নির্বাচন কর্মকর্তা
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নির্বাচন কর্মকর্তা নিহত
রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় কন্টেইনার লরির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নির্বাচন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আল-মামুন (৪৮) ঢাকার উত্তরা নির্বাচন অফিসে কর্মরত ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার আকাশী গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে।
সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর এলাকায় কন্টেইনার লরিটি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে মামুন গুরুতর আহত হন।
নিহতের ছেলে রিয়াদ আবির বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, তারা মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন এবং উত্তরা অফিস থেকে ঘরে ফেরার পথে তার বাবা এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
১ বছর আগে
রাসিক নির্বাচন: গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে আ.লীগ নেতা আটক
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী মামাকে জিতাতে নির্বাচন কর্মকর্তাকে পক্ষে নিতে গিয়ে আটক হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়িতে যান।
আটক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
ওই নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে প্রবেশ করলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় লোকজন ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় তারা বাড়ি ঘেরাও করে লিমনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
এরপর রাত ১২টার দিকে পুলিশ লিমনকে ওই বাড়ি থেকে বের করে থানায় নিয়ে যায়। লিমনের মামা আব্দুল হামিদ সরকার টেকন নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী।
নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগ নেতা লিমনকে কড়া নিরাপত্তায় ওই বাড়ি থেকে বের করে রাত ১২টার পর পুলিশ ওই বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডিবি পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন তার মামা কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হামিদ সরকার টেকনের পক্ষে অবস্থান নিতে নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে ম্যানেজ করতে যান। লিমনের সঙ্গে আরও দুইজন ছিলেন। তাদের কাছে টাকার ব্যাগ ছিল। নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে টাকার ব্যাগ নিয়ে লিমন ঢুকেছেন এমন খবরে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় লিমনের সঙ্গে থাকা দুইজন সেখান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে বাড়িতে আটকা পরে লিমন।
এদিকে, খবর পেয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। এরপর সেখানে যান পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের লোকজন। খবর পেয়ে লিমনের পরিবারের সদস্যরাসহ তার সমর্থকরা সেখানে আসলে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাসহ স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে লিমনের লোকজন সরে যায়।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
লিমনের বাবা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিসদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। লিমনের আরেক মামা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তার আরেক মামা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই পরিবারটি এবার সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জন্য কাজ করছেন না বলে অভিযোগ আছে। ডাবলু সরকার মেয়র পদে নির্বাচন করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি
রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত বলেন, মীর ইসতিয়াক আহমেদের সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। তারা বাসার ভেতরে ঢুকে টাকা লেনদেন করছিলেন। তখন দরজা সামান্য একটু খোলা থাকায় তারা ফেসবুক লাইভ করে ভেতরে ঢুকছিলেন। তাদের দেখে ইসতিয়াক আহমেদ লিমন শৌচাগারের ভেতরে পালান। তারা তার পিছু নিলে টাকার ব্যাগ নিয়ে অন্য দুইজন পালিয়ে যান।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা লিমনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। কেন তিনি ওই নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে গিয়েছিলেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
বরিশাল সিটি নির্বাচন: সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলছে, শেষ হবে শনিবার
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবারের মধ্যে সকল কেন্দ্র ও কক্ষে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন শেষ করা হবে।
বুধবার থেকে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন কমিটির আহ্বায়ক ও নেছারাবাদ উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিন শরীফ।
তিনি বলেন, গত বুধবার থেকে বরিশাল সিটি নির্বাচনের ১২৬ কেন্দ্রে সিসিটিভি কামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
শাহিন শরীফ আরও বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যে ক্যামেরা স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। রবিবার ট্রায়াল দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
তিনি বলেন, নির্বাচনে ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দুইটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ফলে মোট ১ হাজার ১৪৬টি ক্যামেরা বসানো হবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোট আগামী ১২ জুন। এতে সাত মেয়র, ১১৮ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছে।
মোট ভোটার হচ্ছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন নারী।
প্রথমবারের মতো ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ পরিচালিত হবে। এর আগে গত ২৯ মে দেড় হাজার ইভিএম এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
বরিশাল সিটি নির্বাচন: ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৬
১ বছর আগে
করোনাভাইরাস: হবিগঞ্জের বিচারকসহ ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ
হবিগঞ্জের একজন বিচারক, নির্বাচন কর্মকর্তা ও আনসার সদস্য করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে মঙ্গলবার সকালে আইইডিসিআর পাঠানো হয়েছে।
৪ বছর আগে