পাখি
পাখি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাছ থেকে পাখি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. মাসুম (১৪) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার(২৭ মে) রাতে এই ঘটনা ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মাসুম রূপগঞ্জ থানার কালি হাসান নগরের মো. কাইয়ুম মিয়ার ছেলে।
মাসুমের বাবা কাইয়ুম মিয়া বলেন, মাসুম সন্ধ্যার আগে বাড়ির পাশে একটি কবরস্থানের গাছে পাখির বাসা থেকে পাখি ধরতে গিয়ে বিদ্যুতের তারের স্পর্শ লেগে অচেতন হয়ে পরে মাসুম। খবর পেয়ে দ্রুত তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই কিশোরের লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বাগেরহাটে গাছচাপায় নারীর মৃত্যু
ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
৫ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বিপন্ন প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সিন্ধুরমতি গ্রাম থেকে বিপন্ন প্রজাতির মদনটাক (হাড়গিলা) উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এসময় পাখিটির একটি ডানা ভাঙা ছিল।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাখিটিকে চট্টগ্রামের শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকোপার্ক রাঙুনিয়ার উদ্দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: নড়াইলের অরুণিমায় অতিথি পাখি দেখতে পর্যটকদের ভিড়
এর আগে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বন বিভাগের আওতায় কুড়িগ্রামের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক সদস্য মো. আব্দুর রশিদ, সাইদ ও জুয়েল রানা স্থানীয় রতনের বাড়ি থেকে মদনটাকটিকে উদ্ধার করেন।
পরে কুড়িগ্রাম সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাখিটিকে ভেটেরিনারি চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে পাখিটিকে অবমুক্তের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে পাঠায় বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: বিষ দিয়ে ২ শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
গ্রিন ভিলেজ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা সামাজিক কাজ করে থাকি। পাশাপাশি বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক সদস্য। আমরা আহত মদনটাকটি সিন্ধুরমতি গ্রামে গিয়ে রতনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পাখিটি বন বিভাগের আওতায় চট্টগ্রামে পাঠানো হচ্ছে।
রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্লা মো. মিজানুর রহমান বলেন, মদনটাক পাখিটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ফাঁদ পেতে অবাধে চলছে পাখি নিধন
১০ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় গাছে গাছে ঝুলছে পাখিদের নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল
জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে দেশীয় পাখি। আগে গ্রামে গ্রামে হরহামেশাই দেখা মিলত নানা প্রজাতির দেশীয় পাখির। কালের আবর্তে এসব পাখি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তেমন একটা শোনা যায় না এই সব পাখির কলরব।
দেশীয় পাখির বংশ বিস্তার এবং আগের মতো পাখির কলরব ফিরিয়ে আনতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘পাখির জন্য ভালোবাসা’স্লোগান নিয়ে কুষ্টিয়ায় মাসব্যাপী দেশীয় পাখির নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল স্থাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় অভিনব পন্থায় অতিথি পাখি শিকার
সোমবার (২৯ মে) শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে মাসব্যাপী।
ওইদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর ও লালন শাহ’র মাজার এলাকার গাছে গাছে এই কৃত্রিম বাঁশের হাড়ি স্থাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানুষ মানুষের জন্য এর কুষ্টিয়ার সভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন বিবিসিএফের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এস আই সোহেল, মানুষ মানুষের জন্য এর কুষ্টিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক নাব্বির আল নাফিজ, মীর কুশল, তানজিম আহমেদ আলীফ, তালহা জুবায়ের, মুবিন, সাবিত ইবনে মামুন, রাফি ইসলামসহ আরও অনেকে।
শাহাবউদ্দিন মিলন বলেন, পাখিদের মুক্তভাবে বাঁচার জন্য পুকুর ভরাট, গাছ নিধন, শিকার- বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বড় বড় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পাখিরা বাসা বাঁধার স্থান পাচ্ছে না। বড় বড় গাছ না থাকায় বাচ্চা দেওয়ার সময় পাখিরা দিশেহারা হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তাই দেশীয় পাখির বংশ বিস্তার এবং আগের মতো পাখির কলরব ফিরিয়ে আনতে গাছে গাছে পাখিদের কৃত্রিম আবাসস্থল গড়ে দেওয়ার এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বছর প্রথম পর্যায়ে ১৪৫টি বাঁশের হাঁড়ি গাছে লাগানো হয়েছে। আরও ৫০০টি হাঁড়ি গাছে গাছে স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: শখের পোষা পাখি এখন তামিমের আয়ের উৎস
১ বছর আগে
শখের পোষা পাখি এখন তামিমের আয়ের উৎস
দোতলা বাড়ির ছাদে টিনের ছাউনির ঘর। ঘরের চারপাশ কাঠ ও তারের নেট দিয়ে ঘেরা। খামারের ভেতর কবুতরের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন জাতের পাখি। পাখির কিচিরমিচিরে বাড়িটি সবসময় মুখরিত থাকে।
বাসার কাছে আসতেই শোনা গেল পাখির কলরব। ছাঁদে গিয়ে আটকে গেল চোখ। সুন্দর পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো পাখির খাঁচা।পাখিগুলোর মধ্যে কোন কোন পাখি ওড়াওড়ি করছে। কোন পাখি বানাচ্ছে বাসা। মনোরম সব দৃশ্য দেখতে পাখিপ্রেমীরা আসছেন এই পাখির খামারে। কেউ কেউ আবার পাখি কিনছেনও।
খামারটি তামিমের। তামিম এখানে পরিচিত ‘পাখি তামিম’ নামে।
তামিম ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরের বাসিন্দা মো. মোকসেদ আলীর ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট সে। ঢাকা কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন তিনি।
তামিম জানান, পাখির প্রতি ভালোবাসা থেকেই ২০১৪ সালে অনার্সে পড়ার সময় ঢাকার কাঁটাবনের একটি পাখির খামার থেকে প্রথমে দুটি বাজরিগার পাখি নিয়ে এসে বাসার ছাদে একটি খাঁচায় রাখেন। পরবর্তীতে সেই পাখি বাচ্চা দিলে সেটিকে বড় পরিসরে করার চিন্তা করেন তামিম।
আরও পড়ুন: শখের বসে গৃহিণী থেকে সফল খামারি
১ বছর আগে
দুর্যোগে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারা শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে কখনও বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, তারা শীতের পাখির মতো ভোটের সময় আসে। চাঁদা তুলে মনোনয়ন-বাণিজ্য করে আবার চলে যায়।
সুতরাং তারা যদি আসে তাদেরকে বলতে হবে-মেহমান এসেছেন ঘরের মধ্যে যান, ভোট দিতে পারব না।
রোববার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফাইভ স্টার মাঠে এক অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
‘নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ২০২৩’ আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বেশি শীত, সে কারণে আমাদের নেত্রীর নির্দেশে অন্য কাজ বাদ দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা এখানে এসেছি। এখানে বিএনপিকে দেখা যায় নাই। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এবারে উত্তরবঙ্গ, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কম্বলও বিতরণ করে নাই। করোনার সময়ও তাদের দেখা যায় নাই। পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি হয়েছে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করেছি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে শীতের পাখি। শীতকালে যেমন সাইবেরিয়া ও হিমালয় থেকে পাখি আসে। ধান খায়, বিলের মধ্যে মাছ খায়, মোটাতাজা হয়ে আবার উড়ে চলে যায়। বিএনপিকেও সারা বছর দেখা যায় না, শুধু নির্বাচন আসলে দেখা যায়। নেতারা চাঁদা কালেকশন করেন, নমিনেশন-বাণিজ্য করেন আর মোটাতাজা হন। আর কিছু সমুদ্রের ওই পারে পাঠিয়ে দেন, তিনিও মোটাতাজা হন।’
এই হচ্ছে বিএনপি। সারা বছর খবর নাই।
ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশে ৩০ লাখের বেশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, দলের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলার নির্বাচনী এলাকায় হাজার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
উপস্থিত জনতা ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন বেশি দূরে নাই। আজকে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসেছি, নৌকা মার্কার পক্ষ থেকে এসেছি, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এসেছি। ভোট যখন আসবে দয়া করে মনে রাখবেন, এই আওয়ামী লীগ ত্রাণ দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ কম্বল দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ করোনার সময় টিকা দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ করোনার সময় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। তাই তারা (বিএনপি) ভোট চাইতে আসলে তাদের মেহমান বলে সম্বোধন করে বিদায় করে দিবেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা। রংপুর বিভাগের সব জেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
পানকৌড়ির কলকাকলিতে মুখর শিমুল গাছ
চারদিকে সবুজের সমারোহ। মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে একটি বিশাল আকারের শিমুল গাছ। বিকেলের সোনালি রোদে গাছের ডালে ডালে পানকৌড়ির পালক জ্বলজ্বল করছে। একটি গাছে একসঙ্গে এত পানকৌড়ি দেখে শত ব্যস্ততার মাঝেও অনেক পথচারী দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নিচ্ছেন। আর তা দেখে প্রাণ জুড়ায় গাছের মালিক যাদব রায়ের।
যাদব রায়ের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা থেকে কাঠালডাঙ্গী যাওয়ার সড়ক ঘেঁষা কেউটান গ্রামে।
যাদব রায় বলেন, ‘পাখিদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। আর এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে কত মানুষ দেখতে আসে। দেখে ভালো লাগে। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মৌসুম কমে গেলে ওরা যখন চলে যায়, তখন বুকটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আবার যখন ফিরে আসে তখন বুক ভরে যায়।’
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
সরেজমিনে দেখা গেল, কুলিক নদীর পাশে সব গাছ ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে আছে একটি বিশাল শিমুল গাছ। শিমুল গাছের ডালে ডালে শুধু পানকৌড়ি আর পানকৌড়ি। পানকৌড়ির কলকাকলিতে মুখর চারদিক। আর এই দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অনেক মানুষ।
আর এই পাখিগুলোর নিরাপদ অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে গাছটি। পাখিগুলোর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। পাখিগুলো দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ।
তবে স্থানীদের অভিযোগ, আগের তুলনায় এবারে কম দেখা মিলছে এই পাখির। কারণ ইদানিং কিছু মানুষ বন্ধুক নিয়ে এসে পাখিগুলো শিকার করছেন। পাখিগুলো শিকার না করার জন্য বলা হলেও তারা কোনো কথা শোনে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই সঙ্গে পানকৌড়ি পাখি শিকার বন্ধ করার দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাল্টা ও কমলা চাষে লাভবান চাষিরা
কেউটান গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারুল ইমলাম বলেন, রাতে পাখিগুলো শিমুল গাছেই থাকে। সকাল হলেই পাখিগুলো বেড়িয়ে পড়ে খাদ্যের খোঁজে। আবার সন্ধ্যা হলেই ফিরে আসে গাছটিতে। দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। এই পানকৌড়ি পাখিগুলো শিমুল গাছটিকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে বাস করছে। এক সময় এ গাছটিতে প্রচুর পাখি ছিল। কিন্তু পাখি শিকারীদের কারণে তার সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে। তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
পাখিপ্রেমী রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, পাখিগুলোর কারণে ওই এলাকার সৌন্দর্য ফিরে এসেছে। পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রচুর ভূমিকা রাখে। তাই পানকৌড়ি পাখিগুলোর নিরাপত্তা সহকারে পরিচর্যা করলে পাখির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। শিমুল গাছটি যেন নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলকান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সবাইকে সহনশীল হতে হবে। পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি পাখিগুলোর নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনিক তৎপরতা আরও জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।
২ বছর আগে
কোদালিয়া বিল থেকে পাখি-ফাঁদ উদ্ধার, আটক ২
বাগেরহাটের মোল্লাহাটের কোদালিয়া বিলে অভিযান চালিয়ে ৪০টি পাখি, ফাঁদ, সাউন্ডবক্স ও ব্যাটারি উদ্ধার কার হয়েছে। এই সময় দুই শিকারি ও ব্যবসায়ীকে আটকের কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- জেলার মোল্লাহাট উপজেলার আড়ুয়াডিহি গ্রামের বিষ্ণু নাথ বারইয়ের ছেলে বিজন বারই (৩৮) ও একই গ্রামের বলাই রায়ের ছেলে শরৎ রায় (৩৬)।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার ভোরে মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদ হোসেন এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ৪০টি টিয়া পাখি উদ্ধার
তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া বিলে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে একজন পাখি শিকারি এবং একজন পাখি ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৪০টি পাখি, বেশ কিছু ফাঁদ ও সাউন্ডবক্সসহ পাখি শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্যবসায়ীকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং শিকারিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শিকারিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন প্রজাতির পাখিগুলোকে পরে মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অবমুক্ত করা হয়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ইউএনবিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাখি শিকারের খবর প্রচারের পর শিকারিদের ধরতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিলে অভিযান পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ৭টি পরিযায়ী পাখি উদ্ধার, বিক্রেতার কারাদণ্ড
গত অক্টোবর মাসে বাগেরহাটের কোদালিয়া-কালশিরা বিলে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করা হচ্ছে এই শিরোনামে বার্তা সংস্থা ইউএনবি ভিডিওসহ সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়। ওই সংবাদ প্রচারের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিকারিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
৩ বছর আগে
টিয়াসহ ২৩ পাখি উদ্ধার, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ জনের কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে অভিযান চালিয়ে টিয়াসহ ২৩টি পাখি উদ্ধার ও এই অপরাধের সাথে জড়িত একজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার লাহিড়িহাট এলাকায় সোমবার বিকালে এ অভিযান চালিয়ে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৮(২) ধারায় অপরাধীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি, চোখে পড়ে না বাসা
সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলা প্রশাসন ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, রাজশাহী এবং সামাজিক বনবিভাগ ঠাকুরগাঁওয়ের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে ১৭ টি টিয়া, ৩টি তিলা মুনিয়া, ৩টি চাঁদি ঠোঁট পাখি উদ্ধার হয়। পাখিগুলোকে ওই ব্যক্তি বিক্রির উদ্দেশে বাজারে এনেছিল।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে শিকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া পাখি অবমুক্ত
পরে উদ্ধারকৃত পাখিগুলোকে নিরাপদ পরিবেশে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
৩ বছর আগে
খাঁচায় বন্দী পাখি: গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা
বিজ্ঞাপনে খাঁচাবন্দী দেশীয় টিঁয়া পাখি দেখানোর অপরাধে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট (ডাব্লিউসিসিইউ)।
বুধবার ঢাকার একটি আদালতে এই মামলা করে ডাব্লিউসিসিইউ।
আরও পড়ুনঃ গ্রামীণফোনের ‘এক্সেলেন্স ইন অটোমেশন’ স্বীকৃতি অর্জন
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৩৮(২), ৪১ এবং ৪৬ ধারার আওতায় ডাব্লিউসিসিইউ এর বনপরিদর্শক নার্গিস সুলতানা এই মামনা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গ্রামীণফোনের সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপনে একটি ছোট মেয়েকে খাঁচাবন্দী পাখি উপহার দিতে দেখানো হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ গ্রামীণফোনের ৫০০ টাওয়া স্থাপনে ইডটকোর চুক্তি
নার্গিস সুলতানা ইউএনবিকে জানান, বিজ্ঞাপনে খাঁচাবন্দী দেশীয় পাখি দেখানোর মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোন বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ এর ৩ টি ধারা লঙ্গন করেছে।
৩ বছর আগে
অতিথি পাখিতে মুখরিত কুমিল্লার পুকুর আর দিঘিগুলো
কুমিল্লার পুকুর আর দিঘিগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে নামছে অতিথি পাখি। বিশেষ করে শহরতলীর কয়েকটি পুকুরে মেলা বসিয়েছে নানা রঙের পরিযায়ী পাখিরা।
৩ বছর আগে