গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আমরা ২০০৮ সাল থেকে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে নেমেছি: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপি ২০০৮ সাল থেকে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে নেমেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নগরীর শিববাড়ি মোড় জিয়া হল চত্বরে র্যালির আগে খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘হাসিনার পতন দেখেছি, কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের গণতন্ত্র এখনও ফিরে পাইনি। একটি সুস্থ, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং নিজের ভোট নিজে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এই আন্দোলন চলমান। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেব, দিনের ভোট দিনে দেব। কোনো রাতের ভোট না।’
আরও পড়ুন: বিদেশি শক্তির ‘দালালি’ করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না: গয়েশ্বরের হুঁশিয়ারি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আপনি সফল হন আমরা এটাই চাই। একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যতটুকু সময় লাগে, ততটুকু সময় আমরা দেব। আমাদের নির্বাচন চাই। তারিখ ঠিক করে জানিয়ে দেন এত মাসের, এত তারিখ নির্বাচন। আপনারা প্রস্তুতি নেন। আমরা সব রাজনৈতিক দল মাঠে নামি। নির্বাচনি প্রস্তুতি নিই।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের বিরোধী দল ভাববেন না। বিএনপি একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা আপনাদের সব কাজের সমর্থনকারী। আপনারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল, কোনো রাজনৈতিক দল না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা আছেন, তাদের প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেবেন। আপনাদের কাজ জাতিকে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আপনারা আমাদের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করেননি, শুধু কয়েকটা মামলা প্রত্যাহার করেছেন। আমার ৬০টা মামলা। হাসিনা নেই, আমি কেন আদালতে হাজিরা দেব। কেন আমাদের নেতাকর্মীদের হাজিরা দিতে হয়। তারা কি চুরি, খুনের মামলার আসামি? তারা রাজনৈতিক মামলার আসামি। সেই মামলা মোকাবিলা করে আমাদের আন্দোলনের ফসল আপনারা। আপনারা সঠিক কাজের উদ্যোগ নিন, আমরা আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে সহযোগিতা করব।
বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি খুলনা বিভাগ এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা।
খুলনা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, বিএনপির বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির জাতীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, উদ্বেগ ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে: গয়েশ্বর
২ মাস আগে
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, উদ্বেগ ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে: গয়েশ্বর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি সমস্যা নয়, উদ্বেগের বিষয় হলো ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করতে দেবে কি না, বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। যে কারণে (আবরার ফাহাদ হত্যার) বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল, তারা দেখবে এমন পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত আছে কি না এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিএনপি নাটোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আহত দেওয়ান শাহিনকে দেখতে গিয়ে সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কয়েকজনের হামলায় দেওয়ান শাহিন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে: ভিসি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও খারাপ ছিল।সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মানিক ‘ধর্ষণের সেঞ্চুরি’ উদযাপন করেছিলেন। ‘এটি জাতির জন্য কলঙ্ক ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই লজ্জাকে অলংকার বলে মনে করে।’
প্রশাসনের মদদে তারা বেপরোয়া আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নৃশংসতা চালিয়ে এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতায় আছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে নাটোর বিএনপি নেতারা আ. লীগের নেতা-কর্মীদের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ‘নিপীড়ন সত্ত্বেও নেতা-কর্মীরা বিএনপিকে ছাড়েনি। সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের যে দৃশ্য, নাটোরেও একই রকম।’
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
আওয়ামী লীগকে একটি বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া তারা (আ. লীগ) রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং তাদের বর্বরতার জবাব দিতে প্রস্তুত হতে হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ শোনার জন্য সরকার অপেক্ষা করছে। ‘আমার ধারণা গণভবনে তার মৃত্যুর খবর শুনলেই মিষ্টি বিতরণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের কাছে আমাদের কিছু আশা করার নেই। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তারা যা করছে তা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।’
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: গয়েশ্বর
৭ মাস আগে
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে জনগণের দাবি মানতে হবে: গয়েশ্বর
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে সরকারকে দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে মাথা নত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের সমর্থন নেই এই সরকারের প্রতি... সরকারকে মাথা নত করতে হবে ১৮ কোটি মানুষের কাছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশগুলো তাদের দায়িত্ব হিসেবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, সরকার বিদেশিদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে কি না তা নিয়ে তাদের দল একদমই উদ্বিগ্ন নয়, কারণ জনগণই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদেশিরা মানুষের পক্ষ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ক্রমান্বয়ে দেশ ছাড়ছে: গয়েশ্বর
বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে এবং বিদেশিরা গণতন্ত্রের কথা বলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই এবং তারা (বিদেশিরাও) দেশে ন্যায়বিচার চায়। তারা জনগণের অধিকার লঙ্ঘন দেখতে চায় না। তারা মানবাধিকারের কথা বলে এবং হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তোলে...তারা তাদের নিজস্ব বিবেচনা থেকে আমাদের দেশের জনগণের পক্ষে কথা বলছে।’
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি সামাজিক ন্যায়বিচার, বহুদলীয় গণতন্ত্র, জনগণের ভোটের অধিকার এবং তাদের অন্যান্য সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে রাজপথে লড়াই করছি।
গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমান ফ্রন্টে ৯মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জিয়াউর রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তার জানাজায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল, যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জিয়ার শেরেবাংলা নগরের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাতেও যোগ দেন।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান ও এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম খান, এডভোকেট আবুল মাল আবদুল মুন্না প্রমুখ। ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুন নবী খান সোহেল, প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও প্রয়াত রাষ্ট্রপতির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯ দফা সনদ নিয়ে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তাকে হত্যার পর তার বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
১ বছর আগে
গয়েশ্বরের ডিবি অফিসে দুপুরের খাবার খাওয়ার ভিডিও ছড়ানোতে কোনো দোষ দেখেন না কাদের
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অসুবিধা দেখছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দুপুরের খবার খাওয়ানোর ভিডিও প্রকাশের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘তো হয়েছে কী? যা সত্য, সেটা আসছে; অসুবিধা কী? যেটা সত্য এটা আসছে, সেটা তো আর কিছু বলার নেই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি কেন খেলেন এটা জিজ্ঞেস করেন। এত ক্ষুধা রাজনীতিক নেতার? কীসের রাজনীতিক? তিন দিনও খাইনি আমরা একসঙ্গে। আন্দোলনে হয়তো উনার ক্ষুধা লাগছে। ক্ষুধা লাগছে উনি খেয়েছেন। আমানের বিষয়টা সৌজন্য। তিনি একজন রাজনৈতিক কর্মী, তার কাছে নেত্রী কিছু ফল পাঠিয়েছেন, এটি পাঠাতেই পারেন। রাজনীতিতে সৌজন্যতা তো বিদায় নেবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
এ ধরনের ভিডিও প্রকাশের রাজনৈতিক শিষ্টাচার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা কি রাজনৈতিকরা করছে? গোয়েন্দার কাজই তো এটা। গোয়েন্দা গোয়েন্দাই। সে তো তথ্য নিয়ে বের করার জন্য বসে আছে। বিপ্লব বড়ুয়া বা আরাফাত গিয়ে তো করেনি।’
শনিবার ডিবি অফিসের প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে গয়েশ্বর দুপুরের খাবার খাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধোলাইখাল থেকে ওই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গয়েশ্বর বলেন, ডিবি কার্যালয়ে তার দুপুরের খাবারের ভিডিও ও ছবি মানুষকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া একটি নিম্নরুচির পরিচায়ক এবং অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য কাজ।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
আন্দোলনে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: কাদের
১ বছর আগে
ডিবি অফিসে খাবার খাওয়ার ব্যাখা দিলেন গয়েশ্বর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শনিবার আটকের সময় পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
রবিবার (৩০ জুলাই) নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ডিবি কার্যালয়ে তার দুপুরের খাবারের ভিডিও ও ছবি জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়া একটি নিম্ন রুচির পরিচায়ক এবং একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য কাজ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও জানান, সোনারগাঁও হোটেল থেকে ডিবি অফিসের আনা খাবার খান নি তিনি; তার পরিবর্তে ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদের বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার খান তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যারা এটা করেছে (ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে) তারা তাদের নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছে। এটি এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক এবং আমি জানি না কে এর স্ক্রিপ্ট লিখেছেন।’
আরও পড়ুন: আটকের পর ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের ভোজ
শনিবার ডিবি অফিসের প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে গয়েশ্বর দুপুরের খাবার খাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধোলাইখাল থেকে ওই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, রক্তচাপ কমে যাওয়ায় ডিবি কর্মকর্তারা তাকে খেতে অনুরোধ করেন।
প্রবীণ এই নেতা বলেন, ‘তারা বলল, স্যার আপনি সারাদিন কিছু খাননি। আমরা শুনেছি আপনি পানিও পান করেননি। আপনাকে স্যালাইন দিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হবে। কিছু না খেয়ে স্যালাইন নেবেন? আমাদের যা আছে তা একটু খান। আমরা আপনাকে না খাইয়ে রাখতে পারি না। কারণ আমরা আপনাকে গ্রেপ্তার না করলেও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাইনিং রুমে ঢুকে দেখলাম খাবারের বিশাল আয়োজন…আমি বললাম সোনারগাঁও বা অন্য কোন হোটেলের খাবার আমি খাই না। আমি ৯০ভাগ নিরামিষাশী এবং আমি এক বা দুটি আইটেমের বেশি খাই না। আমি দেখেছি যে তারা ছবি তুলছে এবং আমি তাদের বলেছিলাম যে খাবারের সময় ছবি তোলা কোনও ভদ্রলোকের কাজ নয়।’
পরে তিনি বলেন, ডিবি প্রধান তার (হারুনের) বাড়ি থেকে আনা খাবার নিয়ে আসতে বলেছেন তার কর্মীদের।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ক্রমান্বয়ে দেশ ছাড়ছে: গয়েশ্বর
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (হারুন) টিফিন ক্যারিয়ার থেকে আমাকে দুই চামচ সাদা ভাত দিয়েছিলেন। আমি তাকে শুধু তার সবজি দিতে বললাম। তারপর তিনি বললেন, স্যার এক টুকরো রুই মাছ নিন, এটা কিশোরগঞ্জ থেকে আনা হয়েছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, এর আগেও অনেকবার ডিবি অফিসে গিয়েয়েন তিনি। সেসময় আশেপাশের হোটেল থেকে খাবার দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করা হত। কিন্তু সোনারগাঁ থেকে এবার খাবার কেনার তহবিল দিল কে? তাদের কি এটা করার নিয়ম আছে? যাদের তারা হেফাজতে নেয় তারা কি তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করে? তাই বোঝা যায়, তারা লোক দেখানো নাটক মঞ্চস্থ করেছে। এটি একটি নিম্ন রুচির পরিচয়। বাংলাদেশের মানুষ এতটা বোকা নয় যে সাজানো ছবি ও ভিডিও দেখে বিপথগামী হবে।
গয়েশ্বর বলেন, গয়েশ্বর রায়ের মাথা কেনার মতো এত টাকা রাষ্ট্রের নেই। ‘রাষ্ট্রের ক্ষমতা আছে আমাকে এক গুলিতে মেরে ফেলার এবং ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো আমাকে গুম করার ক্ষমতা আছে... কিন্তু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো একজনকে কেনার ক্ষমতা সরকারের নেই।’
রাজধানীর ধোলাইখালে দলটির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গয়েশ্বরকে পিটিয়ে আহত করে।
পরে মাথা কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আটক করে প্রথমে ওয়ারী থানায় ও পরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন। তারপরে তাকে তার কার্যালয়ের সামনে নামিয়ে দেওয়া হয়।
তার ওপর হামলার বর্ণনা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ধোলাইখালে রাজধানীর প্রবেশপথে তাদের দলের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে জড়ো হলে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে, যার ফলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘আপনারা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছেন যে কীভাবে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছিল... তারা আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই এবং তারপরও তারা আমাকে মারধর করে। দেখে মনে হচ্ছে তারা একটি সাপকে মারছে।’
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে তার কার্যালয়ে গয়েশ্বরকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
১ বছর আগে
হিন্দুদের ব্যাপারে বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের সাম্প্রতিক দাবির নিন্দা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সাম্প্রতিক দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করেন যে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা ধীরে ধীরে ‘নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা আরও জানিয়েছেন, বাইডেনের কাছে দেওয়া চিঠিতে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থান সম্পর্কে দেওয়া তথ্য ‘ত্রুটিযুক্ত অনুমান’, বিএনপি নেতাদের এধরনের তথ্য সমর্থন করার প্রবণতা, জাতীয় নির্বাচনের আগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
২০১৪ এবং তার আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর বারংবার হামলার কথা উল্লেখ করে তারা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকেও দায়ী করেছেন।
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠির বিরুদ্ধে তার আগের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে এটিকে ‘সত্যের অপলাপ’ বলে অভিহিত করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন: ‘১৯৭৭ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের ছত্রছায়ায় দেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির নীতিগুলো ধ্বংস হয়ে যায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেল জিয়া এবং জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বাধীন ধারাবাহিক সরকারগুলো সবাই পাকিস্তানপন্থী সাম্প্রদায়িক শাসনের প্রবর্তন করে এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আলিঙ্গন করে একই পথ ধরে হেঁটেছে।’
দাশগুপ্ত বলেন, মানুষের অবশ্যই ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের অধীনে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় হামলার ঘটনা বিবেচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: আরেকটি সাজানো নির্বাচন করতে সরকার পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ঘটেছে।
বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা, শিক্ষাবিদ এবং যুদ্ধাপরাধ বিরোধী প্রচারকারীরা সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের অনুমান ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
তারা আরও বলেছে যে এটি ‘বাংলাদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি।’
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা আসার পর থেকে হিন্দু জনসংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে... শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান জনসংখ্যাকেও নিপীড়ন করেছে; উপাসনালয় জ্বালিয়ে দেওয়া ও লুটপাট করা, যাজকদের কারাগারে বন্দী করা এবং ধর্মান্তরিত করার মাধ্যমে পরিবার ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।’
আর্চবিশপ ইমেরিটাস প্যাট্রিক ডি'রোজারিও এর আগে বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে ‘নির্যাতিত’ হিসেবে চিত্রিত করার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
এই ধরনের বক্তব্যকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করে ঢাকার প্রাক্তন আর্চবিশপ জোর দিয়ে বলেছিলেন যে সরকার ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।
প্রায় ২০০ বিশিষ্ট বাংলাদেশি আমেরিকানদের একটি দল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে যে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে।’
বাংলাদেশি আমেরিকানদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চিঠিতে ২০০১ সালের অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন জোট হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেসব হামলা করেছিল।’
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত: গয়েশ্বর
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত: গয়েশ্বর
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সোমবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এক দশক পর রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক আলোচনায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে সভা করতে পারে, কিন্তু কিছু মানুষ ভাবছেন যে সরকারের সঙ্গে চুক্তির পর ইসলামপন্থী দলকে দীর্ঘদিন পরে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিনা।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আসলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সরকার জামায়াতকে (সমাবেশ করার) অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছিল। প্রত্যেককে (ক্ষমতাসীন দলের) এখন সকাল-বিকাল রক্তচাপ এবং সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে কারণ তারা বুঝতে পেরেছে সবকিছুর শেষ আছে।’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কাছে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার একটাই পথ খোলা আছে। তা হলো জনগণের মালিকানা এবং তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং ১০ দফা মেনে নেওয়া।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধী দল তাদের ১০ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসতে রাজি নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে আপনাদেরকে (সরকার) বিদায় জানানোর। আমরা এখন আলোচনায় বসবো কেন? আমরা প্রতিদিন যা বলছি, তাই সংলাপ, কিন্তু আপনারা তা শুনছেন না।’
গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ বিএনপির ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি আগে মেনে নিতে হবে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারি... আমরা এটাই চাই।’
আরও পড়ুন: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল
লোডশেডিং: ১৩ ও ১৬ জুন মহানগরীগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি
১ বছর আগে
২০২৩ হবে দেশপ্রেমিক মানুষের সাফল্যের বছর
২০২৩ সাল হবে দেশপ্রেমিক মানুষের সাফল্যের বছর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছিলেন, আমাদের লক্ষ্য সাফল্য অর্জন করা। আমরা আশা করি ২০২৩ সাল হবে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষের জন্য সাফল্যের বছর।
আরও পড়ুন: ৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার বছরও হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকে জাতি যা অর্জন করেছে তাতে ছাত্ররা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, জনগণ আশা করছে, শিক্ষার্থীরাও এখন দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণমুখী সরকার প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
আমরা আশা করি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ করবে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অন্যায়ের প্রতিবাদের চেতনাকে কখনো দমিয়ে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
১ বছর আগে
জনগণকে ‘চরম দুর্ভোগে’ ফেলায় সরকারের সমালোচনা বিএনপির
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে সরকার দেশের মানুষকে ‘চরম দুর্ভোগে’ ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সরকার দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনগণকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। এ সমাবেশে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর।
আরও পড়ুন: জোনায়েদ সাকির ওপর হামলায় বিএনপির নিন্দা
এ সময় তিনি জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমাতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং জনগণের ভোটে কখনোই নির্বাচিত হতে পারবে না।
আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির অনুসারী ও স্থানীয় জনগণকে সংগঠিত করতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যা করা দরকার তা করতে হবে... জনগণের সংগ্রাম কখনই বৃথা যায় না এবং কখনও বিফলে যায় না। দলমত নির্বিশেষে সবাই এই সরকারের পদত্যাগ চাইছে।’
আরও পড়ুন: কন্টেইনার ডিপোতে আগুন: সরকারের অবহেলাকে দুষল বিএনপি
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল গণতন্ত্র ধ্বংস, মানুষ হত্যা, প্রতারণা ও লুণ্ঠন করে ক্ষমতায় টিকে আছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা এখন শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি নিয়ে আন্দোলন করবে। ‘এই সরকারকে অপসারণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। রাজপথে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
২ বছর আগে
শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাদের দল শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) আয়োজিত ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই সঙ্কটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘সর্ববৃহৎ জোটের প্রধান দল বিএনপি এই ভাবনাকে (জাতীয় ঐক্য) কেন্দ্র করে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সেই প্রচেষ্টা ও ভাবনা চলমান। যেকোনো মুহূর্তে আমরা জাতির সামনে সেটা উপস্থাপন করব।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেবেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘তিনি (তারেক) আগামী দিনে আন্দোলনের রূপরেখা উপস্থাপন করবেন। এই ব্যাপারে (আন্দোলনের রূপরেখা) আমাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, জাতীয়তাবাদী শক্তির মধ্যে শক্তিশালী ঐক্য গড়ে উঠলে ষড়যন্ত্রকারীরা দুর্বল হয়ে পড়বে। জাতীয়তাবাদী শক্তি বিভক্ত থাকলে সুবিধাবাদীরা শক্তিশালী হবে এবং লুণ্ঠন ও দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের ‘ফ্যাসিবাদী’ কর্মকাণ্ড বিরোধী দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্যকে দূরে সরিয়ে একত্রিত হতে উৎসাহিত করছে। ‘গত এক মাসে বিরোধী নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে এটি স্পষ্ট’।
তিনি বলেন, বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না। ‘আমরা এই সরকারের পতন চাই। বর্তমান সংসদও ভেঙে দিতে হবে।’
দল আন্দোলনের মধ্যেই রয়েছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর জানান, তারা তাদের আন্দোলনের রূপরেখা অনুসারে একটি সঠিক এবং অনুকূল সময়ে এটিকে (আন্দোলন) তীব্র করবে। ‘বর্তমানে আমাদের কৌশল হল আক্রমণ হলে পাল্টা আঘাত করা।’
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যভাবে হতে পারে না। ‘শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা। নির্বাচনের আগে তাকে ক্ষমতা থেকে সরতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল শুধু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন বর্জন করবে না, তার অধীনে কোনো নির্বাচনও হতে দেবে না বিএনপি।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্ত করতে নির্বাচনে ইভিএম চায় আ.লীগ: বিএনপি
২ বছর আগে