তারেক রহমান
তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা করার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। এর আগে চার দফা দাবিতে যুবলীগের পক্ষে থেকে মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে তারেক রহমান ও জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনার দাবিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তারেক-জুবাইদার সাজার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার দুই-তিন মিনিটের মাথায় আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা স্লোগান নিয়ে দক্ষিণ হলে প্রবেশ করে। এ সময় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা চিৎকার শুরু করে। এসময় আ. লীগ সমর্থক আইনজীবীরা হলরুম থেকে বের হয়ে যান।
এরপর শুরু হয় সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা স্লোগান দিয়ে হল ত্যাগ করেন। তারা সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে দিয়ে স্লোগান দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় এবং তা অন্তত ১০ মিনিট চলে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ
পরে সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, কাজল ও সজলের নেতৃত্বে আমাদের আইনজীবীদের ওপর হামলা হয়েছে। তারা সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।’
এদিকে বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা যখন আমাদের এক নারী আইনজীবীর ওপর হামলা চালায়, তখন আমরা শান্তিপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলাম। আমরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তারা আরও আগ্রাসী আচরণ করে।’
সচিবের কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘তারা নিজেরাই কক্ষ ভাঙচুর করে এখন আমাদেরকে দোষারোপ করছে।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি: সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিড শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলি
তারেক-জুবাইদার বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তারেক-জুবাইদার বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার এই মামলা দায়ের করে নাই। বিএনপির পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারই এই মামলা করেছিল। আমাদের সরকার যদি প্রতিহিংসাপরায়ণ হতো তাহলে আমরা মামলা করতাম, আর রায়ের জন্যও ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না, অনেক আগেই রায় হতো।’
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রায়ের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজকে ও আগামীকালও তাদের কর্মসূচি আছে। কিন্তু আমাদের সরকারের আমলে এই মামলা হয়নি। এই মামলা হয়েছে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যখন ইয়াজউদ্দিন সাহেবকে বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। আর বিশ্বব্যাংকে কর্মরত ফখরুদ্দীন সাহেবকে ধরে এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আর সেই সেনাসমর্থিত সরকারের সেনাবাহিনীর প্রধান বানানো হয়েছিল ৭ জনকে ডিঙ্গিয়ে। তাদের পছন্দের মানুষরাই যখন ক্ষমতায়, তখন এই মামলা করা হয়েছিলো, সেই মামলায় তাদের শাস্তি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত: তথ্যমন্ত্রী
রায় নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইন-আদালত কোনো কিছুর ওপরই তো বিএনপির কোনো আস্থা নেই, কোনো কিছুকে তারা তোয়াক্কা করে না, শুধু ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে যায়। আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, বিদেশিরা প্রয়োজনে আমাদের কাছে আসে।’
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’
বুধবার রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার জনসভা প্রকৃত অর্থে স্মরণকালের বিশাল জনসমুদ্রের রূপ নিয়েছিল। এতেই প্রমাণিত হয় দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে কতটুকু ভালোবাসে, এতেই প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ওপর দেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস, সমর্থন আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রংপুর শহরে জেলা স্কুল মাঠে জনসভার ডাক দিয়েছিলাম কিন্তু কার্যত পুরো রংপুর শহরই জনসভাস্থলে রূপান্তরিত হয়। হুইল চেয়ারে বসে ৯৬ বছর বয়সী ভাষা সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ মহিলাসহ লাখ লাখ মানুষ সেখানে যোগদান করেছে। মাঠের বাইরে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারব্যাপী জনসভাস্থলের চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ ছিলো। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য মানুষের মধ্যে যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা আমরা দেখতে পেয়েছি, তাতে আমরা অভিভূত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘ আগুনসন্ত্রাস’ বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: তথ্যমন্ত্রী
তারেক রহমানের আহ্বানকে ‘সহিংসতার প্ররোচনা’ বলে দাবি অধিকারকর্মী ও সংখ্যালঘু নেতাদের
অর্থ পাচার ও শেখ হাসিনার উপর ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন থেকে ‘দেশের ভাগ্য ফয়সালা হবে রাজপথে’ আহ্বানের সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা।
তারা বলেছেন, এটি ‘নতুন করে সহিংসতা শুরু করার জন্য একটি প্ররোচনা।’
এ ছাড়া তারা তারেকের ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার’ তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তারা বলেন, ‘পলাতক অবস্থায় এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ।’
তারেকের ছবিসহ বিএনপির মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘দেশের ভাগ্য ফয়সালা হবে রাজপথে।’
তারেক রহমানের ভিডিও বার্তা প্রকাশের পর বিশিষ্ট আইন, শিক্ষাবিদ এবং বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘একজন পলাতক ব্যক্তির কী সাহস! এটা বিরাট একটা উসকানি!’
তিনি বলেন, ‘বিচার এড়াতে তারেক বছরের পর বছর ধরে লন্ডনে পলাতক জীবন কাটাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় রায় ২ আগস্ট
অধ্যাপক রহমান আরও বলেন, ‘একটি বন্ধুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের মাটিকে এ ধরনের বেআইনি কাজ করার জন্য ব্যবহার করা যাবে না।’
তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘লন্ডনে আমাদের মিশনের অবিলম্বে ব্রিটিশ সরকারের কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানানো উচিত। বাকস্বাধীনতার ছদ্মবেশে এটাকে অনুমোদন করা যাবে না।’
আইনজীবী, অধিকারকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা রানা দাশগুপ্ত একই কথার প্রতিধ্বনি করেছেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অতীতে বিএনপি কর্তৃক সংগঠিত সহিংস হামলার কথা বিবেচনা করে তিনি বলেন, ‘তারেকের এই বর্তমান হুমকি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য গভীর উদ্বেগজনক।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দাশগুপ্ত বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক দল, যারা গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি মেনে চলে; তাদের প্রকাশ্যে এই ধরনের হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত ছিল।’
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজপথে সহিংসতা এবং সারা দেশে সংখ্যালঘুদের উপর টার্গেটেড হামলা এখনও ভুক্তভোগীদের পীড়া দেয়।
আরও পড়ুন: তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাক্ষ্য
দাশগুপ্ত আরও বলেন, ‘২০১৩-২০১৫ সালের মধ্যে শতাধিক পরিবারকে আক্রমণ করা হয়েছিল, সম্পত্তি লুট করা হয়েছিল এবং উপাসনালয়গুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে অসংখ্য মৃত্যু এবং সম্পত্তি ও জীবিকা ধ্বংস হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘যখন তারেক ও তার মা দেশ শাসন করত সেসমযের বিএনপি-জামায়াতের দ্বারা সংঘটিত সংখ্যালঘুদের উপর হামলাগুলোকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত।’
২০০১ ও ২০০৬ সালের মধ্যে তারেক বেশ কয়েকটি ভয়ঙ্কর অপরাধ এবং উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছিল। যার ফলে এফবিআই এজেন্ট দ্বারা সাক্ষ্য দেওয়া এবং শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলাসহ অর্থপাচার ও বেশ কয়েকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ‘শোষক সরকার ও সহিংস রাজনীতির’ প্রতীক আখ্যা দিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এমনকি সে সময় তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
মার্কিন দূতাবাসের একটি ফাঁস হওয়া মার্কিন দূতাবাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দূতাবাস বিশ্বাস করে যে তারেক ‘গুরুতর রাজনৈতিক দুর্নীতির জন্য দায়ী, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।’ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা ও মার্কিন বৈদেশিক সহায়তার উদ্দেশ্যগুলোতে প্রবাব ফেলে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় রায় ২ আগস্ট
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ আগামী ২ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান।
এদিন দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন।
তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ ছিল না। তারা আইনি লড়াই করতে পারেননি।
এর আগে গত ২৪ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাক্ষ্য
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।
এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর পর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
দুর্নীতি মামলায় তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
দুদকের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এক বেসরকারি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এবি ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখার সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মুসা করিম, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওবায়দুর রশিদ খান এবং কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ সাক্ষ্য দেন।
তাদের সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, বিচারক এদিন তিনজনের জবানবন্দি শুনে মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছেন।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় কোনো সাক্ষীকেই জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।
গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদার জবানবন্দি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু
তারপর ২৫ মে সাক্ষ্য দেন পিরোজপুরের কাউখালীর এমরান আলী শিকদার এবং নড়াইলের লোহাগড়ার সৈয়দ আজাদ ইকবাল। তারা দুইজনই বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকাল পত্রিকার হিসাব বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।
এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার দেশের বাইরে থেকে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
দণ্ডিত তারেক রহমানকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, তবে সবকিছু নির্ভর করছে যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর।
তিনি বলেন, ‘তিনি সেখানে (ইউকে) আছেন। অপরাধী যেই হোক, তাদের ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন এটা সম্পূর্ণ ব্রিটিশ সরকারের ওপর নির্ভর করছে। তারা কি তাকে সেখানে রাখবে নাকি শাস্তি কার্যকর হতে দেবে? এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের ওপর নির্ভর করছে।’
মঙ্গলবার তিনি ওয়াশিংটনে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সর্বদা উদ্যোগ রয়েছে। তিনি মানিলন্ডারিং, অস্ত্র চোরাচালান, দুর্নীতি এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার উল্লেখ করেন। তাদের বিরুদ্ধে এরকম আরও অনেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
হাসিনা বলেন, তারেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বন্ডে সই করে দেশ ত্যাগ করেন। তাই আমরা চাই এই মামলার রায় কার্যকর করতে যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।
এর আগে ভিওএ সাংবাদিক তারেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই। এক পর্যায়ে আমরা বারবার যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
আরও পড়ুন: ‘সভ্য দেশে কেউ যদি মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরি করার চেষ্টা করে, তারা কী করবে?’
আ. লীগ একাই গণতন্ত্র চর্চা করে ও বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করে: প্রধানমন্ত্রী
বহিরাগত চাপে পদ্মা সেতু থেকে সরে গেছে বিশ্বব্যাংক: ভবিষ্যতের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দুর্নীতি মামলায় তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। মামলায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পলাতক রয়েছেন।
এদিকে একই আদালত তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান আইনজীবী দিয়ে আইনি লড়াই করতে পারবেন না মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ২৯ মার্চ পলাতক এ দুই আসামির পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেন।
৯ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে শুনানিতে অংশ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার দেশের বাইরে থেকে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য রাখেন। আজ আদালত তাদের আবেদনটি নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশে থেকে তারেক ও জোবায়দা আইনি লড়াই করতে পারবেন কিনা, আদেশ বৃহস্পতিবার
তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
তারেক-জোবায়দার দেশের বাইরে থেকে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, পলাতক থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আইনি লড়াই করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোর্টে হাজির না হয়ে আইনি লড়াই করার কোনো নজির নেই। করোনার সময়ে দুই ভাই (রণ হক শিকদার) দেশের বাইরে থেকে জামিন আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাদের জামিন শোনেননি। উল্টো দেশের বাইরে থেকে জমিন আবেদন করায় আদালত তাদের জরিমানা করেছিলেন। তাই পলাতক থেকে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানেরও আইনি লড়াই করার সুযোগ নেই।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পলাতক হওয়ায় তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে আইনি লড়াই করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও আইন অনুযায়ী কখনো কোনো পলাতক ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ না করে কোনো ধরনের আইনগত প্রতিকার চাইতে পারেন না।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলাটি করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা, অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে অভিযুক্ত করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ মামলায় পলাতক তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। দুজনের পক্ষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুনানিতে অংশ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এই আইনজীবী।
তবে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তাদের আইনের আশ্রয় নিতে কে নিষেধ করেছে? তিনি (তারেক রহমান) থাকবেন লন্ডনে রাজকীয় ভবনে, আর বলবেন তাকে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত (অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকলে) থাকার পরও তারা আইনজীবী নিয়োগের আবেদন আদালতের সময় নষ্ট ও আদালত অবমাননার সমান।
দুদকের এই আইনজীবী আরও বলেন, এর আগে আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আশ্রয় লাভের নির্দেশ দেন। তারা তা করেননি। নতুন একটা আবেদন নিয়ে এসেছেন। তাই তাদের আবেদন খারিজ করে অভিযোগ শুনানি শুরু করার প্রার্থনা করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান শুনানি নিয়ে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের পক্ষে আইনজীবী থাকবে কি না এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
বিডিআর বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়াকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন তারেক: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের আগের দিন রাত ১টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে তারেক রহমান খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন এবং তাকে সকাল ৬টার মধ্যে তার বাসভবন ত্যাগ করতে বলেন।’
শনিবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করা ভিডিওটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে সংসদে কল রেকর্ড উপস্থাপন করেন। ‘প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ ছাড়া জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য দেন না। বিএনপি এ বিষয়ে কখনো সাড়া দেয়নি।’
২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৪তম বার্ষিকীতে, এই ভিডিওটিতে বিডিআর বিদ্রোহের পটভূমি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করে।
ট্র্যাজেডিতে তাদের নিকটাত্মীয়দের হারিয়েছে এমন পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন যে বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে, ‘একটি রাজনৈতিক দল’ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক গুজব সেল চালু করেছে।
তিনি আরও বলেছেন, তার প্রোফাইলে পোস্ট করা এই ভিডিওটিতে সেই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে।
ভিডিওটিতে বিডিআর বিদ্রোহের আগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের তৎকালীন বিশেষ দূত জিয়া ইস্পাহানীর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ রয়েছে। জিয়া ইস্পাহানী বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু না করার জন্য। ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার প্রস্তাব দেন, প্রধানমন্ত্রী যা প্রত্যাখ্যান করেন।
২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া ইস্পাহানী খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন। ভিডিওটিতে বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ‘কার বা কাদের আহ্বানে জিয়া ইস্পাহানী বাংলাদেশে এসেছিলেন?’
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
ভিডিওতে বলা হয়েছে, ‘বিডিআর বিদ্রোহের মাত্র চার দিন আগে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করেছিলেন।’ তবে বিমানবন্দর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ফিরিয়ে দেন। ‘তার দেশ ছাড়ার উদ্দেশ্য কি ছিল?’- এটাও প্রশ্ন।
ভিডিওতে আরও বলা হয়েছে, বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করা আসামিদের অনেকেই বিএনপি সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ‘২২ জন পলাতক বিডিআর সদস্যকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ জনের চাকরির সুপারিশ করে ডিও লেটার ইস্যু করেছিলেন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০৬ সালে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য একটি মরিয়া চেষ্টা করেছিল। মঈন ইউ আহমেদ এবং সাদিক হাসান রুমিসহ সশস্ত্র বাহিনীর মুষ্টিমেয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা বিএনপি-জামায়াত সরকারের অন্ধকার দিকটি প্রকাশ করেছিলেন।’
বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ এবং কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদসহ নিহতদের অধিকাংশই ২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ভিডিওতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরপরই পিলখানা গণহত্যা সংঘটিত হয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ৭৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ‘এই অপূরণীয় ক্ষতি শুধু সশস্ত্র বাহিনীরই নয়, সমগ্র জাতিরও হয়েছে। নবগঠিত আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বড় আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ষড়যন্ত্রের ফল: বিএনপি
পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক যুগ: নানা কর্মসূচিতে শহীদদের স্মরণ