প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিকে পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে, এখন প্রাথমিকে বৃত্তিও চালু করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের টার্গেট হলো নূন্যতম সাক্ষরতা। শিশুরা মাতৃভাষা সাবলীলভাবে বলতে পারবে, পড়তে পারবে, লিখতে পারবে। গাণিতিক বিষয়ে সাক্ষরতা অর্জন করবে। যদি শিশুরা সেগুলো পারে তাহলে বলব—আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।’
শনিবার (৩ মে) লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি সাধারণভাবে বুঝা যায় এটি একটি সহজ কাজ। আমি বলব এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন সমাজের জন্য, জাতির জন্য। একজন শিশুকে জীবনের চলার দিকটি করে দিচ্ছে শিক্ষক।’
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান শিক্ষক টিম লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমরা চাই প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হোক। প্রধান শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে টিমওয়ার্ক করবেন। প্রধান শিক্ষক ভালো হলে স্কুল খুব ভালো চলবে।
আরও পড়ুন: মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আউটসোর্সিং বাতিল
অবকাঠামো নির্মাণের বিষয়ে বলেন, ‘পরিকল্পনায় কিছু সমস্যা রয়েছে, তবে অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। চোখে পড়ার মতো। প্রাথমিকে পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে, বৃত্তিও চালু করতে যাচ্ছি।’
মৌলিক শিক্ষার পাশাপাশি কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস যেমন—বিতর্ক প্রতিযোগিতা, দেয়ালিকা উৎসব, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পিইডিপি-৪ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ, উপজেলা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকরা।