বাংলাদেশ নৌবাহিনী
বাংলাদেশ নৌবাহিনী 'ক্রেতা' থেকে 'নির্মাতা' হতে চলেছে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সততা, নেতৃত্ব এবং আত্মত্যাগের গুণাবলিতে উৎসাহিত হয়ে আপনাদের সর্বদা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার পাশাপাশি যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে।বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির (বিএনএ) মিডশিপম্যান ২০২০ আলফা ব্যাচ এবং ডিরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২২ ব্রাভো ব্যাচের উত্তীর্ণ ক্যাডেটদের প্রেসিডেন্ট প্যারেডে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থাকে এবং দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই আমাদের কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুক।’
গ্র্যাজুয়েট অফিসারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় আপনারা আমাদের নৌবাহিনীর ভবিষ্যত নেতৃত্বদানকারী।
তিনি তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এবং শৃঙ্খলা ও সততার অনুভূতিতে সজ্জিত হয়ে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে বলেছিলেন।
আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণ করছে উল্লেখ করে
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে সক্ষম করার লক্ষ্যে তাদের আধুনিকায়নের কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না, বরং সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে। ‘একটি স্বাধীন দেশ হওয়ায় আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং উন্নত সরঞ্জামে সজ্জিত করতে চাই, যাতে আমরা বাইরের শত্রুদের যে কোনও আক্রমণ প্রতিহত করতে পারি এবং যে কোনও যুদ্ধে জয়ী হতে পারি।’
তিনি বলেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ক্রেতা থেকে নির্মাতা হতে চলেছে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী সামরিক জাহাজ ও ব্যবস্থার নির্মাতা হয়ে উঠছে যা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব ব্যবহারের জন্য স্থানীয় শিপইয়ার্ডে জাহাজ নির্মাণ করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী খুলনা শিপইয়ার্ডে পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট এবং দুটি বৃহৎ পেট্রোল ক্রাফট নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। তিনি বলেন, আরও পাঁচটি টহল কারুশিল্প তৈরির কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী তিন বাহিনীর জন্য আইএফএফ (বন্ধু ও শত্রুর পরিচয়) ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছে। এখন নৌবাহিনী ‘ক্রেতা’ থেকে ‘নির্মাতা’ (সামরিক জাহাজ ও ব্যবস্থার) বাহিনীতে পরিণত হতে যাচ্ছে। এটি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে, স্থানীয় প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং দক্ষতা বাড়াবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের প্রথম টানেল।
তিনি বলেন, বিএনএস শের-ই-বাংলার নির্মাণ কাজ চলছে এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে এবং এখন তা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে চারটি ফ্রিগেট, ছয়টি করভেট, চারটি বড় পেট্রোল ক্রাফট, পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট এবং দুটি প্রশিক্ষণ জাহাজসহ মোট ৩১টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সংকটে মানুষ যাতে কষ্ট না পায় তা নিশ্চিত করুন: স্থানীয় প্রতিনিধিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি বলেন, সরকার দক্ষ কমান্ডো ও উদ্ধারকারী দল হিসেবে 'স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ কমান্ড' এবং নেভাল এভিয়েশন উইং প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২০১৭ সালে দুটি সাবমেরিন যুক্ত করেছি। ফলস্বরূপ, আমাদের নৌবাহিনী আজ একটি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজ, ফিশিং ট্রলার, নৌকা এবং ব্লু ইকোনমি-সম্পর্কিত মেরিটাইম প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের অবকাঠামো উন্নয়ন করছি। নৌবাহিনীতেও ডিজিটাল প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনী সম্প্রতি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে 'ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ-২০২২'-এর আয়োজন করেছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নৌবাহিনীর জন্য ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি জমকালো কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ২০২০ আলফা ব্যাচের মোট ৩৫ জন মিডশিপম্যানকে কমিশন দেয়া হয়, আর ২০২২ ব্রাভো ব্যাচের ছয়জন সরাসরি প্রবেশকারী কর্মকর্তা স্নাতক হন।
প্রধানমন্ত্রী দুই সেরা অলরাউন্ড মিডশিপম্যানকে সম্মানের তরবারি এবং সিএনএস স্বর্ণপদক এবং সরাসরি প্রবেশকারী সেরা কর্মকর্তাকে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সকল ধর্মীয় বিশ্বাস সমান অধিকার ভোগ করে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রশংসার দাবিদার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ না চাইলেও বহিরাগত হুমকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্ট (এমপিএ-৮৩২২ ও এমপিএ-৮৩২৭) অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবিবার বক্তব্যকালে এই কথা বলেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নেভাল এভিয়েশন হ্যাঙ্গারে (বিমান রাখার স্থান) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর সমুদ্র ও আকাশ রক্ষায় নৌবাহিনীকে সত্যিকারের ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এই দুটি টহল বিমানের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিমান চালনার সক্ষমতা বহুগুণে শক্তিশালী করবে।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের কোনো স্থান নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১৭ সালে দুটি সাবমেরিন ‘বিএনএস নবযাত্রা’ ও ‘বিএনএস জয়যাত্রা’ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, বন্দরে সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজকে নিরাপদ জেটি সুবিধা দিতে কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযানের পরিচালন ও যোগাযোগ সুবিধা বাড়াতে ‘শের-ই-বাংলা ঘাঁটি’ এর নির্মাণ কাজ উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহে কাজ করেছে এবং বিদ্যমান জাহাজের পরিচালনা ক্ষমতা জোরদার করছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনীর কর্মীরা প্রতিনিয়ত অনেক প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামুদ্রিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, যা প্রশংসার দাবিদার।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে
তিনি আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সম্বলিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, হেলিকপ্টার ও এমপিএ পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সব সুবিধাসহ দ্বিতীয় হ্যাঙ্গার নির্মাণের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল। দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে করোনাভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের উন্নয়নের গতিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ, ভূমি ও জনশক্তি দিয়ে এ দেশকে রক্ষা করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে এবং সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। অনুষ্ঠানে নেভাল এভিয়েশন সম্পর্কিত একটি ছোট ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
খুলনা শিপইয়ার্ডে দেশের সর্ববৃহৎ ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংকের কিল লেয়িং অনুষ্ঠিত
খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য তিনটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংক (এলসিটি) নির্মাণ করবে। এগুলো হবে এযাবৎকালে দেশে নির্মিত সর্ববৃহৎ এলসিটি।
বুধবার সকালে খুলনা শিপইয়ার্ড চত্বরে এসকল এলসিটি নির্মাণের কিল লেয়িং অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা নৌঅঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং সভাপতি ছিলেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম সামছুল আজীজ।
আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য খুলনা শিপইয়ার্ড কর্তৃক জাহাজ নির্মাণ এটাই প্রথম নয়। আগেও এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য পাঁচটি পেট্রোল ক্র্যাফট, দুটি লার্জ পেট্রোল ক্র্যাফট, দুটি টাগ বোট এবং ছয়টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ইউটিলিটি সফলভাবে নির্মাণ করে হস্তান্তর করেছে।
বর্তমানে সর্ববৃহৎ দৈর্ঘের এলসিটি নির্মাণ করছে। এগুলো খুলনা শিপইয়ার্ডের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার প্রমাণ।
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীতে আরও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
কেবল নৌবাহিনীর জন্য নয়; কোস্টগার্ড, মোংলা বন্দর, পায়রা বন্দর, মৎস্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য আন্তর্জাতিকমানের জাহাজ নির্মাণ করে শিপইয়ার্ড দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
খুলনা শিপইয়ার্ড জাহাজ নির্মাণ করে অচিরেই বিদেশে রপ্তানিতে সক্ষম হবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী সিদ্ধান্তে ১৯৯৯ সালে খুলনা শিপইয়ার্ডকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৃতপ্রায় এ প্রতিষ্ঠান বর্তমানে তার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করেছে এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সঠিক নেতৃত্ব, কর্মনিষ্ঠা ও সততা যে একটি প্রতিষ্ঠানকে সফলতার অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে তার সফল উদাহরণ এই খুলনা শিপইয়ার্ড।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নির্মিতব্য তিনটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংক (এলসিটি) এদেশের সর্ব বৃহৎ দৈর্ঘের (৭০ মিটার) এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংক যাতে অত্যাধুনিক মেশিনারী এবং যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হবে। জাহাজ তিনটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা এবং দেশের অভ্যন্তরের নদীসমুহে অপারেশন সক্ষম। প্রতিটি জাহাজ একই সাথে ছয়টি মাঝারি মানের ট্যাংক পরিবহন করা যাবে। এছাড়াও ছয়টি মাঝারি মানের ট্যাঙ্কের পরিবর্তে প্রতিটি জাহাজ পাঁচটি মিডিয়াম অ্যটিল্যারি গান ভেহিকেল অথবা ১২টি এপিসি অথবা ১৮টি মিলিটারি ট্রাক পরিবহনে সক্ষম। এলসিটিমূহের প্রাথমিক কাজ হবে যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের উভচর অভিযান পরিচালনা এবং ট্যাংক, এপিসিসহ সার্পোট ইউনিট ও ল্যান্ডিং ফোর্স পরিবহন করা।
তাছাড়া শান্তিকালীন সময় এলসিটি এর মিশন হবে লজিস্টিক শিপ এর ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর ও এর তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় মানবিক সহায়তা প্রদান এবং ত্রাণসামগ্রী ও কর্মী পরিবহন করা।
দেশে নির্মিত প্রথম ল্যান্ডিং ক্র্যাফট হিসেবে এটা দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। জাহাজ তিনটি আন্তর্জাতিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি লয়েডস রেজিস্ট্রার (ইংল্যান্ড) এর নীতিমালা অনুসরণ করে নির্মিত হবে।
কিল লেয়িং অনুষ্ঠানে খুলনা শিপইয়ার্ড এর উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
করোনা: উপকূলীয় অঞ্চলে নৌবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ
২ বছর আগে
প্রথম নৌপ্রধান নুরুল হক আর নেই
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম নৌপ্রধান ক্যাপ্টেন নুরুল হক (অব.) আর নেই।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশ চেস চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ রাউন্ড শনিবার
মর্নিং গ্লোরী অনলাইন বাংলাদেশ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০-এর শেষ রাউন্ড শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
৪ বছর আগে
দক্ষিণ সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে নৌসদস্যের ২য় গ্রুপের ঢাকা ত্যাগ
দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফোর্স মেরিন ইউনিট-৬-এ যোগদানের উদ্দেশ্যে ৬৭ নৌসদস্যের দ্বিতীয় গ্রুপ শুক্রবার ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে।
৪ বছর আগে
বৈরুত বিস্ফোরণে ৪ বাংলাদেশি নিহত, নৌবাহিনীর ২১ সদস্য আহত
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় চার বাংলাদেশি নিহত এবং নৌবাহিনীর ২১ সদস্য আহত হয়েছেন।
৪ বছর আগে
বৈরুত বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্য আহত
লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
৪ বছর আগে
বরগুনায় টহলে নেমেছে নৌবাহিনী
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে এবং এ লক্ষ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বরগুনায় টহলে নেমেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
৪ বছর আগে