নিত্যপণ্য
রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
রমজানকে সামনে রেখে পেঁয়াজ, চিনি ও খেজুরসহ নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক এনগেজমেন্ট বাড়াতে চায় সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
এসময় তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, করাচি-চট্রগ্রাম সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনা, দুদেশের ব্যবসায়ীদের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যক্রম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন।
সরকার দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিতরণ করে থাকে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এর মধ্যে চাল, পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্যতেল ও ডাল অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, সরকারের ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিতরণ মানুষের জীবনকে একটু সহজ করতে ভূমিকা রাখে।
এছাড়া সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে সদস্য দেশগুলো উপকৃত হবে এবং দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরালো হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার অংশ হিসেবে উপমহাদেশে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত।
ইতোমধ্যে পাকিস্তান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এতে সময় ও খরচ কম হওয়ায় দুদেশই উপকৃত হয়েছে।
এসময় তিনি বাংলাদেশে চিনি, পেঁয়াজ ও খেজুর রপ্তানিতে পাকিস্তান সরকারের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানে গম উৎপাদিত হলেও রপ্তানি করা হয় না। তবে উদ্বৃত্ত উৎপাদন হলে গম রপ্তানিতে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: জীবনযাত্রা সহজ করতে কাজ করার অঙ্গীকার নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টার
১ দিন আগে
নিত্যপণ্য আমদানি করতে ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গেও চুক্তি হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
নিত্যপণ্য আমদানির জন্য ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গেও বাংলাদেশের চুক্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বুধবার (২৬ জুন) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
সংলাপে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আমরা কৃষি উৎপাদিত পণ্যগুলো আনতে পারি, যেগুলো তাদের উদ্বৃত্ত আছে।’
এ বিষয়ে একটি চুক্তি প্রায় সম্পন্নের পথে বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। আগামী জুলাই মাসে আমরা সেই চুক্তিটা সই করতে চেষ্টা করব।’
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এই চুক্তি সই করবে বলেও জানিয়েছেন আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি আরও জানান, নিত্যপণ্য জিনিসের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে ভারতের সঙ্গেও একটি চুক্তি করা হবে।
এছাড়াও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আনা যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে, বাজার সচল রাখতে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সীমান্ত হাটগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক দুর্গম এলাকায় আমাদের সীমান্ত আছে। সেসব এলাকার মানুষগুলোর সুবিধার্থে কয়েকটা সীমান্ত হাট করা হয়েছে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘কোভিডের জন্য কিছুটা স্থগিত ছিল, আবার আমরা বর্ডার হাটের দিকে নজর দেব। দুই সরকারেরই বর্ডার হাটের ব্যাপারে আগ্রহ আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা শিগগিরই দুর্গম বর্ডার এলাকায় বর্ডার হাট প্রতিষ্ঠা করব।’
এতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অনেক সহজ হবে বলে জানান তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২৩টি দেশে আমাদের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আছেন, যাদের সরাসরি মনিটরিং করা হয়। তাদের জবাবদিহির আওতায় এনেছি। প্রতি মাসে মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি বাণিজ্যের অতিরিক্ত সচিবের কাছে রিপোর্ট করেন তারা।’
নতুন মার্কেট খুঁজে পেতে ও পণ্য বাজারজাতকরণ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না: সালমান এফ রহমান
আসন্ন রমজান মাসে দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন রমজানে ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না৷ রমজান মাসে পণ্যের দামও বাড়বে না। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি করবে ভারত।’
রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন৷
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালো ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশকে সব রাষ্ট্র অভিনন্দন জানিয়েছে। কিছুদিন আগে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নির্বাচনের আগে অনেক ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছিল উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এখন গুজব আর নেই। সব গুজব প্রমাণিত হয়েছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হয়েছে। আমরা একটি ভালো সরকার পেয়েছি৷’
এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘কোভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এখন গাজা যুদ্ধের কারণে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা মন্দা চলছে। তবে এসবের প্রভাব মুক্ত করতে হবে। অর্থনৈতিক কয়েকটি বিষয় নতুন করে আমাদের সংস্কার করা হবে।’
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশ কোনো অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে না। আমাদের অর্থনৈতিক শক্তি হলো কৃষিখাত সেটা এখনো সঠিক অবস্থায় আছে। কৃষিতে আমাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সম্পদ। পেঁয়াজ-ডাল-ভোজ্যতেল বাংলাদেশে রপ্তানি করবে ভারত।
দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি করে। রমজান মাসে সরকার বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করেছে। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করেছে।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
৯ মাস আগে
নিত্যপণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভারতের জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীদের সভার আগে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের প্রক্রিয়া প্রণয়নের অগ্রগতির জন্য টিপু মুনশি ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাবিত ব্যবস্থার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তার ক্রমাগত সমর্থন কামনা করেন।
এ সময় টিপু মুনশি সম্প্রতি পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দামের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
এ প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল জানান, বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে ব্যাঘাত, সরবরাহের ঘাটতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ভারতও কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ঘাটতিতে ভুগছে। এ কারণে ভারত সরকারকে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেন, খুব শিগগিরই এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের উপর থেকে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ করলে পীযূষ গোয়েল এ বিষয়ে সর্বোচ্চ বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এ ছাড়া, অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে উপস্থাপন এবং এগুলো নিষ্পত্তি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জি-২০ মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যবান অবদানের প্রশংসা করে বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বকে মূল্যায়ন করে থাকে।
পরে টিপু মুনশি সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী এমই মাজিদ আল কাসাবির সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন।
এর আগে ২৪-২৫ আগস্ট জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীদের সভায় যোগদান দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশসহ গ্র্যাজুয়েশন ট্র্যাকে থাকা দেশগুলোকে ২০২৬ সালের পর এলডিসি দেশসমূহের জন্য প্রযোজ্য শুল্কমুক্ত কোটা মুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সমর্থন প্রদানের জন্য জি-২০ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
আগামী ১৩তম ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্সে (এমসি১৩) এলডিসি থেকে উত্তরণপ্রাপ্ত দেশগুলোর পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি জি-২০ দেশের মন্ত্রীদের অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য বিজনেস-২০ (বি-২০) সামিটে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে আইনের সঙ্গে সচেতনতা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
খুলনায় রমজানের শুরুতেই নিত্যপণ্যের দাম অসহনীয়, দিশেহারা সাধারণ ক্রেতারা
সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান শুরু। চৈত্রের কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় পার করে সকল প্রকার পানাহার হতে বিরত থেকে আল্লাহর মহান হুকুম পালন করতে টানা একটি মাসের সিয়াম সাধনা করবে মুসলিম উম্মাহ।
পবিত্র মাহে রমজান আসলেই যেন হালচাল পাল্টাতে থাকে নিত্যপণ্যের। বিশেষ করে রোজার নৈমিত্তিক কিছু সামগ্রীর। এদিকে মাহে রমজানের শুরুতেই খুলনার নিত্যপণ্যের বাজারে কিছু পরিবর্তন আসতে দেখা গেছে।
যার তালিকায় রয়েছে- ছোলা, চিড়া, মুড়ি, বেসন, ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আলু, খেজুর, কলা, রুহ আফজাসহ অন্যান্য ফল।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, রোজা আসলেই যেন ডাকাতের মতো হয়ে ওঠে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া রোজার কয়েক সপ্তাহ আগে বাজারে তেল, পেঁয়াজ, রসুন, ছোলাসহ অন্যান্য রমজানের প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলোর দাম হু হু করে বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে বাজারে হুমড়ি খেয়ে না পড়লে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না: টিপু মুনশি
এটা নতুন কিছু নয়, আমদের নিত্যনৈমিত্তিক কান্ড।
অপরদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজার অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার স্বাভাবিক আছে। পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ, এখন কাটিকাটা পেঁয়াজ নেই, বীজের পেঁয়াজও। তাই দাম বেশি মনে হচ্ছে। রোজার নিত্যপণ্যের বাজার দাম বাড়তির কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ আয়ের মানুষ।
এছাড়া ইফতারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে খেজুর।
সারা বছর তুলনায় যে পরিমাণ খেজুর বিক্রি হয়, তার বহুগুণে বিক্রি হয়ে থাকে রমজান মাসে। তবে বিগত বছরের তুলনায় বর্তমান ফলের বাজারে খেজুরের দাম বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সাধারণ ক্রেতারা।
তারা বলছেন, খেজুর ইফতারের জন্য একটি অপরিহার্য ফল। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা গলাকাটার মতো দাম নিচ্ছে।
খুলনার মহানগরীর ময়লাপোতা, ডাকবাংলো, নিউমার্কেট, চিত্রালী ও দৌলতপুর খুচরা ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খেজুর আম্বার ১৫০০টাকা, আজোয়া ১০০০টাকা, মরিয়ম ৯০০টাকা, শুকারী ৭৫০, মিফজল (বড়) ১৩০০টাকা, মাঝারি ১২০০টাকা এবং ছোট ১০০টাকা, কাচা খেজুর ৫০০টাকা, দাওয়াজ ৪০০টাকা, দালাদা ৫৫০টাকা, ফিড খেজুর ৫০০টাকা, ইরানি মরিয়ম ১০০টাকা, বরই খেজুর ৪০০টাকা, বস্তা খেজুর ১৪০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, আপেল (সবুজ) ৩২০-৩৫০টাকা, ফুজি আপেল ২৬০-৩০০টাকা, বেদানা ৩৫০-৪০০টাকা, কমলা ২২০টাকা, মালটা ২২০টাকা দরে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ইফতারের নিত্যপণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুলনা ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে রমজানের নিত্যপণ্যের মধ্যে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটার ৬৯০টাকা, দুই লিটার ৩৭০টাকা, এক লিটার ১৮৫টাকা, মুশরি ডাল দেশি ১৪০টাকা, মোটা ১০০টাকা, ছোলা ৮৫টাকা, চিনি ১১৫টাকা, আলু ২৫ টাকা, ছোলার ডালের বেসন ১১০টাকা, বুট ডালের বেসন ৮৫টাকা, মুড়ি প্যাকেট এক থেকে দুই কেজি ৭০টাকা, চিড়া প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৬৫ কেজি, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন দেশি (বাছাইকৃত) ১০০টাকা, চায়না ১৫০টাকা, রুহ আফজা বড় ৩৫০টাকা, ছোট ২১০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিউ মার্কেট বাজারে রমজানের নিত্যপণ্যের মধ্যে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটার ৬৯০টাকা, দুই লিটার ৩৭০টাকা, এক লিটার ১৮৫টাকা, মসুর ডাল দেশি ১৪০টাকা, মোটা ১০০টাকা, ছোলা ৮৫টাকা, চিনি ১১৫টাকা, আলু ২০ টাকা, ছোলার ডালের বেসন ১০০টাকা, বুট ডালের বেসন ৮০টাকা, মুড়ি প্যাকেট এক থেকে দুই কেজি ৭০টাকা, চিড়া প্রতিকেজি ৬০ কেজি, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন দেশি ৮০টাকা, রুহ আফজা বড় ৩৫০টাকা, ছোট ২১০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রাইভেট কোম্পানির চাকুরিজীবী মঈনুল ইসলাম জানান, রমজান আসার আগেই প্রতিটি রোজার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজ, তেল, চিনি, বেসন, খেজুরের দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, সামনে আরও কতো বাড়বে। এছাড়া ফার্মের মুরগি বর্তমানে ২৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে ঢুকতে তো ভয় লাগে, কারণ ৫০-৬০ টাকা নিচে কোনো সবজিই নেই বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শুধু ভোজ্যতেল নয়, বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও
মঈনুল জানান, রোজার আগেই দুশ্চিন্তায় পড়েছি, কারণ হাতে গোনা টাকা। রোজার মাসে চলতে বেশ কষ্ট হয়ে উঠবে।
ফুটপাথ ব্যবসায়ী মামুন জানান, প্রতিবছরই গোটা রমজান মাসে পরিবারের ছেলে-মেয়ে সকলে মিলে রোজা রাখি। গরীবের মাংসের চাহিদা পূরণের শেষ সম্বল ব্রয়লার মুরগি। যার বিকল্প নেই।
বর্তমানে ২৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ এমন দাম বেড়েছে, কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই। ব্যবসায়ীরা একটা অজুহাত দেখিয়ে দিলেই হয়। মুরগির খাবারের দাম বাড়তি। সোজা কথা শীতকালে মুরগি মরে যাওয়ার ভয়ে ব্যবসায়ীরা সস্তায় মুরগি বিক্রি করছে। এখন রমজানকে সামনে রেখে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইচ্ছা মতো দাম হাকাচ্ছে।
এছাড়া রমজানকে সামনে রেখে রোজার প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ মাছ, মাংস, সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অসহনীয় হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছে একাধিক সাধারণ ক্রেতারা।
এদিকে রমজান মাসে রোজাদার মুসল্লিদের একটি প্রধান খাবারের চাহিদা হলো কলা।
কলা না হলে যেন রোজাদারদের খাদ্যের তালিকার ঘাটতি থেকে যায়। তবে এবার খুলনায় কলার বাজারগুলো বা রেলস্টেশন থেকে পর্যাপ্ত কলার আমদানি হচ্ছে এমনটি দেখা গেলেও কলার দাম আগের তুলনায় দ্বিগুণ।
বর্তমান এক ডজন মাঝারি আকারের কলার দাম আট থেকে ১০ টাকা। আর বড় সাইজের কলা ডজন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। মোট কথা এখন ছোট কলার দাম ছয় টাকার নিচে নেই। কলার দাম এত বৃদ্ধি পাওয়া অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। আর বিশেষ করে বেশ বেকায়দায় পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন শ’ শ’ কলা কাইন নামছে খুলনা রেলস্টেশনে। তারপর ও ব্যবসায়ীদের দাবি কলার সরবরাহ কম।
কলার ব্যাপারী মুহসিন আলী বলেন, আমি সৈয়দপুর ও মেহেরপুরের চুয়াডাঙ্গা থেকে কলা আনি। আমার কাছ থেকে পাইকারি ব্যাবসায়ীরা কলা নিয়ে যায়। এ বছর রমজানে আগে কলা চাষিরা আগের তুলনায় একটু বেশি দাম দাবি করছে।
এছাড়া জ্বালানি তেলের দামের কারণে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে এরও একটি প্রভাব আছে।
ক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রোজায় যেন ইফতারি বা সেহরিতে কলা ছাড়া খেতে ভালো লাগে না। বিশেষ করে সেহরির সময়ে কলা খেলে সারাদিন পেটে ঠান্ডা অনুভব হয়। যে কারণে রোজায় কলার চাহিদা ব্যাপক।
তবে এ বছর যেন আগের তুলনায় কলার দাম রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বাজারে এসছিলাম একটু কাচা দেখে কলা ক্রয় করতে। এসে দেখি মাঝারি আকৃতির কলার দাম ১২০ টাকা ডজন বলছে দোকানি, মানে একটি কলার দাম ১০ টাকা।
এক্ষেত্রে আমরা ছোট ক্রেতারা কি বলতে পারি। এখন চাহিদা ছিল দশটি কলা এখন অতিরিক্ত দামের কারণে ছয়টি কলা ক্রয় করছি। এর থেকে আর কি করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, নিজেদের খরচ কমিয়ে আনতে হবে। আর মনে মনে ধিক্কার দিতে হবে অসাধু মজুদদার ব্যবসায়ীদের। যারা রমজান মাসকে ঘিরে গরিব নিম্ন আয়ের রোজাদার মানুষদের কষ্ট দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: উৎসবে দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করুন: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
রোজায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় পাইস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনীতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবারও শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনবে। শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্ব দিবেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই, তাদের কথায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে না, সরকারের পতন হবে না।
মন্ত্রী বলেন, সামনে রোজার মাস আসছে। সরকার সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোন সংকট হবে না।
রাজ্জাক বলেন, অবৈধভাবে ধনসম্পদ উপার্জন করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। কত টাকা আমাদের দরকার, কতটুকু বিলাসিতা প্রয়োজন সেটি ভেবে দেখতে হবে। অন্যের প্রয়োজন ও জীবনযাত্রার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ফোরামের সভাপতি গোলাম সামদানি, প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা. সানোয়ার হোসেন, আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফজলুল করিম বাচ্চু, প্রকৌশলী আজিজুর রহমান, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পুনর্মিলনীতে ৭৫ বছরের পুরনো বিদ্যালয়টির দুই হাজারেরও বেশী নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
উৎসবে দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করুন: তথ্যমন্ত্রী
উৎসবের সময় দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ডে ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারা শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে দেখা যায়, উৎসব-পূজা-পার্বণের সময় পণ্যের দাম কমে। আমাদের দেশে যখন ঈদ-রোজা-পূজা যেটিই হয়, তখন পণ্যের দাম বাড়ে। উৎসবের সময় যেন পণ্যের দাম কমানোর মানসিকতা ব্যবসায়ীরা রাখেন, সে জন্য আমি এফবিসিসিআই, চট্টগ্রাম শিল্প বণিক সমিতিসহ সব ব্যবসায়ী সমিতিকে আহ্বান জানাই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যাঁরা মজুতদারি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যাঁরা পণ্যের দাম কমাবেন, তাঁদের যেন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়া হয়, প্রয়োজনে পুরস্কৃত করা হয়। তাহলে দেশে সেই সংস্কৃতি চালু হবে।’
এ সময় ব্যবসায়ীদের সমৃদ্ধি তথা সমগ্র দেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে যদি দেশ পরিচালনা করতে পারেন তাহলে আমাদের দেশকে আমরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারব, অন্যথায় তা পারব না।’
১৪ বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করেছেন এবং প্রত্যেক ব্যবসায়ীর সমৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ও তাদের দোসরেরা যদি আবার সুযোগ পায়, ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালের মতো দেশটাকে জ্বালিয়ে–পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে। আজকে দেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধি আসছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখন বিদেশে বিনিয়োগ করছেন। এটি জননেত্রী শেখ হাসিনা না হলে হতো না। এখানে যদি আবার অন্য সরকার আসে, এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে।’
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম আক্তার হোসেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চাল ও বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সমস্যা হল তারা সবকিছুর মধ্যেই একটা অবৈধ মুনাফা চায়। জনগণের সবচেয়ে প্রয়োজন যে খাদ্য, সেই খাদ্যকেও জিম্মি করে তারা মুনাফা লুটতে চায়।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ যে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছিল তা খাদ্য সংকট নয়, দুঃশাসন ও দুর্নীতির কারণে হয়েছিল। একইভাবে তারা এখন মানুষের অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য মজুদ করছে। তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগের লুটেরাদের কারসাজিতে চালের দাম বাড়ছে: বিএনপি
২৪ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নেতা শাহাবুদ্দিন শিহাবকে দেখতে রাজধানীর বাসাবো এলাকার হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে যান ফখরুল।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চালের পাশাপাশি গম, আটা, দুধ ও রুটির দাম বেড়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের গরীব মানুষ কি করবে? রিকশাচালকদের অধিকাংশই ফুটপাতের দোকান থেকে একটি কলা ও রুটি খায়। সেই রুটির দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি আমাদের দমন করতে পারবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার নিজেই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। এর পিছনে রয়েছে তাদের অশুভ কৌশল।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভালোবাসায় নয়, সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এটাই তাদের মৌলিক চরিত্র।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল এখন তাদের অধীনে আগামী নির্বাচন করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে, মানুষকে আতঙ্কিত ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ এবার তাদের সুযোগ দেবে না।
আরও পড়ুন: অর্থপাচারকারীদের জন্য সরকারের দায়মুক্তির পরিকল্পনার সমালোচনা বিএনপির
২ বছর আগে
বাজার নিয়ন্ত্রণ নয়, স্থিতিশীল রাখতে চায় সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ নয়, স্থিতিশীল রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত না। আমরা ব্যবসায়ীবান্ধব। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে দেই। সে অনুযায়ী বাজারে দামটা থাকলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাই।’
সোমবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ'-এ তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসআরএফ’র- সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক এর উপস্থাপনায় সংলাপ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: জুন মাসে আরও এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রচুর ব্যবসায়ীকে আমরা ধরছি। সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে এবং জেলেও পাঠানো হয়েছে। তবে এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না যাতে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা জানে ঈদের পর দাম বাড়বে তারা সেই সুযোগ নিয়েছে। আমাদের ভুল হয়েছে টানা দুই মাস তেলের দামটা নির্ধারণ করিনি, যদি করতাম তাহলে তারা সুযোগটা নিতে পারত না।
পেঁয়াজের বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে দাম পায় এবং ভোক্তারাও যাতে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেটি আমরা দেখছি।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
শুধু ভোজ্যতেল নয়, বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও
ভোজ্যতেল, চাল, আটা, ডিম, পেঁয়াজ, চিনি, মসুর ডাল, মাংস ও মাছের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে সীমিত আয় ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষজন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি) ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিলেও অন্যান্য পণ্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই সপ্তাহে দুবার এগুলোর দাম বাড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৬ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘সরবরাহের ঘাটতি, মজুদদারি, মিল মালিকদের কারসাজি, বিক্রেতাদের উচ্চ মুনাফা ইত্যাদি নানা কারণে সয়াবিনের দাম সারাদেশে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। সরকারকে মাঠ পর্যায়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কাজ করা উচিত।’
তিনি বলেন, বাস্তবতা হলো শুধু ভোজ্যতেল নয়, সব পণ্যের দাম বাড়ছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত পাইকারি বাজার বিশ্লেষণ করেছে বেসরকারি সংস্থা কনজ্যুমারস ফোরাম (সিএফ)।
আরও পড়ুন: ৮ ভোজ্যতেল শোধনাগারের বিরুদ্ধে বিসিসির মামলা
সিএফের তথ্য অনুসারে, জানুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে সব জিনিসের পাইকারি দাম গড়ে সাত দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে দাম দুই থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধি এখন পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী।
সিএফের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ হলো বিশ্ববাজারে দামের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা। তবে দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
২ বছর আগে