পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মিজান নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোক্তাগীর আলম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ছালাম হাওলাদার, মো. আলমগীর, আব্দুল মালেক, মো. ফিরোজ মোল্লা ও আইউব আলী। মিজান ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের বাসিন্দা।
রায়ের সময় আদালতে দুইজন উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৩ জন পলাতক রয়েছেন। বিচারক এই মামলায় অন্য ৭ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১১ বছর আগে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, ‘২০০৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের কাপালির হাট বাজারে মামলার বাদী মো. রাকিবুল ইসলামের সাইকেলে পার্সের দোকানে ডাকাতি করে। এসময় তিনি দোকানে ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুম থেকে উঠে ডাকাতির বিষয়টি বুঝতে পেয়ে চিৎকার দিলে আসামিরা সে সময় পালিয়ে যেতে থাকে ও যাবার সময় কয়েক রাউন্ড গুলি করে। সেই গুলিতে স্থানীয় মিজান নামের এক ব্যাক্তি গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে স্থানীয়রা মিজানকে উদ্ধার করে প্রথমে ভান্ডারিয়া হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিলে সেখানে মিজান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে এ ঘটনায় দোকানদার রাকিবুল বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করে।
পরে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মামলাটি তদন্ত করে ১২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘদিন পর এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক ৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৭ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।