খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার!
কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার বসানো হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এদিকে হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত গ্যারেজের মধ্যেই চেয়ার-টেবিল বসিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার। পাশে ঝোলানো হয়েছে খুলনা জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি লিমিটেড পরিচালিত, অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার।
এছাড়া হাসপাতালের মধ্যে ও বাইরে রাস্তা দখল করে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো। দূর থেকে দেখে মনে হবে এটা কোনো সরকারি হাসপাতাল না, যেন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স। রোগী পরিবহনে চাহিদা যতটা, তার চেয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বেশি। কিন্তু রোগী পেলেই ভাড়া হাঁকা হয় অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: সরকারি বিএল কলেজে আবাসন-পরিবহন সংকট চরমে
হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স না নিয়ে অন্য কোথাও থেকে কম টাকায় ভাড়া করার সুযোগ নেই। হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত গ্যারজের জায়গা দখল করে তোলা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার।
কাউন্টারের সামনে ১০ থেকে ১২টা অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি বিভাগের সামনে রয়েছে ৪ থেকে ৫টা, হাসপাতালের আউটডোর পেছনে রয়েছে ৭ থেকে ৮টা অ্যাম্বুলেন্সের সারিবদ্ধ লাইন।
এর বাইরে লাশ ঘরে যেতে যে রাস্তা সেখানেও রয়েছে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে বাইরে রয়েছে আরও ১০ থেকে ১২টা অ্যাম্বুলেন্সের লাইন। দূর থেকে যে কেউ মনে করবেন, এটা কোনো সরকারি হাসপাতাল নয়, অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্যান্ড।
রোগীও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালকেন্দ্রিক ‘অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট’ রোগীকে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সে তুলতেই দেয় না। হাসপাতালকে কেন্দ্র করে অ্যাম্বুলেন্সের মতো একটি জরুরি পরিবহন সেবাকে ঘিরে এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স এক চালক জানান, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নীতিমালা নেই। তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় ট্রিপ কমে গেছে। এ কারণে খরচ পোষাতে কিছুটা বাড়তি ভাড়া নিতে হয়। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার কোনো তালিকা নেই। নেই সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালাও। যে যেভাবে পারছেন রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স নামাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে হাসপাতালগুলোর কর্মচারীদের (ওয়ার্ডবয় ও আয়া) উপর। এজন্য তাদের ভাড়ার একটা অংশ কমিশন দিতে হয়। এ কমিশন বাণিজ্য না থাকলে ভাড়া অনেকটাই কমে যেত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কয়েকজন চালকরা আমার কাছে এসে বলেন, তাদের নিজস্ব জায়গায় কাউন্টার কাজ বসানোর কাজ চলছে। ২ থেকে ১ দিনের মধ্যে তাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই অনুরোধের কারণে তাদের বলেছিলাম কয়েকদিনের জন্য হাসপাতালের ভেতরে কাউন্টার রাখার জন্য। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনার পরে জানতে পারলাম এদের একটু মানবিক দিক সুযোগ দেওয়ায় পুরো হাসপাতালটাই দখল করে নিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে মধ্যে কোনো বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকতে পারবে না, রোগীদের প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাড়া আনতে পারবেন। এর বাইরে হাসপাতালের জায়গা দখল করে অ্যাম্বুলেন্স রাখার সুযোগ নেই।
খুলনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মেহেদী নেওয়াজ জানান, মেডিকেল কলেজের নিজস্ব অ্যামবুলেন্স যার মাধ্যমে রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। তারপরও বেসরকারি অ্যামবুলেন্স চালু হয়েছি বলে শুনেছি। কোনো রোগীকে যাতে হয়রানি না করা হয় সে জন্য প্রোয়জনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুর মোরশেদ বলেন, এ ব্যবসা অনেকদিন যাবত চলছে। খুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনি সহযোগিতায় তাদের উঠিয়ে দিলে কিছুদিন পর আবার তারা বসতে শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, খুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেই ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
১০ মাস আগে
খুলনায় করোনা ইউনিটে আরও ১৩ জনের প্রাণহানি
খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালে বুধবার (৩০ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে দুজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিন ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল হাসপাতালে আট জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৮৫ জন, এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন পাঁচ জন আর এইচডিইউতে আছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২১ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন। গতকাল ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি ১৮ লাখ
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনার ১৩০ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় দু'জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা রেড জোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০১ জন, যার মধ্যে রেড জোনে ১১৩ জন, ইয়ালো জোনে ৩৮ জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ জন।
৩ বছর আগে
খুলনার ১০ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৬০০ ছাড়াল
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে।
৩ বছর আগে
খুলনায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ধর্ষণের শিকার সেই নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা
খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ধর্ষণের শিকার সেই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
৩ বছর আগে
ইউএনবির বাগেরহাট প্রতিনিধিকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য স্বারকলিপি প্রদান
বাগেরহাট প্রেসক্লাবের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এর বাগেরহাটের সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তীকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
তিনি দীর্ঘ তিন মাস ধরে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। তার শরীরে নতুন করে আরো দু’টি উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পর থেকে এই সাংবাদিকের শরীরের একের পর এক উপসর্গ দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর ইউএনবি’র বিষ্ণু প্রসাদকে
তাকে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে তার চিকিৎসকা করে। কিন্তু বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তার সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারেননি।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তীকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বি এস এম এম ইউতে) ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই দফায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে বৃহত পরিসরে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরাও এখনো সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সাংবাদিক নির্যাতন: প্রধান আসামিসহ দুইজন কারাগারে
বিএসএমএমইউ থেকে এক মাসের জন্য ছুটি নিয়ে বর্তমানে বাগেরহাট শহরের শালতলায় নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী ৭ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট সদর হাসপাতালে কোভিড-১৯ এর প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। এর দেড় ঘন্টার মধ্যে তার শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। প্রথমে মাথাঘোরা, মাথায় যন্ত্রণা, জ্বর,বুকে ব্যাথা, মেমোরিলস, শ্বাসনিতে কষ্ট,চোখে ঝাপসা দেখা,শরীরে অস্বস্তি, হাত-পায়ে অনুভুতি কম, ঘাড় এবং কোমর ব্যাথা, পায়ের শীরায় টান লাগাসহ বিভিন্ন ধরণের উপসর্গ যুক্ত হতে থাকে। প্রতিদিন একের পর এক উপসর্গ মোকাবেলা করতে হয় তাকে। নতুন করে তার ঘাড়ের রগনালিসহ গলায় ব্যাথা এবং কোমর থেকে দুই পায়ের নিচ পর্যন্ত রগে টানসহ মাঝে মধ্যে শরীরের নিচের অংশ অবশ হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আনাস মারা গেছেন
একের পর এক উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত ১৬ মার্চ তাকে বাগেরহাট থেকে এয়ার এম্বুলেন্সে যোগে বিএসএমএমইউতে এনে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে দুই দফায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বি এস এম এম ইউর মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসার ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফতের অধিনে তিনি ভর্তি ছিলেন। সেখানে চিকিৎসকরা তার মাথার সিটিএস্কান, বুকের সিটিএস্কান,ঘাড় ও কোমরের এমআরআই,বোনমেরু, মেরুদন্ডের লালা,এক্সেরে,ইসিজি, আলট্রসোনোগ্রাফি,বোনমেরুস্কান,রক্তসহ শরীরের বিভিন্ন ধরণের অসংখ্য পরীক্ষা করানো হয়। বিএসএমএমইউতে এখনো তিনটি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। প্রাপ্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা নিদিষ্ট ভাবে তার রোগ নির্ণয় করতে পারেনি।
সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী জানান, তার শারীরিক অসুস্থতা রয়ে গেছে। নতুন করে আরো দু’টি উপসর্গ যুক্ত হয়েছে। প্রতিটি মুহুত্ব আমাকে নানা উপসর্গ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আমার অনুরোধে গত ৫ এপ্রিল বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরা আমাকে এক মাসের জন্য রিলিজ দিয়েছে। সেখানে দেওয়া তিনটি টেস্ট রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। ওই টেস্ট রিপোর্ট পওয়ার পর আবারো চিকিৎসার জন্য আমাকে বিএসএমএমইউতে যেতে হবে। শারিরীক অসুস্থতার বিষয় নিয়ে দেশ-বিদেশে চিকিৎসকদের সাথে নানা ভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
চিকিৎসা সহযোগীতায় এগিয়ে আসায় বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক,ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিনসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী।
বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ইউএনবি সম্পাদক মাহফুজুর রহমান,ইউএনবির এক্সিকিউটিব পরিচালক নাহার খানসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা আর হাজারো মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় আমি বেঁচে আছি। সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।
তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারো পেশাগত কাজে ফিরতে চান।
৩ বছর আগে
১৫ বছর ধরে উৎপাদনে নেই খুলনা অক্সিজেন কোম্পানি
গত প্রায় ১৫ বছর ধরে উৎপাদনে নেই খুলনা অক্সিজেন কোম্পানিটির। তবে ঢাকা থেকে ভিন্ন কোম্পানি থেকে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ কিউবিক মিটার অক্সিজেন এনে খুলনার প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে সরবরাহ করছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া লিন্ডে ও স্পেকট্রা কোম্পানিও খুলনা জেলাতে অক্সিজেন সরবরাহ করছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কোভিড ডেডিকেট হাসপাতাল, খুলনা জেনারেল হাসপাতাল, শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সকল সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহকারী স্পেকট্রা অক্সিজেন কোম্পানি লিমিটেড।
এসব কোম্পানিগুলোর দাবি, খুলনার হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সরবরাহ সক্ষমতা রয়েছে তাদের। যদিও অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
নগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোড (শিপইয়ার্ড এলাকা) খুলনা অক্সিজেন লিমিটেড ও লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড নামে দুটি বেসরকারি অক্সিজেন কোম্পানি রয়েছে। ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর খুলনা অক্সিজেন লিমিটেডের বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার স্থাপনকালে অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্লান্টের রোটার কমপ্রেসার বিস্ফোরিত হয়েছিল। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ব্যবস্থা উৎপাদনে নেই। বর্তমানে খুলনা অক্সিজেন লিমিটেড, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড ও স্পেকট্রা অক্সিজেন কোম্পানি নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান খুলনার বিভিন্ন স্থানে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করছে। খুলনায় নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় ঢাকা, রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লিকুইড অক্সিজেন সংগ্রহ করে খুলনাতে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিভাগীয় শহর খুলনার সব কটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালসহ বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে এক সময় অক্সিজেন সরবরাহ হতো খুলনা অক্সিজেন কোম্পানি থেকে কিন্তু উদ্যোক্তার অনাগ্রহ, অর্থ সঙ্কট ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় সেই ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে বেসরকারি এ কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে বাইরে থেকে বোতলজাত অক্সিজেন এনে সরবরাহ করছে কোম্পানিটি।
খুলনা অক্সিজেন প্লান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোম্পানির অক্সিজেন উৎপাদন বন্ধ থাকায় এখন প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ কিউবিক মিটার অক্সিজেন সংগ্রহ করে খুলনার কয়েকটি হাসপাতাল-ক্লিনিকে সরবরাহ করছি। কারখানাটি পুনরায় চালু করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। আমেরিকা প্রবাসী মালিক তানভীর মাশরু করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে আসতে পারছেন না। তিনি দেশে ফিরলে কোম্পানিটি উৎপাদনে যাবে কি না, সেটার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
লিন্ডে বাংলাদেশের খুলনা ডিপোর একাধিক সূত্র মতে, কোম্পানিটি দুদিন পরপর রূপগঞ্জ থেকে ১৩০টি ছোট সিলিন্ডার ও ৫০টি বড় সিলিন্ডার নিয়ে আসছে। এতেই চাহিদার পর্যাপ্ত যোগান রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। আদ্বদীন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নার্গিস মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ন্যাশনাল হাসপাতাল, গুড হেলথ, সুরক্ষা ক্লিনিক, সন্ধানী ক্লিনিকসহ ছোট-বড় অধিকাংশ হাসপাতাল ক্লিনিক লিন্ডে বাংলাদেশ থেকে অক্সিজেন নিয়ে থাকে।
লিন্ডে বাংলাদেশ খুলনার এরিয়া ম্যানেজার মো. মুশফিক আক্তার বলেন, এই মুহূর্তে চাহিদার তুলনায় আমাদের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। খুলনাবাসীর উদ্বিগ্ন হবার কোন কারণ নেই।
একাধিক হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খুলনা অক্সিজেন কোম্পানি ও লিন্ডে বাংলাদেশের খুলনা ডিপো থেকে ক্রয় করে আমাদের হাসপাতালের চাহিদা পূরণ করা হয়। কিন্তু মাঝে মধ্যে এমন সঙ্কট দেখা দেয় তখন সমস্যায় পড়তে হয়। খুলনায় হাসপাতাল ও ক্লিনিক বাড়লেও নতুন কোনো অক্সিজেন কোম্পানি গড়ে না ওঠায় ক্রেতারা প্রায়ই ভোগান্তির শিকার হন। খুলনায় অক্সিজেন উৎপাদন ফের চালু হলে এই শিল্পে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দ্রুত সময়ে ক্রেতাদের অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হতো।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে হঠাৎ করে জরুরি অক্সিজেন আমদানি বন্ধ
খুলনার সবগুলো সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহকারী স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড।
স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এজিএম (খুলনা) ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশের সবগুলো অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ সংকট মোকাবিলা করবে ইনশাআল্লাহ। এখনো অবস্থা স্থিতিশীল। চাহিদার তুলনায় যোগান পর্যাপ্ত রয়েছে, উদ্বিগ্ন হবার কোন কারণ নেই।
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ রোগীর শরীরে অক্সিজেনের উপস্থিতি ৯০ শতাংশের নিচে নামতে শুরু করলেই অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। পালস অক্সিমিটার নামে একটি সহজ ডিভাইসের মাধ্যমে অক্সিজেনের শতকরা উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়। অক্সিজেন যদি ৮০ শতাংশ বা এর আশপাশে থাকে তখন বাসায় রেখে অক্সিজেন দিয়েও সঙ্কট মোকাবিলা করা হয়। আর এর চেয়েও কমে গেলে তখন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন হবে।
এদিকে হঠাৎ করে ভারত থেকে বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশে করোনার চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত জরুরি তরল অক্সিজেনের আমদানি। গত চার দিনে কোনো অক্সিজেনবাহী গাড়ি আসেনি। তবে গত ২১ এপ্রিলের আগে এক সপ্তাহে ৪৯৮ মেট্রিক টন ৮৪০ কেজি তরল অক্সিজেন ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। যার আমদানি মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ১৬৫ মার্কিন ডলার। ২৯টি ট্যাংকারে এই তরল অক্সিজেন বাংলাদেশে আসে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের শুধু বাণিজ্যিক সম্পর্ক না। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সূত্র ধরে এই ক্রান্তিকালে সীমিত পরিসরে হলেও দেশটি অক্সিজেন রপ্তানি সচল রাখবে।
জানা গেছে, দেশের চিকিৎসা খাতে অক্সিজেনের চাহিদার বড় একটি অংশ আমদানি হয় ভারত থেকে। প্রতি মাসে শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়েই প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়ে থাকে। করোনাকালীন সময়ে আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে সম্প্রতি এ অক্সিজেনের চাহিদা আরও বাড়ছে। কিন্তু এরই মধ্যে বাংলাদেশে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি।
আমদানিকারকরা জানান, ভারতীয় রপ্তানিকারকরা বলছেন, অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধে তাদের চাপ রয়েছে। তাই ভারতে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা ভেবে বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি সাময়িক বন্ধ করেছে।
অক্সিজেন পরিবহনকারী বাংলাদেশি ট্রাক চালকেরা জানান, গত চার দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে ট্রাক নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু ভারত থেকে কোনো অক্সিজেন বন্দরে প্রবেশ করেনি।
অক্সিজেন আমদানিকারকের প্রতিনিধি রাকিব হোসেন জানান, ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা তাদের জানিয়েছেন সংকটের কারণে তারা বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি করতে পারছেন না। এছাড়া রপ্তানি না করার বিষয়ে ভারত সরকারেরও কিছুটা চাপ রয়েছে।
বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ চলছে। এতে আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন অতি গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে অক্সিজেন স্বল্পতা থাকলেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সোহার্দ্য সম্প্রতি ও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তরল অক্সিজেন দেবে আশা রাখি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বাংলাদেশে চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রায় সবকিছুই আসে ভারত থেকে। হঠাৎ বন্ধে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে আমরা আশা করছি বন্ধুত্বের সূত্র ধরে ভারত সরকার করোনার এ সময়ে অল্প করে হলেও বাংলাদেশে অক্সিজেন সরবরাহ সচল রাখবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, সর্বশেষ ২১ এপ্রিলের আগে ৪৯৮ মেট্রিক টন ৮৪০ কেজি তরল অক্সিজেন ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়। প্রতি মেট্রিক টন অক্সিজেনের আমদানি মূল্য ছিল ১৬৫ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি ১৪ হাজার ১৯০ টাকা।
৩ বছর আগে
করোনা: খুলনায় আরও তিন জনের মৃত্যু
খুলনায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। একই সাথে খুমেকের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় ৬৯ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারহানা দিলরুবা (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তিনি নড়াইল সদরের ধাওয়া খালি এলাকার বাসিন্দা শাহিনুর ইসলামের স্ত্রী। ৬ এপ্রিল তিনি খুমেকের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জলিলুর রহমান (৮১) নামে একজন মারা যান। তিনি খুলনার খালিশপুর থানাধীন হাউজিং বাজার এলাকার মৃত মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে। ১৯ এপ্রিল তিনি মেডিকেলে করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় একদিনে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৮১
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পুষ্পপল কুমার চক্রবর্তী (৫৩)। তিনি বাগেরহাট ফকিরহাটের মূলঘর এলাকার চিত্তরঞ্জন কুমার চক্রবর্তীর ছেলে।
এ নিয়ে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনার করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১৬ জনের মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড
খুমেক হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসাবিষয়ক কমিটির সমন্বয়কারী এবং খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৩৭৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৬৯ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ৬২ জন। এছাড়া বাগেরহাটের ৪ জন, সাতক্ষীরার ১ জন, ঢাকার ১ জন ও মাগুরার ১ জন রয়েছেন।
৩ বছর আগে
খুলনায় করোনায় ৩ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন- বাগেরহাট সদরের সাহাপাড়া এলাকার সমীর সাহা (৬০), ফকিরহাট উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৩২) ও যশোর সদর উপজেলার গোলাম সরোয়ার মোল্লা (৬৫)।
আরও পড়ুন: খুলনায় চলছে কঠোর লকডাউন
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সমীর সাহার মৃত্যু হয়। ১২ এপ্রিল তিনি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: দেশে নতুন লকডাউন: দুর্দান্ত কোনো ফলাফলের বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা
অপরদিকে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার মানশা এলাকার আব্দুল লতিফ হাওলাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাম সরোয়ার মোল্লার মৃত্যু হয়। তিনি যশোর সদরের ঘোপ রহিমপুর এলাকার মো. আজগর আলী মোল্লার ছেলে। তিনি ৯ এপ্রিল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ ৯৬ জন মারা গেছেন বলে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জনানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৮৭ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা বিষয়ে সচেতনতা ও টিকাদানে সহায়তা করবে ফেসবুক
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৫ হাজার ১৮৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭০ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯১ হাজার ২৯৯ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৮২৫টি।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০.৮৯ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৮০ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৪.০৯ শতাংশ।
৩ বছর আগে
খুলনায় স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
খুলনা মহানগরীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগে নগর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর নাহিদ হাসান মৃধার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
৩ বছর আগে
করোনায় পৌরনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবুল খয়ের খান মৃত্যু হয়েছে।
৩ বছর আগে