কেন্দ্রীয় ব্যাংক
রেমিট্যান্সে ডলার মূল্য বেড়ে ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা
বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসা বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার মূল্য বাড়ানোর নির্দেশনা অনুযায়ী ডলারের দাম ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে পতন দেখা দেওয়ায় সোমবার (২৯ জুলাই) রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে ২৪ দিনে দেশে ঢুকেছে ১৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রভাব পড়েছে বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তারা।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে রবিবার ব্যাংকগুলোকে উচ্চ হারে রেমিট্যান্স ডলার কিনতে মৌখিক নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যার প্রেক্ষিতে সোমবার একদিনের ব্যবধানে রেমিট্যান্স ডলারের দর ৬০-৭০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করা উচিত এনআরবি নেতাদের: রাষ্ট্রপতি
৪ মাস আগে
বিশ্বে কোথাও সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হয় কি না- প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীর
পৃথিবীতে কোথাও সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হয় কি না- সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, ‘গভর্নর তো আলাদা কিছু নয়, গভর্নর সরকারেরই একটা অংশ। এর আগে উনি অর্থসচিব ছিলেন। কিছু পত্রিকায় বলা হয় উনি দায়িত্বজ্ঞানহীন, উনার কোনো আইডিয়া নেই। এমনি এমনিই অর্থসচিব হয়েছেন? এখন তো বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।’
আরও পড়ুন: আইএমএফ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে কোথাও এভাবে ঢুকতে দেয় না কি? সব খুলে দেয়? ওখানে ওদের লোক আছে, মুখপাত্র আছে। এগুলো আছে তো।’
রবিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক ড. কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তাহলে কি সাংবাদিকরা আর বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে পারবেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেটা তো আমি বলতে পারব না।
অন্য দেশে যেকোনো তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। আমরা তো সেসব দেশের নাগরিক নই, তাহলে সেখানকার রেফারেন্স কেন দেওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
আরও পড়ুন: এডিবির বার্ষিক সভা: এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ছেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থমন্ত্রী
৬ মাস আগে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া মস্ত বড় ভুল: সাংবাদিক নেতারা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মস্ত বড় ভুল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিক নেতারা।
অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, সাংবাদিকরা বিভিন্ন খাত সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রচারে কাজ করছে, যা সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত এক সভায় সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং আসন্ন বাজেট অনুধাবন করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ অপরিহার্য।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে এই 'অবৈধ' নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আগামীতে জাতীয় প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আরও পড়ুন: আটকের ৬ ঘণ্টা পর সাংবাদিক নেতা আবদুল্লাহ মুক্ত
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে ব্যাংকের টাকা লুটপাটে দুর্নীতিবাজদের সহায়তা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, গত দেড় মাস ধরে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারছেন না। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়েছে তবুও নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল আছে।
এ অবস্থায় তথ্য সংগ্রহ ও অবাধ প্রবেশাধিকারের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ অপসারণে করণীয় প্রসঙ্গে পরামর্শ ও মতামত গ্রহণের জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে সাংবাদিকতার স্বার্থে সবাইকে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান ইআরএফ সভাপতি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। কারণ ডিজিটাল এই যুগে তথ্য গোপন রাখা সম্ভব নয়। যেভাবেই হোক তথ্য বের করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘রিজার্ভের টাকা চুরির সময় কি চোরদের বাংলাদেশ ব্যাংকে আসতে হয়েছিল? চোরদের বাংলাদেশে আসার দরকার ছিল না। এখন সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে চুরির তথ্য গোপন রাখা যাবে না।’
ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশের (ইউএনবি) সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তারা কি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এমন করছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাজ্জাদ আলম খান তপু, অপর অংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, ইআরএফের সাবেক সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সিনিয়র সাংবাদিক সোহেল মঞ্জুর, ইআরএফের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান ও এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
আরও পড়ুন: ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবে ডিআরইউ’র প্রতিবাদ
৭ মাস আগে
৩০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দারাজ, আলেশা মার্ট, ইভ্যালি এবং ই-অরেঞ্জসহ ৩০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।
বিএফআইইউ সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর কাছে তাদের লেনদেনসহ অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত ব্যাংক তথ্য চেয়েছে।
বিএফআইইউ-এর চিঠির সঙ্গে তথ্য পাঠানোর জন্য একটি ফর্মও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬২ টাকা বাড়ল
সংস্থাগুলোকে ব্যাঙ্কের শাখার নাম, অ্যাকাউন্টের নাম, নম্বর, খোলার ধরন এবং তারিখ, মোট জমা এবং উত্তোলন এবং এর আগে যে ব্যাঙ্কে লেনদেন হয়েছে তার বর্তমান অবস্থা জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে এসব ই-কমার্স কোম্পানির ব্যাংক হিসাব তলব করে জব্দ করা হয়। এছাড়া, ব্যাঙ্কগুলোর অ্যাকাউন্ট সক্রিয় বা বন্ধ কিনা তা রিপোর্ট করতে বলেছে।
এছাড়াও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সমন তালিকায় রয়েছে- কিউকম, আলাদিনস ল্যাম্প, বুম বুম, প্রিয়শপ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপ, আদিয়ান মার্ট, ওয়ালমার্ট, নিডস, দালাল প্লাস, ২৪ টিকেটি, থলে, উই কম, ইনফিনিটি মার্কিটিং, আনন্দ বাজার, আকাশ নীল, ব্রাইট হাশ, এনেক্স ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, আমার বাজার, আস্থার প্রতীক, বাংলাদেশ ডিল, বাড়ি দোকান ডটকম, স্রেশডো ডটকম, আমিষ বিডি, নিরাপদ এবং আলিফ ওয়ার্ল্ড।
এরই মধ্যে অনেক কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর লেনদেনের তথ্য নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ভোক্তা ঋণ বাড়াতে সঞ্চিতি কমাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
করোনার মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা ঋণের বিপরীতে সাধারণ সঞ্চিতি (জেনারেল প্রভিশন) সংরক্ষণের হার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৪ বছর আগে
তারল্য সংকট রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল এফবিসিসিআই
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম সোমবার তারল্য সংকট মোকাবিলায় সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক সরকারি সিকিউরিটিজ কেনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
৪ বছর আগে