খুমেক
ভেঙে পড়েছে খুমেকের চিকিৎসা সেবা, রোগীরা ভোগান্তিতে
ভেঙে পড়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা। অজানা কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল। এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান। আর অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে ৪১ চিকিৎসককে। ফলে একরকম বন্ধ হয়ে গেছে খুমেকের চিকিৎসা সেবা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) খুমেকের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগের অর্ধশত চিকিৎসক অনুপস্থিত। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতালে অপর্যাপ্ত শয্যা ও জনবল, চিকিৎসায় ভোগান্তি
দেখা যায়, বহির্বিভাগের ২০২ নম্বর রুমের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯ নম্বর রুমের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭ নম্বর রুমের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫ নম্বর রুমের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪ নম্বর রুমের ডা. সুব্রত কুমার মন্ডল, ২০৩ নম্বর রুমের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১ নম্বর রুমের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২ নম্বর রুমের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩ নম্বর রুমের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮ নম্বর রুমের ডা. নিরুপম মন্ডল, ২০৪ নম্বর রুমের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১ নম্বর রুমের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০ নম্বর রুমের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২ নম্বর রুমের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫ নম্বর রুমের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত।
নিরাপত্তা ঝুঁকিতে তারা আসেননি বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া আন্তঃবিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার কনসালট্যান্টসহ আরও ২১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত। এতে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দূর থেকে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
বাগেরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, ব্রেস্ট টিউমার নিয়ে খুমেকে এসেছি। কাউন্টারে টিকিট কেটে কক্ষে এসে দেখি ডাক্তার নেই। এখন ফেরত যেতে হবে। কবে এ অবস্থা ঠিক হবে জানি না।
এসব বিষয়ে খুমেকের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এবং আরএস কেউ কর্মস্থলে না থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, হাসপাতাল সরাসরি আমাদের অধীনে না। তারপরও আমি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চাপে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান পদত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে মেডিকেল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন কার্ডিওলোজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোস্তফা কামাল।
তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন ৪১ জন চিকিৎসকের একটি তালিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এতে ভয়ে দুটি কাগজেই সই করেন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আক্তারুজ্জামান।
এই ৪১ জন চিকিৎসকের মধ্যে পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আরএমও, রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পোস্টের চিকিৎসক রয়েছেন।
উপপরিচালক ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, জীবনে কেউ আমাকে আওয়ামী লীগ ও স্বাচিপ কোনো কিছুর প্রাথমিক সদস্য হয়েছি কোনো দিন দেখাতে পারলে আমি সব শাস্তি মাথা পেতে নেব। আমি কোনো দিন সরকারি চাকরি ছাড়া কোনো দিন কোনো আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি এমন কোনো রেকর্ড নেই। বরং আমাকে আওয়ামী লীগ সরকার বারবার শাস্তিমূলক বদলি করেছে। নিচের গ্রেডে নামিয়ে দিয়েছে। এতকিছুর পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভাবলাম এবার হাসপাতালের জন্য কিছু করতে সুযোগ পাব, কিন্তু আমাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হলো।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু
খুলনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফোরামের সদস্য সচিব ডা. তাহমিদ মাশরুর বলেছেন, স্যার ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন এমন অভিযোগে তাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পদত্যাগ করিয়েছেন এমন কোনো বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অবগত নন।
৩ মাস আগে
খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে রোগীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
শনিবার (২৩ মার্চ) বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি সোমবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোজার মধ্যে টানা ২ দিন কর্মবিরতি পালন করলে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. দিবাকর চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আসাদুজ্জামান সাগর জানান, তাদের বেতন-ভাতা কাজের তুলনায় অনেক কম। গত বছর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষানবীশ চিকিৎসকরা তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। ওই সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেতন-ভাতা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি। বেতন-ভাতা বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হোক।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের হাসপাতাল এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভিড় করতে দেখা যায়। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগীকে হাসপাতালের বেডে অসহায়ের মতো শুয়ে থাকতে দেখা গেছে।
৮ মাস আগে
শুক্রবার থেকে খুমেক হাসপাতালের ৩ চিকিৎসক নিখোঁজ
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের তিন চিকিৎসক গত দুই দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম জানান, গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) থেকে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ তিন চিকিৎসক হলেন- ডা. লুইস, ডা.তিশা ও ডা.শর্মিষ্ঠা
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মালিক ও খুলনা জেলা স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস খান তারিমকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ চিকিৎসকরা ডা. তারিমের মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁস: খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টার এর মালিক আটক
এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, বর্তমানে আমি ছুটিতে রয়েছি। শুনেছি প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলা: ৩ আসামির জামিন বাতিল
১ বছর আগে
খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
আন্দোলনের চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি সাময়িক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পরিষদের নেতারা।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিন দফা দাবিতে মেডিকেল কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলছিল।
পরিষদের নেতারা বলেন, সিটি মেয়র ও সংসদ সদস্যের আশ্বাসে এবং জনভোগান্তি বিবেচনা করে কর্মসূচি সাময়িক প্রত্যাহার করা হলো।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমতাজুল হক জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় অভিযুক্ত বিল্লব মেডিসিন কর্নারের মালিক এস এম মাহমুদুর রহমান বিপ্লব (৩০) এবং আবিদ ফার্মেসির কর্মচারী মীর বায়েজিদকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় খুমেকের সচিব মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫০ জন ওষুধের দোকানিকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে খালিশপুর থানার বয়রা জংশন রোড এলাকার মৃত শেখ শাহাজাহানের ছেলে ও বিপ্লব ফার্মেসির মালিক মাহমুদুর রহমান বিপ্লব এবং সোনাডাঙ্গা থানার হাসানবাগ এলাকার ছোট বয়রার মীর বাড়ির মোশারেফ মীরের ছেলে ও আবিদ ফার্মেসির কর্মচারী মীর বায়েজিদকে গ্রেপ্তার করে।
শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর। হামলায় চিকিৎসক-শিক্ষার্থীসহ ১৪-১৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে খুমেক শিক্ষার্থীরা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাসপাতালের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনের (খুসিক) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বুধবার রাতে হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে যান।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন তারা।
আরও পড়ুন: খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
বেতন না পাওয়ায় খুমেক হাসপাতালে মল ছিটিয়ে হরিজনদের ধর্মঘট
১ বছর আগে
খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওষুধ ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা দাবিতে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
একইসঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য তারা প্রশাসন, কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।
হামলায় ১১জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে দাবি করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতা।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি: ২৩ দিন পর উদ্ধার
এর আগে সোমবার রাতে খুমেক হাসপাতালের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সোমবার সন্ধ্যায় খুমেকের এক শিক্ষার্থী সহপাঠীসহ হাসপাতালে সামনে ওষুধ কিনতে যান। ওষুধ কিনে ওই ব্যবসায়ীকে কমিশন (১০ শতাংশ) বাদ দিতে বলেন। এ নিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী সেখানে জড়ো হন। এ সময় ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জানায়। পরে তারা এক হয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, দোকানপাট ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ থেকে ১৬ জন আহত হন।
ছাত্রদের হামলায় তিনজন দোকানী আহত হন এবং বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ নিয়ে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, ওষুধ কেনা নিয়ে এক দোকানীর সঙ্গে খুলনা মেডিকেল শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দোকানী তাকে মারধর করেন। বিষয়টি অন্য ছাত্ররা জানার পরে ওষুধের দোকানে গেলেওষুধের দোকানীরা তাদেরকেও মারধর করে। এতে ১৫ জন ছাত্র আহত হয়েছে। ঘটনার বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ছাত্ররা আল্টিমেটাম দিয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সাউথ) শেখ ইমরান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। হামলাকারীদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
১ বছর আগে
খুমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি: ২৩ দিন পর উদ্ধার
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের গেট থেকে চুরির ২৪ দিন পর এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে নড়াইলের কালিয়া থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
সে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজঙ্গের তোরাব আলী ও রানী বেগমের ছেলে। শিশুটিকে বর্তমানে খুমেকের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ডিএনএ টেস্টের জন্য রাখা হয়েছে। তবে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হওয়ায় তার টেস্ট আজ করা হবে না।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে নবজাতক চুরির ৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার, নারী গ্রেপ্তার
নবজাতকের মামা মোস্তফা বলেন, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরোলিয়া ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামের রাশেদ মোল্লার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেনেরবাজারে আমাদের আত্মীয় আছে। তাদের আবার নড়াইলেও আত্মীয় রয়েছে। সেই সূত্রে আমরা সবাইকে জানিয়ে রেখেছিলাম বাচ্চা হারিয়ে গেছে, কোনো জায়গায় যদি বাচ্চা কেনাবেচা হয় বা কারও বাড়ি যদি বাচ্চা হওয়ার কথা না থাকলেও বাচ্চা দেখে তাহলে যেন আমাদের খবর দেয়। সেইভাবে আমাদের তারা খবর দেয়। আমরা ওখানে যাওয়ার পর নিশ্চিত হয়ে পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে কথা বললে তারা অভিযান চালিয়ে বাচ্চা উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, যে নারী বাচ্চা কিনেছেন তাকে ও তার স্বামীসহ আরও দুইজন নারীকে সঙ্গে এনে সোনাডাঙ্গা থানায় রেখেছে পুলিশ। তাদের বলেছে তোমরা থানায় চল ডিএনএ টেস্ট করার পর বাচ্চা তোমাদের হলে ফিরিয়ে দেয়া হবে। তখন তারা স্বীকার করে বলেছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকা থেকে বাচ্চা কিনে এনেছে।
শিশুটির বাবা তোরাব আলী ও মা রানী বেগম বলেন, আল্লাহর কাছে আমরা অনেক শোকর আদায় করছি। এজন্য পুলিশ ও র্যাবসহ যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা আমাদের বাচ্চা চিনতে পারছি। এটাই আমাদের বাচ্চা।
তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক তোফায়েল হোসেন বলেন, খুমেক হাসপাতাল থেকে গত ২৪ জানুয়ারি বিকালে ওই নবজাতককে চুরি করা হয়। এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি নবজাতকের নানা বেলায়েত হোসেন মামলা করার পর পুলিশ অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিয়ার পারকৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় যাদের কাছে শিশুটিকে পাওয়া গেছে তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। এছাড়া তারা যাদের কাছ থেকে বাচ্চাটি নিয়েছে তাদেরকেও হাজিরের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিশুটিকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে পরিচয় নিশ্চিত হতে খুমেক হাসপাতালের ওসিসিতে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
রামেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি
১ বছর আগে
ডুমুরিয়ায় চুলে কালার করার রং খেয়ে শিশুর মৃত্যু
খুলনার ডুমুরিয়ার খড়িবুনিয়া গ্রামে চুলে দেয়া কালার খেয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রাজু আহমেদ (২) ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের খড়িবুনিয়া গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে।
শিশুটির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় খেলতে খেলতে বাড়িতে থাকা চুলে দেয়ার কালি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করে। এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে শিশুটি মারা যান। এ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত শিশুটির নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
ডুমুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল মিয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মতলব দক্ষিণে খেলতে খেলতে খাদের পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
খুলনায় করোনায় এক নারীর মৃত্যু
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের রেডজোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত সাহিদা (৭০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে আজ সকালকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৪ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেডজোনে ১৬ জন, ইয়ালোজোনে ২১ জন এবং আইসিইউতে ৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি আরও ২ সপ্তাহ চলবে: আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে তিনজন, এইচডিইউতে দুজন চিকিৎসাধীন। এছাড়া হাসপাতালে ৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে সোমবার রাতে ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৮ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ৮০ জন রয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৩.৪০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ৩৭ কোটি ৭৮ লাখ ছাড়িয়েছে
২ বছর আগে
খুলনায় করোনায় একদিনে ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮১
খুলনায় এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় একদিনে ৮১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
মঙ্গলবার খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে ৪৪ প্রাণহানি, শনাক্ত ২৩২২
খুমেক পিসিআর ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী, খুলনা মেডিকেল কলেজ পিসিআর মেশিনে ২৭৯ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ১৯৩ জন খুলনা মহানগরী ও জেলার। এর মধ্যে ৮১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ৩৯ জন, বাগেরহাটের ২৬ জন, যশোর ২ জন, পিরোজপুর ২ জন, গোপালগঞ্জ ১ জন ও ঝিনাইদহ জেলার ১ জন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুশাসনের ঘাটতি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণকে দীর্ঘায়িত করছে: টিআইবি
মৃতরা হলেন ঝিনাইদহের দরবেশ আলী (৭২), মোড়লগঞ্জের মো. সেলিম জমাদার (৬৫), ফুলতলার আ. মালেক (৭৫) ও তুষার কান্তি (৫৮), কয়রার আয়জান বেগম (৭৫), যশোরের কাজী সাইদুর রহমান (৭৪) এবং বাগেরহাটের আ. হাই শিকদার (৮০)। এ নিয়ে খুলনায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: রামেক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এবং করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিল ১২৯ জন রোগী। যার মধ্যে ৬৩ জন রেড জোনে, ২৮ জন ইয়োলো জোনে, আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ১৯ জন।
৩ বছর আগে
খুলনায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত, মৃত্যু আরও ৫
খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর মেশিনে সোমবার ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে একদিনে সর্বোচ্চ ১৩১ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়। যা মোট নমুনা পরীক্ষার ৩৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচ জন মারা গেছেন। খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, মঙ্গলবার (৮ জুন) সকালে করোনা হাসপাতালে ১২৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন। আর মারা গেছেন পাঁচ জন।
খুমেক পিসিআর ল্যাবের তথ্য গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ৩১৫ জন খুলনা মহানগরী ও জেলার। এরমধ্যে ১৩১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ১১৫ জন, বাগেরহাটের আট, যশোরের তিন, সাতক্ষীরার তিন, নড়াইলের এক ও মাগুরা জেলার দুই জন রয়েছেন।
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী মৃত্যুবরণ করেন। তিনি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বাসিন্দা। রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোংলার এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় খুলনা সদর থানার শেরে বাংলা রোডের এক তরুণী মৃত্যুবরণ করেন।
খুমেক পিসিআর ল্যাবের তথ্য গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ৩১৫ জন খুলনা মহানগরী ও জেলার। এর মধ্যে ১৩১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ১১৫ জন, বাগেরহাটের আট, যশোরের তিন, সাতক্ষীরার তিন, নড়াইলের এক ও মাগুরা জেলার দুই জন রয়েছেন।
খুমেক হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সার্বিক সমন্বয়কারী ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, গত ২ জুনের জেলা কমিটির মিটিংয়ে জনবল ও বেড বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। ওই মিটিংয়ে সিভিল সার্জন বলেছিলেন তার আওতায় থাকা ৪০ জন নার্সকে করোনা হাসপাতালে পদায়ন করা হবে। আবার বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা বাদে অন্য নয়টি জেলা থেকে দু’জন বা একজন করে ডাক্তার করোনা হাসপাতালের জন্য বদলী করে আনার জন্য বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের প্রতিনিধির ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। সিভিল সার্জনের মাধ্যমে জেলার নয়টি উপজেলা থেকে অন্যান্য জনবল আনার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তার কিছুই এখন পর্যন্ত হয়নি। যে কারণে পুরো চাপ সামলাতে হচ্ছে খুমেক হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্যদের। ওই মিটিংয়ে করোনা হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিট খোলার জন্য অবশ্যই জনবল পদায়ন দরকার বলেও মতামত দেয়া হয়। কিন্তু তার কিছুই করা হয়নি।
আরও পড়ুন: খুলনার করোনা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি
খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের গত এক সপ্তাহের হিসাবে দেখা যায়, ১ জুন করোনা শনাক্ত হয় ২৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ২ জুন ২৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ৩ জুন ২৯দশমিক ৭৩ শতাংশ, ৪ জুন ২৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৫ জুন ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ, ৬ জুন ২৬দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং গতকাল শনাক্ত হয় ৩৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
খুলনার পাশাপাশি বিভাগের করোনার চিত্রও একই। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনার রোগী, বাড়ছে মৃত্যুও।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, বিগত সাত দিনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৯জনের মৃত্যু হয়। সেই সাথে গত সাত দিনে শনাক্ত হয়েছে দু’হাজার ১২০জনের। দিনদিন যে হারে করোনা রোগী বাড়ছে ও মৃত্যু হচ্ছে সেটি উদ্বেগের বলেও তিনি মনে করেন। এ অবস্থায় সকলকেই তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
৩ বছর আগে