গম
আর্জেন্টিনা থেকে গম এলো চট্টগ্রাম বন্দরে
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেটিনা থেকে আবারও ৫২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি ইন্ডিগো ওমেগা নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ইমদাদ ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা থেকে এলো ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম
এর আগে ৫ জানুয়ারি আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার ২০০ টন গম নিয়ে এসেছিল এমভি ইলপিডা জিআর নামে আরেকটি জাহাজ।
মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে এমভি ইন্ডিগো ওমেগা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার গম খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
২৬ দিন আগে
ইউক্রেন থেকে আমদানি করা গম দেশে পৌঁছেছে
ইউক্রেন থেকে আমদানি করা গম দেশে এসে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ৫২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি এনজয় প্রসপারিটি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের কুতুবদিয়ায় এসে পৌঁছেছে।
উন্মুক্ত দরপত্রের চুক্তির আওতায় ইউক্রেন থেকে এসব গম আমদানি করা হয়েছে।
এটিই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্য শস্যের প্রথম চালান।
আরও পড়ুন: ১৬ দিন ধরে তামাবিল দিয়ে পাথর ও কয়লা আমদানি বন্ধ
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের কাজ শুরু হবে।
জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম জানান, জাহাজে রক্ষিত গমের মধ্যে ৩১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চট্টগ্রামে বন্দরে খালাস করা হবে। এরপর অবশিষ্ট ২১ হাজার মেট্রিক টন গম মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে গম খালাসের জন্য আনুমানিক ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে ফের পেঁয়াজ ও আলু আমদানি শুরু
৮৯ দিন আগে
বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে আলোচনা
বাংলাদেশে গম রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্টিটস্কি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এ আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিসে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও গম রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকালে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
রাশিয়াকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত: হাছান মাহমুদকে ল্যাভরভ
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে রাশিয়া ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।’
এ সময় দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খাদ্য মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে গম রপ্তানির আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ সময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
৪১৮ দিন আগে
ধান-গমের বিকল্প খাবার হতে পারে কাসাভা
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই সময়ে মানব জাতিসহ গৃহপালিত প্রাণির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে বৈরি আবহাওয়ায় ধান ও গমের উৎপাদন কমছে। অপরদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। এমন অবস্থায় ধান, গম, চালের উপর নির্ভরতা কমাতে পারে কাসাভা। বাংলাদেশে কাসাভা সাধারণত শিমুল আলু নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ২ বানর
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ ও বিজ্ঞান বিভাগের সম্মেলনকক্ষে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কৃষি অনুষদের ফসল উদ্ভিদ ও বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির কাসাভার বিভিন্ন গুনাগুণ, ব্যবহার ও কাসাভা চাষের সম্ভাবনা ও প্রতিকূলতা সম্পর্কে তার গবেষণালব্ধ তথ্য উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।
সম্মেলনে গবেষক ছোলায়মান আলী ফকির জানান, কাসাভা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শর্করা জাতীয় খাদ্য এবং প্রায় ৮০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য।
তিনি আরও জানান, এটি শর্করা, আমিষ, চর্বি, আঁশ, খনিজ দ্রব্য, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, লৌহ ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি উচ্চ তাপমাত্রা ও কম উর্বর মাটিতেও জন্মাতে সক্ষম। সিদ্ধ করে, পুড়িয়ে এমনকি গোল আলুর মতো অন্যান্য তরকারির সঙ্গেও রান্না করে কাসাভা আলু খাওয়া যায়।
তিনি জানান, কাসাভা আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি, পরোটা, কেক, পিঠা তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। আমেরিকার দেশ হাইতি, মেক্সিকান রিপাবলিক, পেরাগুয়ে, পেরু, আফ্রিকা তানজানিয়া, কেনিয়া, জাম্ববিয়া, ঘানা, নাইজেরিয়া ও এশিয়ার ভিয়েতনাম, ভারতের কেরালা ও তামিলনাড়ু রাজ্যে, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে এই আলু স্যুপ, চিপস, ট্যাপিওকা (সাগুসদৃশ খাবার), পুডিং ইত্যাদি হিসেবে খাওয়া হয়।
এছাড়া কাসাভার পাতায় ডিমের মতো পুষ্টিগুণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
ছোলায়মান আলী ফকির জানান, দেশের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে এই পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। তাছাড়া এ পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের পর উদ্ভাবিত পিলেট ও আটা গরু, ছাগল, মহিষ, মাছ ও পোল্ট্রিকে খাবার হিসেবে দেওয়া যায়। তবে কাসাভা গাছের সর্বত্র বিষাক্ত সায়ানোজেনিক গ্লুকোসাইড থাকে। তাই বিষাক্ত কিছু জাতের কাসাভার ডগা ও পাতা খেয়ে গরু-ছাগল মারা যেতে পারে। তবে সিদ্ধ বা প্রক্রিয়াজাত করলে এই বিষক্রিয়া আর থাকে না।
৪৬৫ দিন আগে
রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন,বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আলোচনা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা গম এবং সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করছে।’
বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর ল্যাভরভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এই সত্যটির প্রশংসা করি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ করা সত্ত্বেও আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুরা তাদের জাতীয় স্বার্থে একচেটিয়াভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’
এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর আরও এক ঘণ্টার নৈশভোজে দুই পক্ষ রোহিঙ্গা ও ইউক্রেন সংকটসহ সব দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশকে খাদ্যশস্য, জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশি রপ্তানি শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য আমরা একটি রোড ম্যাপেও সম্মত হয়েছি।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা কাজের পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। যেমন প্রতি বছর বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে দুই দেশ এটিকে পরিচালনার একটি স্থায়ী উপায়ে পরিণত করবে।
ল্যাভরভ রোহিঙ্গা সংকটের কথা বলেন এবং বলেন যে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান কথোপকথনকে সমর্থন করে।
তিনি বলেন, তারা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অব্যাহত আলোচনাকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ল্যাভরভ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে বাইরের নেতাদের কেবল পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে নিজেদের সীমাবদ্ধ করা উচিত। রাশিয়ান ফেডারেশন মিয়ানমারের সঙ্গে তার প্রেক্ষাপটে ঠিক এটিই করছে এবং তা চালিয়ে যাবে।’
তবে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোনো একটি পক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বাইরের কিছু নেতা এই বিষয়গুলো ব্যবহার করে এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে।
ল্যাভরফ আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এটি উভয়ই বিপরীতমুখী এবং অগ্রহণযোগ্য।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে ও জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন।
বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি ভালো ও দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ জোরদার করছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়েও কথা বলেন এবং এর ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসায় আমরা খুবই আনন্দিত। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, তারা রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাশিয়ায় বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
মোমেন বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই আলোচনা ও আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের প্রক্রিয়াকালীন রাশিয়া যে ভূমিকা পালন করেছিল তা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। যেমন- ১৯৭১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক জনপ্রিয় সংগ্রামে সহায়তা এবং নবগঠিত রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করেছিল।
রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারপর থেকে আমাদের সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অপরের স্বার্থ বিবেচনার নীতির উপর ভিত্তি করে।’
ল্যাভরভ বলেন, ‘আমি ইতিবাচক যে আমাদের আলোচনা এই প্রবণতাকে পুনঃনিশ্চিত করবে এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করবে।’
তিনি বলেছিলেন যে তারা এই অঞ্চলে তাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে যাতে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার কোনও প্রচেষ্টা রোধ করা যায়।
প্রবণতা এবং বিনিয়োগ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে দুই বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। প্রধান রাশিয়ান রপ্তানির মধ্যে রয়েছে শিল্প সরঞ্জাম, ধাতু, খনিজ সার এবং গম।
রাশিয়ায় প্রাথমিক আমদানি মূলত পোশাক এবং সামুদ্রিক খাবার। ২০২২ সালে প্রতিকূল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের বাণিজ্য ২১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন হয়েছে।
এই নেতিবাচক প্রবণতা কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা নিয়ে আন্তঃসরকারি রাশিয়ান-বাংলাদেশ কমিশন অন ট্রেড, ইকোনমিক এবং সায়েন্টিফিক-টেকনিক্যাল কোঅপারেশন নিয়ে আলোচনা করবে।
কমিশনের প্রথম সভা মস্কোতে ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর, দ্বিতীয়টি ঢাকায় ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর এবং তৃতীয় ও চতুর্থটি যথাক্রমে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর নির্মাণ দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের প্রধান প্রকল্প।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মস্কো দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী
রাশিয়ান পক্ষ বলেছে, ২০২৪-২০২৫ সালে এর কমিশনিং বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে একটি যুগান্তকারী হিসাবে আসবে।
একই সময়ে, এর নির্মাণে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা রাশিয়ার ১০০ টিরও বেশি শিল্প কোম্পানির জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাজ নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশে প্রথাগত জ্বালানিতে রাশিয়ার দক্ষতার খুব বেশি চাহিদা রয়েছে।
গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি গ্যাজপ্রম সাবসিডিয়ারি সে দেশে সফলভাবে কাজ করছে।
২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এটি টার্নকি ভিত্তিতে বাংলাদেশে ২০টি গ্যাসক্ষেত্র কূপ খনন ও সম্পন্ন করেছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসেছেন যা পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
স্বাধীনতার পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন যাত্রার আগে তিনি ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষ করে ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
গত বছলের২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২২তম আইওআরএ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে যোগদানের জন্য ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল ল্যাভরভের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সফর স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মস্কো দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী
৫৫০ দিন আগে
চাল, গম আমদানি: ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম এলসি মার্জিন রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাজারদর সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যাংকগুলোকে চাল ও গম আমদানিতে ন্যূনতম এলসি মার্জিন (নগদ অগ্রিম) রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আজ তা সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম স্তরে এলসি মার্জিন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দিন, চাল ও খাদ্য সামগ্রী নিন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ বর্জ্যমুক্ত করতে বিদ্যানন্দের উদ্যোগ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাতের কারণে চাল, গম এবং ফসলের দাম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখছে। ফলস্বরূপ, বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহন খরচ বেড়েছে, যা স্থানীয় বাজারে দামকে প্রভাবিত করে।’
চাল ও গমের আমদানি ও সরবরাহ চ্যানেল স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম এলসি মার্জিন রাখতে বলেছে।
রমজান মাসে তাদের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলার সময় আমদানিকারকদের কাছ থেকে ন্যূনতম নগদ অগ্রিম নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও নির্দেশ দিয়েছে।
রমজানে সাধারণত ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, মশলা ও খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে জিনিসপত্রের দামও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে এলসি মার্জিন কমানো হয়েছে
বিদেশি মুদ্রা আদায়ে এলসি মার্জিন বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
৮১৮ দিন আগে
চট্টগ্রাম পৌঁছেছে ইউক্রেনের সাড়ে ৫২ হাজার টন গম
ইউক্রেন থেকে গমের প্রথম চালান নিয়ে ‘ম্যাগনাম ফরচুন’ নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙরে নোঙর করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে খাদ্য নিয়ন্ত্রক (স্টোরেজ অ্যান্ড মুভমেন্ট) আবদুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকালে সরকারি এসব গম নিয়ে জাহাজটি বহির্নোঙরে পৌঁছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে বাড়ির ছাদের ট্যাংকে গৃহবধূর লাশ!
জাহাজটিতে প্রথম চালানে ৫২ হাজার ৫০০ টন গম রয়েছে। নমুনা সংগ্রহের পরেই গমগুলো খালাসের বিষয়ে নেয়া হবে সিদ্ধান্ত।
সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারত থেকে গম আমদানির চেষ্টা করে সরকার। ভারত রাজি না হওয়ায় রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে জিটুজি ভিত্তিতে গম আনার চুক্তি হয়। যার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে দুই চালানে রাশিয়া থেকে আসে এক লাখ টনের বেশি গম।
এ বিষয়ে আবদুল কাদের জানান, বৃহস্পতিবার ইউক্রেন থেকে আসা জাহাজ থেকে গমের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে ল্যাব টেস্টে চুক্তি অনুযায়ী ধরন ও মান ঠিকঠাক থাকলে আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শুরু হবে খালাস প্রক্রিয়া।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের দানাদার খাদ্যশস্যের মজুত বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। সন্তোষজনক এই মজুদ ধরে রাখতে আমরা আমদানি বাড়াতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমদানি চুক্তির আওতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার থেকে সব গম দেশে এসে পৌঁছালে আমাদের মজুদ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাম্পিং এ ফেলে দেয়া মিট অ্যান্ড বোন মিল পণ্য পাচার কালে ১০ ট্রাক জব্দ
চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাংক ও ১০টি দোকান পুড়ে ছাই
৮৫১ দিন আগে
ব্যবসায়ীরা কানাডা থেকে গম আমদানি করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউক্রেন-রাশিয়ার বাজার বন্ধ থাকায় কানাডাসহ অন্য দেশ থেকে গম আনা শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। গমের বাজারও স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গমের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এটা নিয়ে আমাদের এক বড় ব্যবসায়ী বললেন, তাদের একটি জাহাজ তুরস্কে আটকে ছিলো। সেটা রওনা হয়েছে। সেখানে ৫৫ হাজার টন গম রয়েছে। অর্থাৎ গমেরও সরবরাহ বা সাপ্লাই ঠিক হয়ে যাবে। তবে ইউক্রেন হলো আমাদের প্রধান সরবরাহকারী দেশ। সেখান থেকে আনতে পারলে গমের বাজার স্থিতিশীল হবে। তবে এখন দাম বেশি পড়লেও দেশের ঘাটতি মেটাতে কানাডা থেকে এনে আনার দেয়ার চেষ্টা করছি। অনেক ব্যবসায়ীরা কমিটমেন্ট করেছে তাদের যা প্রয়োজন তা আনতে পারবে।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, যে পরিমাণ গম আমাদের আমদানির কথা ছিলো সেখানে একটু ঘাটতি দেখছি। ইউক্রেন রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলে গম সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তবে আমাদের ব্যবসায়ীরা এই বাজারে সমস্যার জন্য অন্য বাজার থেকে গম কেনা শুরু করেছে। যদিও দাম একটু বেশি পড়ছে। কানাডা থেকে আসছে তাদের মানও ভালো। এই বাজারটা যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে আমাদের কোন সমস্যা থাকবে না।
গত দুই তিন দিনে ডালের দাম প্রায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন টিসিবির মাধ্যমে আমাদের নির্ধারিত দামেই দিচ্ছি। ডালের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। সে কারণে হয়তো দাম কিছুটা বাড়তে পারে। ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে দেখবে তারা যে দামটা বাড়িয়েছেন সেটা যৌক্তিক কিনা সেটা তারা দেখবে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে সে প্রভাবটা এখানে এসে পড়েছে।
সভায় রড সিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,আমাদের আরও একটু ডিটেলে যেতে হবে। বিশ্ববাজারে দাম কমার ফলে আমাদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা ছিলো ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সে সুবিধা পাচ্ছি না। এখন ডলারের দাম যদি কমে তাহলে আমরা ভোক্তাদের সে সুবিধা দিতে পারবো। খাদ্যের যে উৎপাদন সব মিলিয়ে খাদ্যের কোন সমস্যা হবে না। মানুষের মূল ফোকাস থাকে খাদ্যে। সেটা ঠিক থাকলে কোন সমস্যা হয় না। অন্যদিকে আপস করা যায় কিন্তু খাদ্যে আপস করা যায় না।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
৮৫৮ দিন আগে
রাশিয়া থেকে গম, ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি করবে সরকার
সরকার রাশিয়া থেকে পাঁচ লাখ মেট্রিকটন গম এবং ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্তিপরিষদের কমিটি এই প্রস্তাবনাসহ আরও কয়েকটিতে অনুমোদন দেয়।
খাদ্যমন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, রাশিয়া থেকে মোট দুই হাজার ৪২ দশমিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাশিয়া থেকে এই গম আমদানি করা হবে।
রাশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী পুরো আমদানি প্রক্রিয়ায় খরচ হবে ২১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রাশিয়া থেকে আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলারের বিকল্প মুদ্রা রুবল ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিপরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত হলো ডলারে এই আমদানি ব্যয় মেটানো হবে। বিকল্প কোন মুদ্রা নেই যা এই ক্রয়ে ব্যবহার করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ক্রয় প্রস্তাবনায় রাশিয়ার কোন বন্দর ব্যবহার করে আমদানি করা হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রতি মেট্রিক টন রাশিয়ার গমের মূল্য পড়বে ৪৩০ মার্কিন ডলার (প্রতি ডলার ৯৫ টাকা হারে) যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ৪০ দশমিক ৮৫ পয়সা।
খাদ্যমন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ৪১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভারত থেকে এক লাখ মেট্রিক টন অবাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করা হবে।
এই আমদানিটি দুটি ভাগে সম্পন্ন হবে। এরমধ্যে ৭০ হাজার মেট্রিকটন চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এবং বাকী ৩০ হাজার মেট্রিকটন স্থলপথে আমদানি করা হবে।
বন্দর দিয়ে আমদানিতে প্রতিকেজি চালের মূল্য পড়বে ৪২ দশমিক ১৩ টাকা আর স্থলপথে পড়বে ৪০ দশমিক ৭০ টাকা। প্রতি মেট্রিকটন চালের মূল্য পড়বে ৪৩৩ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
পড়ুন: চাল-গমের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
আরেকটি আমদানি প্রস্তাবনার আওতায় ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার মেট্রিকটন অবাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করবে খাদ্যমন্ত্রণালয়। এরমধ্যে দুই লাখ মেট্রিকটন অবাসমতি চাল ও ৩০ হাজার মেট্রিকটন আতপ চাল।
এতে প্রতিকেজি সিদ্ধ চালের মূল্য পড়বে ৪৯ দশমিক ৪৯ টাকা আর আতপ চাল ৪৬ দশমিক ৯৩ টাকা।
একটি ভারতীয় কোম্পানি ভিয়েতনাম থেকে প্রতি মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ৫২১ মার্কিন ডলার ও আতপ চাল ৪৯৪ মার্কিন ডলার মূল্যে সরবরাহ করবে।
একই সঙ্গে এমওপি এবং ইউরিয়া সার আমদানির অনমোদন দেয় ক্রয় কমিটি।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৯৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনার আওতায় বাংলাদেশি এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন(বিএডিসি) দুবাই ফ্যালকো জেনারেল ট্রেডিং থেকে এক লাখ মেট্রিকটন এমওপি সার আমদানি করবে।
এতে প্রতি মেট্রিকটন এমওপি’র মূল্য পড়বে ৯৮০ মার্কিন ডলার যা আগের আমদানিতে পড়েছিলে এক হাজার ১০০ মার্কিন ডলার।
এছাড়া সৌদি ভিত্তিক সাবিক এগ্রি নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ৬০ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া সার দুটি লটে আমদানি করা হবে।
এই প্রস্তাবনার আওতায় বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন(বিসিআইসি) ৩০ হাজার মেট্রিকটনের প্রতি লট ১১৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে আমদানি করবে।
প্রতি মেট্রিকটন ইউরিয়া আমদানিতে খরচ হবে ৬২৪ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার যা আগে একই পরিমাণ আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৫৩৪ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: চালের সরবরাহ বাড়াতে আমদানি শুল্ক আরও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত: খাদ্যমন্ত্রী
৯২২ দিন আগে
বাংলাদেশে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ মানতিতস্কি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে তিন লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে রাশিয়া ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।
প্রাথমিকভাবে তিনি তিন লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও গম রপ্তানীসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী রাশিয়ার গম রপ্তানির আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পূনর্গঠনে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
এসময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর সুবাদে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সাক্ষী হলো মোংলা বন্দর
১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
৯৪২ দিন আগে