পুষ্টি
ফসলের পুষ্টি পরিমাপক অ্যাপ উদ্ভাবন করল ইউএসডিএ-বিএএস
ফসলের পুষ্টি পরিমাপক অ্যাপ উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর ও তার দল।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে ‘ডেভেলপমেন্ট অব এ ফিল্ড-স্কেলড নিউট্রিয়েন্ট ব্যালান্স ক্যালকুলেটর ফর ক্রপস অব এন ইন্টেনসিভলি ম্যানেজড এগ্রিকালচারাল সিস্টেম’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা জানানো হয়।
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির (বিএএস) অর্থায়নে এ গবেষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গয়াল-ইল্যান্ডের কঙ্কাল তৈরি করলেন বাকৃবি অধ্যাপক
প্রকল্পটির প্রধান গবেষক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর বলেন, ফসলের পুষ্টি পরিমাপের জন্য আমরা একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি। মাটির উর্বরতা বাড়ানো, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরিবেশের দূষণ কমানো এ তিনটি বিষয়ে ভারসাম্য এনে কৃষকদের পরিমিত সার ব্যবহারের পরামর্শ পেতে সাহায্য করবে এই অ্যাপ।
তিনি আরও বলেন, একটি এলাকার মাটি, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত বিভিন্ন তথ্য অ্যাপটিতে দিলে নির্দিষ্ট একটি এলাকার নির্দিষ্ট একটি জমিতে নির্দিষ্ট একটি ফসলের জন্য কতটুকু সার লাগবে তা জানিয়ে দেবে।
এছাড়া কতটুকু সার গাছ নিজের পুষ্টির জন্য ব্যবহার করবে, কতটুকু সার পানিতে ব্যয় হবে, কতটুকু সার বায়ু দূষণে ব্যয় হবে, কতটুকু সার গ্রিন হাউজ গ্যাস হিসেবে নিঃসরণ হবে সব তথ্যই অ্যাপটি থেকে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এ গবেষক বলেন, অ্যাপটি এখনো গবেষণা পর্যায়ে আছে। আগামী বছর মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের জন্য আরও ব্যবহারবান্ধব করে কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহ্ফুজা বেগম, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান, কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এম জাহিরউদ্দীন (অব.)।
আরও পড়ুন: বাকৃবি অধ্যাপক আব্দুল কাফির মৃত্যু, বগুড়ায় দাফন
উদ্যোক্তাবান্ধব গবেষণায় দেশসেরা বাকৃবি
১১ মাস আগে
পুষ্টি গ্রহণের মান উন্নয়নে সুষম নীতি প্রয়োজন: বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পুষ্টিকে গুরুত্ব দিয়ে নীতি ও কর্মসূচিতে ভারসাম্য তৈরি করা এখন একটি অগ্রাধিকার, কারণ শহরাঞ্চলে পুষ্টি সেবার মান গ্রামাঞ্চলের তুলনায় অনেক কম।
মঙ্গলবার দুপুরে নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহায়তায় ডিনেট প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘ক্রমাগত নগরায়নের ফলে সৃষ্ট পুষ্টি স্থানান্তর, এর চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধানগুলো সম্পর্কে যথাযথ পুষ্টিসেবা অন্তর্ভুক্তিকরণ’- শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তারা এ কথা বলেন। আলোচনায় সরকারি, বেসরকারি, অংশীদার উন্নয়ন সংস্থা ও নীতিনির্ধারক মহলের পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
গেইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার বৈঠকের সঞ্চালনা করেন এবং নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাইকা সিরাজ মূল বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক এম শাহাদাত হোসেন এবং উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন গেইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রুদাবা খন্দকার।
ডিনেট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এম. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে ২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়া ও আফ্রিকার ২ দশমিক ৫ বিলিয়নেরও বেশি লোক শহরে বসবাস করবে। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ দ্রুত নগরায়ন এবং পুষ্টি সম্পর্কিত বাধাঁর সম্মুখীন হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমাদেরকে অবশ্যই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, নগরায়ন ও পুষ্টিমানের প্রগতিশীলতা নির্ধারণ করতে হবে। আজকের আলোচনা আশা করি নগরায়নের ফলে পুষ্টিগত বাধার যে সমস্যা সেটা সমাধানের সঠিক সমাধান দেখাবে।’
ড. সাইকা সিরাজ বলেছেন, ‘বছরের পর বছর ধরে অপুষ্টি হ্রাস পেয়েছে কিন্তু একই সঙ্গে অতিরিক্ত পুষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে সমাজের অপুষ্টির মাত্রা পরিবর্তন হয়নি, বিশেষত শহরাঞ্চলে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুষ্টিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন
বিশ্ব ব্যাংকের কনসালটেন্ট ড. এস. এম. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গ্রামীণ পর্যায়ে কাজের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষদের স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে যাতে তারা শহরকেন্দ্রিক চাকরির সন্ধানে এসে ভিড় না করে।’
হেলেন কিলার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন প্রধান ড. আফসানা হাবিব শিউলী বলেন, ‘কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে ছাদকৃষি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা যখন নিজ হাতে খাদ্য উৎপাদনে কাজ করবে, সুষম খাদ্যগ্রহণে এমনিতেই তারা আগ্রহী হয়ে উঠবে।’
ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিসের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মুরাদ মো. শমসের তাবরিস খান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে পুষ্টি রূপান্তরের ওপর দ্রুত নগরায়নের প্রভাব সম্পর্কে সরকারের অংশীজনদের সংবেদনশীল করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তার মতে, এই সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হলো সমাজে পুষ্টির চাহিদা তৈরি করা।
বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রওশন আরা বেগম বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে খাদ্য নিরাপত্তা এবং ক্রমবর্ধমান উৎপাদনে সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। যেহেতু উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প লাভের জন্যও অধিকাংশ খাবারে ভেজাল মেশায়।
পুষ্টি ও খাদ্য ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. নাজমা শাহীন বলেন, শহুরে লোকেরা প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণে এখন বেশি আগ্রহী। একটা গবেষণায় দেখা গেছে, প্রক্রিয়াজাত কোনো খাবারই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই পুষ্টি বাস্তবায়নে খাদ্যনিরাপত্তার কোনো বিকল্প নেই।
বৈঠকটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউট্রিশন কাউন্সিলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ড. নুসরাত জাহান, ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিসেসের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. এস এম হাসান মাহমুদ, কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক ড. ইখতিয়ার উদ্দিন, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ-এর (আইসিডিডিআরবি) গবেষক ড. সাবরিনা রশিদ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নিউট্রিশন অফিসার সামিউল নেওয়াজ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন থেকে মো. মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চাষ হচ্ছে ওষুধি ও পুষ্টিগুণের বিদেশি ফসল চিয়া সিড
পুষ্টিগুণ অটুট রেখে শীতকালীন সবজি খাওয়ার সঠিক উপায়
১ বছর আগে
করোনা: জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির ওপর প্রভাব মোকাবিলায় শেখ হাসিনার ৫ প্রস্তাব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ এবং জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির ওপর এর প্রভাব মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাপানের নিউট্রিশন ফর গ্রোথ সামিটে এক ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা মহামারি আমাদের পুষ্টি কার্যক্রমগুলোতে একটি জোর ধাক্কা দিয়েছে। এই মুহুর্তে করোনার ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা বিশ্বের সামনে পাঁচটি প্রস্তাব রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম প্রস্তাবে বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তার দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী উচ্চ ফলনশীল পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবেষণায় সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী তার তৃতীয় প্রস্তাবে দুর্যোগের সময় সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকার জন্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে খাদ্য ব্যাংক গড়ে তোলার কথা বলেছেন।
তার চতুর্থ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা খাদ্যে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধির জন্য সর্বোত্তম অনুশীলন এবং দক্ষতা বিনিময়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
পরিশেষে তিনি উন্নয়নশীল বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনকে বাধাগ্রস্তকারী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চরম পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জলবায়ু অভিযোজন তহবিল বিতরণ করতে উন্নত দেশগুলোকে আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে দেশটি অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতে অভূতপূর্ব সাফল্য এবং উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য ভাতা চালু করা হয়েছে। অসচ্ছল গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের নগদ ভাতা দেয়া হয়, স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবার চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা খাদ্য নিরাপত্তা এবং উন্নত পুষ্টির লক্ষ্যে শস্য, শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম এবং ফলের উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনছি। ইতোমধ্যে আমাদের এসব কাজের সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমাদের লক্ষ্য আমাদের পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
সপ্তাহব্যাপী মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ শুরু
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবার মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন শুরু হয়েছে। এবছর ২ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট সপ্তাহব্যাপি এই সপ্তাহটি পালিত হবে।
সোমবার সকালে অনলাইন জুম অ্যাপে অংশ নিয়ে সপ্তাহব্যাপি মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে শিগগিরই চালু হবে মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। যে জাতি শিশুদের কথা ভাবেনা সে জাতি খুব বেশি উন্নত হতে পারে না। আর দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে উন্নত অবস্থানে দেখতে হলে আমাদের আজকের এবং অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মায়ের দুধের কোন বিকল্প নাই।’
বিভিন্ন জরিপের তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় বলেন, জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ পান করালে মৃত্যুর হার শতকরা ৩১ ভাগ কমে যায়। আর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করালে (এক ফোটা পানিও নয়) শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি আরও ১৩ শতাংশ কমে যায়। তাই শিশুর মৃত্যুহার রোধে এবং শারিরীক ও মানসিক বিকাশে জন্মের ১ ঘন্টার মধ্যেই মায়ের দুধ পান, পূর্ণ ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান এবং পূর্ণ ৬ মাস বয়সের পর থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত ঘরে তৈরি বাড়তি খাবারের পাশাপাশি মায়ের দুধ চালিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বব্যাপী মাত্র ৪৩ শতাংশ নবজাতককে জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ পান করানো হয় এবং ৪১ শতাংশ শিশুকে পূর্ণ ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করানো হয়। বাংলাদেশে এই হার বর্তমানে যথাক্রমে ৬৯ শতাংশ এবং ৬৫ শতাংশ। শিশুকে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করানোর হার এখন ৮৭ শতাংশ যদিও ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শিশুর পূর্ণ ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করানোর হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই তা অর্জন করেছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু-সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভাটি সঞ্চালনা করেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।
৩ বছর আগে
সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা খসড়া মনিটরিং রিপোর্ট ২০২১ পর্যালোচনা ও অনুমোদন সংক্রান্ত সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ প্রান্তিক কৃষকের কাছে প্রণোদনার সুফল পৌঁছে দিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র(এসডিজি)অর্জনে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন সন্তোষজনক। ২০১৬ সাল থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ৫০ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষকে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। করোনাকালে কর্সমূচির মেয়াদ ১ মাস বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের ৪২ লাখ মানুষের কাছে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করেছে সরকার।
আরও পড়ুনঃ খাদ্যশস্য সংগ্রহে কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হয়: খাদ্যমন্ত্রী
পরোক্ষভাবে যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ভেজালমুক্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য ভোক্তা যাতে পায় সে লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:ধান-চালের দর বেঁধে দেয়ার সুফল পাচ্ছে সবাই: খাদ্যমন্ত্রী
প্রতিটি জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলেছে।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ফুড প্লানিং এন্ড মনিটরিং ইউনিটের মহাপরিচালক শহীদুজ্জামান ফারুকী। গবেষণা পরিচালক হাজিকুল ইসলাম ২০২১ সালের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।
রিপোর্টের উপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের এর ড. মেহরাব বখতিয়ার, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ললিতা ভট্টাচার্য, রবার্ট সিম্পসন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মেহের নিগার ও মি. কোয়েন মতামত জানিয়ে বক্তব্য দেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
৩ বছর আগে
কুড়িগ্রামে সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রকলি চাষ
পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিদেশি সবজি ব্রকলি। কুড়িগ্রামের কৃষকরা এখন এ সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আর জেলার প্রথম ব্রকলি চাষি আতাউর রহমান তাদের পথ দেখাচ্ছেন।
৩ বছর আগে
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সঠিক পুষ্টি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে। এক দিকে এর চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা যেমন দুরূহ তেমনি আমাদের মতো জনবহুল ও অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থায় করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা করা আরও জটিল।
৪ বছর আগে