্টের পাশ থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি জানিয়েছেন-সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান, ভিকটিমের নাম আলে ইমরান (৩২)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার গুরই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
তিনি জানান, গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে গোয়াইনঘাট থানাধীন ৩ নম্বর পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের জাফলং বল্লাঘাট রিভারভিউ রিসোর্ট এর পাশে এক অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ পাথরচাপা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় সংবাদ দিলে তাৎক্ষণিকভাবে গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত আসামিদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা পরিচালিত পৃথক দুটি অভিযানে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার বেলদি গাজীরটেক গ্রামের মো. জিন্নাতের ছেলে নাদিম আহমেদ নাঈমকে (১৯) নিজ বাড়ি থেকে ও ভিকটিম আলে ইমরানের স্ত্রী কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার ছেত্রা গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে খুশনাহারকে (২১) ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া গ্রেপ্তার নাদিম খুশনাহারের পরকীয়া প্রেমিকের বন্ধু বা সহযোগী।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম আলে ইমরানের স্ত্রী খুশনাহারের সঙ্গে হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি মাহিদুল হাসান মাহিনের (২৪) দীর্ঘ দুই থেকে আড়াই বছরের প্রেম চলছে।
আসামি মাহিন ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জিএম পদে কর্মরত।
ভিকটিম আলে ইমরানের সঙ্গে গত ৫ বছর আগে খুশনাহারের বিয়ে হয়। মাহিনের সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর পর থেকেই ভিকটিমের স্ত্রী খুশনাহার এবং তার প্রেমিক মাহিন বিভিন্ন সময় ভিকটিম আলে ইমরানকে হত্যা করার চেষ্টা করে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় হত্যা করার উদ্দেশে খুশনাহার তার স্বামী আলে ইমরানকে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে গত ১৫ এপ্রিল রাতে ভৈরব থেকে ট্রেনযোগে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন।
অন্যদিকে একই দিনে প্রেমিক মাহিন, মাহিনের অফিসে কর্মরত গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাদিম এবং অপর পলাতক সহযোগী ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেনযোগে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হন।
গত রবিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টা থেকে জাফলংয়ের বল্লাঘাটস্থ ‘রিভারভিউ রিসোর্ট অ্যান্ড আবাসিক হোটেল’ এর ১০১ নম্বর কক্ষে ভিকটিম আলে ইমরান এবং তার স্ত্রী খুশনাহার অবস্থান করেন এবং অন্য তিন আসামি জাফলংয়ের বল্লাঘাটে হোটেল শাহ আমিনে অবস্থান করেন।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমের স্ত্রী খোশনাহার হত্যাকাণ্ড সংঘটনের পূর্বে কৌশলে তাদের অবস্থানরত হোটেল কক্ষের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেন। পরবর্তীতে মাথাব্যথার ওষুধের কথা বলে রাত ১০টার সময় ভিকটিম আলে ইমরানকে তার স্ত্রী খুশনাহার ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর যখন ভিকটিম আলে ইমরান ঘুমিয়ে যান, তখন স্ত্রী খুশনাহার তার প্রেমিক মাহিনকে হোটেল রিয়ারভিউ রিসোর্ট অ্যান্ড আবাসিক হোটেলে আসার জন্য বলেন।
রাত আনুমানিক ১২টায় হত্যাকারী মাহিন তার অপর দুই সহযোগীকে নিয়ে হোটেল রিয়ারভিউ এর ১০১ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে এবং রাত ২টায় আলে ইমরানের স্ত্রী খুশনাহার ও প্রেমিক মাহিন গলায় গামছা পেঁচিয়ে আলে ইমরানকে হত্যা করেন।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি নাদিম আলে ইমরানের পা চেপে ধরেন এবং পলাতক অপর সহযোগী রুমের বাইরে পাহারা দেন। একসময় আলে ইমরানের মৃত্যু নিশ্চিত হলে আনুমানিক রাত ৩টায় হত্যাকারী মাহিন ও অপর দুই সহযোগী আলে ইমরানের লাশ লুকিয়ে রাখার উদ্দেশে হোটেলের পাশে পাথরচাপা দিয়ে রাখে।
পরবর্তীতে হত্যাকারীরা হোটেল থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ৪টায় বের হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে পালিয়ে যায়।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার আসামিরা উক্ত হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট জেলা পুলিশ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে আসামি খুশনাহার ও নাদিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় খুশনাহারের পরকীয়া প্রেমিক মাহিন ও তার আরেক সহযোগী রাকিবকে গ্রেপ্তারে কিশোরগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করছিলো পুলিশ।
এছাড়া প্রেস ব্রিফিং শেষ হওয়া মাত্র খবর আসে-ওই দুইজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার ওই দুইজনকে সিলেট নিয়ে আসা হবে এবং আগে গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনকে আজই আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে মামলা, আটক ১
শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায়: আদালত চত্বরে বিক্ষোভ, ছাত্রদল নেতা আটক
১ বছর আগে