কারাভোগ
৭ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ২ ভারতীয়
বাংলাদেশে ৭ বছর কারাভোগের পর ২ ভারতীয় নাগরিককে ভারতে ফেরত দিয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের অনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে।
ওই দুই ব্যক্তি হলেন- বিহারের সীতামারহি জেলার মেজরগঞ্জ থানার সীতামনি-ডুমরি এলাকার সুনীল কুমার সিংয়ের ছেলে সন্দীপ কুমার সিং এবং ঝাড়খন্ড প্রদেশের রাঁচি জেলার রাজুল্লাতু থানার সিনজুসেরেং এলাকার আতুয়া তোপ্পোর ছেলে অজয় তোপ্পো।
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ জানান, দীর্ঘ ৭ বছর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজা ভোগ শেষে ভারতীয় হাইকমিশনের কনসুলার বিভাগ ও বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শেষে আজ সকালে তাদের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে পুলিশের কাছে হস্থান্তর করা হয়।
হস্তান্তর প্রক্রীয়ার সময় দুদেশের বিজিবি, বিএসএফ ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
ভারতে পাচার হওয়া ১৫ নারী-শিশু ফিরেছে দেশে
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে ১৫ বাংলাদেশি নারী-শিশু। ভারতে দুই বছর কারাভোগের পর শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় ট্রাভেল পারমিট বেনাপোলে হস্তান্তর করেছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাইটস যশোর নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাদের নিজস্ব সেল্টার হোমে নিয়ে গেছে।
ফেরত আসাদের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৬ জন শিশু রয়েছে। তারা নড়াইল, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ জানান, গত আড়াই বছর আগে অর্থের বিনিময়ে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা তাদের ভারতের মুম্বাই শহরে পাচার করে। পরে মুম্বাই রেল স্টেশনে রেখে পালিয়ে যায় দালালরা। সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে নিয়ে যায়।
পরে আদালত তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। সাজার মেয়াদ শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় ভারতীয় পুলিশ তাদের দেশে ফেরত পাঠায়।
ওসি জানান, ইমিগ্রেশনে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় ১৫ জনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাইটস যশোর নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য থানা থেকে ছাড়িয়ে তাদের নিজস্ব শেল্টার হোমে নিয়ে যায়।
১ দিন আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি
ভারতে পাচার হওয়া ৯ বাংলাদেশি যুবক কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে তাদের গ্রহণ করেছে রাইটস নামের একটি এনজিও সংস্থা।
এর আগে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ফেরত আসা যুবকেরা হলেন- মো. সুজন ফকির (২৮), মো. আব্দুল মোনাব (৩০), মো. রেদোয়ান (২৫),মো. নুর আলম (৩০), তাজির ইসলাম (২৮),শাহজাহান গাজী (৩৫), মো. খাইরুল ইসলাম (২৯),মো. সামাদ মিয়া(২৩), মো. শাহাদত হোসেন(৩৪)। এরা যশোর নড়াইল, সুনামগঞ্জ, খুলনা, চাঁদপুর ও কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ফেরত আসা যুবকেরা ৫ থেকে ৭ বছর আগে কাজের সন্ধানে ভারতে যান। সেখানে বিভিন্ন এলাকায় খেত খামারে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের কাছে আটক হন তারা। পরে আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে ২-৩-৫ বছর সাজা দেয়।
কারাভোগ শেষে উভয় দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেশে ফিরেছেন তারা। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে রাইটস নামের একটি এনজিও সংস্থার কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাইটস যশোরের সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিলর মো. মামুন জানান, বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ভারত ফেরত ৯ বাংলাদেশি যুবককে রবিবার সকালে রাইটস নামের একটি এনজিও সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের এখন রাইটসের শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে সেখান থেকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
২ সপ্তাহ আগে
৬ মাস কারাভোগের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল জামিনে মুক্ত
নয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও প্রভাবশালী বিরোধী দলীয় নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জামিন পেয়েছেন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাকে জামিন দেন।
কেজরিওয়াল প্রায় ছয় মাস আগে জাতীয় নির্বাচনের আগে একজন মদ বিতরণকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া তাকে জামিন দেন।
নয়া দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি বা কমন ম্যানস পার্টির নেতা কেজরিওয়াল। তিনি গত এক দশকের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের একজন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচক।
জাতীয় নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে মার্চ মাসে কেজরিওয়ালকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলোকে অস্বীকার করেছেন এবং সেগুলোকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেছেন।
বিরোধী দলগুলোর একটি বিস্তৃত জোট ‘ইন্ডিয়া’র অংশ তার দল। জোটটি গত জুন মাসে শেষ হওয়া নির্বাচনে মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারকে মোদি সরকারের বিরোধীদের দমনের একটি পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে নিন্দা করেছিল বিরোধী দলগুলো। তারা সরকারকে তার রাজনৈতিক বিরোধীদের হয়রানি ও দুর্বল করার জন্য ফেডারেল তদন্ত সংস্থাগুলোর অপব্যবহারের অভিযোগ করেছে। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে প্রধান বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ও দুর্নীতির তদন্তের দিকে ইঙ্গিত করেছিল বিরোধী দলের নেতারা।
গত ২ জুন কারাগারে ফেরার আগে নির্বাচনে প্রচারণার জন্য কেজরিওয়ালকে মে মাসে অস্থায়ীভাবে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিলেও অন্য একটি সরকারি সংস্থা আরেকটি মামলায় তাকে ফের গ্রেপ্তার করে তার মুক্তিকে আটকে দেয়। শুক্রবার ওই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
সরকারি সংস্থাগুলোর অভিযোগ, কেজরিওয়ালের দল ও মন্ত্রীরা প্রায় দুই বছর আগে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আরও বেশি লাভের সুযোগ করে দিতে নয়া দিল্লিতে মদ বিক্রয় নীতি সংশোধনের বিনিময়ে এক মদ বিতরণকারীর কাছ থেকে ১০০ কোটি রুপি (১ কোটি ২০ লাখ ডলার) ঘুষ নিয়েছেন।
কেজরিওয়ালের মুক্তি তার দলকে চাঙ্গা করবে এবং দলটি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নয়া দিল্লিতে নতুন নির্বাচনে অংশ নেবে।
ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও প্রশাসনকে দুর্নীতি ও অদক্ষতা থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা কেজরিওয়াল ২০১২ সালে আম আদমি পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
দলটির প্রতীক ‘একটি ঝাড়ু’। প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে কেজরিওয়ালের প্রতিশ্রুতি নয়া দিল্লির বাসিন্দাদের মনে আলোড়ন তুলে। লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতি ও ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিরক্ত ছিল দিল্লিবাসী
আরও পড়ুন: ভারতে পালানোর সময় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ গ্রেপ্তার ৫
৩ মাস আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি
ভারতে পাচার হওয়া নারী ও শিশুসহ ১৩ বাংলাদেশি কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন।
বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে রবিবার (২৩ জুন) রাত ১০টায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন- বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার আমজাদ তালুকদারের ছেলে রফিক তালুকদার (৫৩) ও তার ছেলে মামুন তালুকদার (২৫), একই জেলার মোল্লাহাট উপজেলার সালেক শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার (৩৮), খুলনা জেলার রুপসার আক্কাস ভূঁইয়ার ছেলে রাজু ভূঁইয়া (২৫), একই থানার আব্দুল আজিমের মেয়ে আফসানা আক্তার (২৩), তার ছেলে আমিন (৬), মেয়ে ফাতিমা (৪); একই থানার নজরুল শেখের ছেলে ওমর ফারুক শেখ (২৬), খুলনা সদরের আল আমিন হাওলাদারের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (২৩), নড়াইল জেলার কালিয়া থানার আফজাল মোল্লার ছেলে আব্দুন সাত্তার (৫০), খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙার শামছুর শেখের মেয়ে ফাতেমা (২৮), পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার আল আমিন হাওলাদারের ছেলে ফাহিম হাওলাদার (২) ও মাহীম হাওলাদার (৪)।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ভালো কাজের আশায় দালালচক্রের মাধ্যমে দেড় থেকে দুই বছর আগে ১৩ বাংলাদেশিকে সীমান্তপথে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কারাভোগের পর ভারতের মানবাধিকার সংস্থা রেসকিউ ফাউন্ডেশন তাদের গ্রহণ করে নিজেদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখে। এরপর ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে রবিবার রাতে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাদের হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের গ্রহণ করে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করে রবিবার রাতেই তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৫ মাস আগে
বাংলাদেশে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৪ ভারতীয় নাগরিক
বাংলাদেশে তিন বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে গেলেন চার ভারতীয় নাগরিক।
রবিবার দুপুর ২টার দিকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আরও পড়ুন: নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপকে আরও কাজ করতে হবে: হাছান মাহমুদ
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- সামন্তপুর জেলার বসরাঘাট থানার বেগুছড়া এলাকার বর্মাজি নানার ছেলে সুনীল কুমার সানি, পিলিবিট জেলার গেজের আউলা থানার রামনগরিয়া গ্রামের কালু পালের ছেলে রাম পাল, পশ্চিমবঙ্গ জেলা সদরের পালরি গ্রামের বিক্রম পাঞ্জাবির ছেলে রাজকুমার ও বিহার রাজ্যের পূর্ব চ্যাম্পারান জেলার মুসা ঘরোয়া এলাকার জগন্নাথ দাসের ছেলে মাহেন্দ্র দাস।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, ২০২১ সালে অবৈধভাবে মহেষপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তারা বিজিবির হাতে আটক হন। ওই সময় বিজিবি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মহেষপুর থানায় সোপর্দ করে। পরে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে আদালত তাদের তিন বছর কারাদণ্ড দেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক মজুমদার বলেন, অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের দায়ে চার ভারতীয় নাগরিক তিন বছর কারাভোগ করেন। এরপর ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রবিবার দুপুরে তাদের নিজ দেশে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ৪
সরকার-নাগরিকের অংশীদারিত্ব তৈরি হলে সমস্যা সমাধান সহজ হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
ভারতে ১৮ মাস কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৩ বাংলাদেশি নারী
কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়ে আটক হওয়ার পর দীর্ঘ ১৮ মাস কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন তিন বাংলাদেশি নারী।
শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা।
ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
ফেরত আসা তিন বাংলাদেশি নারী হলেন- তামান্না আক্তার (২১), মাহমুদা আক্তার (২২) ও মৌসুমী দাস (২৪)। তারা দেশের ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, তারা পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই সীমান্ত পথে ভারতে গিয়ে হায়দ্রাবাদ শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অবৈধভাবে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের কাছে আটক হন। এরপর আদালতের মাধ্যমে তারা জেলখানায় যান। পরে একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। তারা সেখানে ১৮ মাস জেলে থাকার পর ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে শনিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফেরত আসাদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে নিজ হেফাজতে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৫ বাংলাদেশি
৬ মাস আগে
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক
মাদক নিয়ে বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেন মো. দিদারুল ইসলাম নামে এক ভারতের নাগরিক। এক বছর কারাভোগ শেষে শনিবার দুপুর ২টায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট দিয়ে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দিদারুল ইসলামকে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশ। এসময় সেখানে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দিদারুল ভারতের পশ্চিবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার খারুন (ভীম) গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, ভারতীয় নাগরিক দিদারুল সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এসময় বিজিবি সদস্যরা তাকে মাদকসহ আটক করে। এই ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় মাদক মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে দিনাজপুর জেল হাজতে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত দিদারুলকে অনুপ্রবেশের দায়ে এক বছর ও মাদক মামলায় এক বছর সাজা দেন। একই সঙ্গে দুই মামলার সাজা চলায় এক বছরেই তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। পরে দুই দেশের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় শনিবার দুপুরে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার জানান, বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশ দিদারুলকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর আমরা আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৫ বাংলাদেশি
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
৯ মাস আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৫ বাংলাদেশি
ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ২৫ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশু বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে এসব নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে আনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গের নারী শিশু পাচার রোধ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
ফেরত আসারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমের হেফাজতে ছিল। পরে তাদের নাগরিকত্ব যাচাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে ফিরিয়ে আনা হলো।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে স্থানীয় ইউএনও, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে থেকে উদ্ধার করা এসব নারী-পুরুষ ও শিশুদের হস্তান্তর করেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শফিক আহমেদ জানান, ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি কর্মকর্তা, স্থানীয় এনজিও কর্মকর্তা এবং ভারতের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও বিএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
১০ মাস আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১৬ বাংলাদেশি
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকেরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনার পূর্বধলার মোসা. বিউটি, চাঁদপুরের নিশ্চিন্তপুরের রিয়াহ হোসেন, যশোরের অভয়নগরের মোসা. বিনা বেগম, মো. শেখ সাদী। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহিনা বেগম, জামালপুরের মেলান্দহের দুই ভাই মো. শামিম মিয়া ও মো. সুহান মিয়া। জামালপুরের ইসলামপুর থানার মো. ফারুখ হোসেন ও আসমা বেগম এবং ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার তৃষ্ণা অধিকারী তিশা।
সাজা শেষে তিশা আগড়তলার জওহরলাল নেহেরু বালিকা নিবাসে এবং বাকিরা নরসিংগড় ডিটেনশন সেন্টারে অবস্থান করছিলেন।
পরিবার ও সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন।
আরও পড়ুন: ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
তিনি আরও জানান, পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর পর কারাভোগ শেষ করে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমাদের জন্য খুবই আনন্দের দিন যে আমরা ১২ জন বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করতে পারছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জনসচেতনতা আরও জোরদার করতে হবে।
এ সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় জরুরি সহায়তা প্রদান করে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
১০ মাস আগে