তারেক রহমান
‘পলাতক স্বৈরাচারের’ পুনর্বাসন নিয়ে সরকারকে তারেক রহমানের হুঁশিয়ারি
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়, যেন পলাতক স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ পায়।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিসক্লাবে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে নিজেদের অজান্তে এই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের মধ্যে সংশয়-সন্দেহের জন্ম দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে।’
‘সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যেন রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়।’
আরও পড়ুন: সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে এখনো রাষ্ট্র থেকে লুন্ঠন করা জনগণের পকেট থেকে লুন্ঠন করা হাজার হাজার কোটি টাকা রয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারা দেশে ঘাপটি মেরে থাকা পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশকের মাফিয়া শাসনকালে তরুণ প্রজন্মের প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভোটারসহ কেউ ভোট দিতে পারেননি। সুতরাং এই ভোটারদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। নাগরিকরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী না হলে কোনো সংস্কারই কিন্তু টেকসই হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সংস্কার ও নির্বাচনকে দৃশ্যত যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলা হয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। যারা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই যেটি শেষ হয়ে যায় সেটি সংস্কার নয়। কারণ সংস্কার কখনো শেষ হয় না, সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’
৫ দিন আগে
আরেক মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
বসুন্ধরা গ্রুপের তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সাব্বির আহমেদ হত্যা মামলার আসামিদের বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহেরের আদালত এ রায় দেন।
খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন-বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম ও তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান, আবু সুফিয়ান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সহকারি সচিব (এপিএস) মিয়া নুরুদ্দিন অপু।
এদিন আবু সুফিয়ান, কাজী সলিমুল হক কামাল আদালতে হাজির ছিলেন। জামিনে থাকা অপর আসামিদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আলহাজ বোরহান উদ্দিন খালাসের তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক, বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক ও বাবর।
৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই হত্যা রহস্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা গ্রহণ করেন।
এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হাওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের পিএস অপুকে বুঝিয়ে দেন। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন।
বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে দেন। ওই বছরের ১৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
৬ দিন আগে
দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখা ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করাকে তাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেবে তার দল। বাংলাদেশে উগ্রবাদী ও ফ্যাসিবাদীরা আবারও গণতন্ত্রকে কবর দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে, ধর্মীয় উগ্রবাদী ও তাদের মৌলবাদীদের অশুভ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে—উগ্রবাদী গোষ্ঠী ও পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি আবারও দেশে গণতন্ত্রকে কবর দেবে।’
এভাবে চলতে থাকলে গণতান্ত্রিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির সংকট দেখা দিতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার কর্মসূচিই হবে উগ্রবাদ ও ধর্মীয় মৌলবাদের অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করা। পাশাপাশি গণহত্যার জন্য দায়ী পলাতক মাফিয়া চক্রকে যেকোনো মূল্যে বিচারের আওতায় এনে গণতান্ত্রিক শক্তির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমাধান করা।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, কয়েক হাজার শহীদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথে গণঅভ্যুত্থানের সময় গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতিটি স্তরের সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। ‘যদি আমরা স্বাধীনতাকামী ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে কোনো চক্রান্তই সফল হবে না।’
জনগণের মধ্যে আস্থা ধরে রাখতে জনগণকে তার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারেক। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড বা কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা যদি জনগণের কাছে আরও স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট করা যায়—তাহলে তাদের মনের সব সংশয় ও দ্বিধা দূর হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি, গণতন্ত্র-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তারেক
বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা সত্য যে, শুধু একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য আওয়ামী মাফিয়া সরকারকে উৎখাত করা হয়নি।
‘কিন্তু আরও একটি সত্য হলো, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারায় মাফিয়া শাসনের নির্মমভাবে পতন ঘটেছে। তাই একটি নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসতে পারবে কি পারবে না, সেটা বিবেচনা করার সুযোগ নেই।’
৭ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
আগামী দিনে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, তাহলে বিগত স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করা হবে।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে এই আয়োজন করা হয়। এতে বিগত দিনে গুম, খুন এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের যে প্রত্যাশা, একজন রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে আমাদেরও প্রত্যাশা, সামনে একটি সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কারা সরকার গঠন করবে—বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবেন।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজ আসবে না: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব যে রাজনৈতিক দলই পাক না কেন, তাদের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে অবশ্যই একটি কর্মসূচি থাকতে হবে; সেটি হলো—যারা নির্যাতন ও অন্যায়ের শিকার হয়েছে, তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে হবে।’
‘যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠুভাবে এই বিচার করতে হবে। কারণ আমরা যদি আগামী দিনে অন্যায়ের বিচারগুলো করতে না পারি এবং অন্যায়ের সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার যদি না হয়, তাহলে হয়তো-বা দেশে আবারও অন্যায় সংগঠিত হবে।’
বিএনপির এই সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থান থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষ যদি আগামীতে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেয়, তাহলে অব্যশই রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যে, বিগত স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে জুলাই-আগস্ট মাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এবং যারা শহিদ হয়েছেন, যাদের বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেসব হত্যাগুলোর বিচার অবশ্যই আমরা করব।’
আরও পড়ুন: নারী-শিশু নির্যাতনে আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তায় বিএনপির ৮৪ সেল গঠন
‘আশা রাখবেন, আগামীতে আপনারা হতাশ হবেন না।... আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি, তাহলে এই বাংলায় (নিপীড়নকারীদের) বিচার করতে অবশ্যই আমরা সক্ষম হব।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে যতগুলো রাজনৈতিক দল আছে, তারা তার এই প্রস্তাবে দ্বিমত করবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
১০ দিন আগে
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
প্রায় ১১ বছর আগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১০ মার্চ) বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আফজাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তারেক রহমানবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর, ঘৃণ্য এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
পাবলিক প্রসিকিউটর ও যশোর বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, প্রথমে মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে গেলেও পরে তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেকের
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে আইন অনুসারে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা কেবল তখনই দায়ের করা যেতে পারে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধের সময় রাষ্ট্রে কোনো সরকারি পদে থাকেন। যেহেতু শেখ মুজিবুর রহমান তখন সরকারি কোনো পদে ছিলেন না, সেহেতু মামলাটি অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
এর আগে মামলাটি খারিজ চেয়ে করা একটি আবেদন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু রিভিশন শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালত তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করে মামলাটি খারিজ করে দেন।
১৬ দিন আগে
তারেক রহমান-মামুনের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৬ মার্চ
অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ রায়ের জন্য ৬ মার্চ দিন রেখেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। এর আগে ১০ ডিসেম্বর এ মামলায় মামুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের অনুমতি দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দণ্ড স্থগিত করা হয়। পরে মামুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন মামুন
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন।
সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে চার্জ শিটের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।
বিচার শেষে এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয়: তারেক রহমান
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন। দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
২২ দিন আগে
গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয়: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক বলেন, ‘স্বৈরাচার চলে গেলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্বল করার নানা অপচেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছাড়া গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছর ধরে সনাতনীরা রাজনৈতিকভাবে শোষিত হয়ে আসছে। কিন্তু, এখন তারা এটা বুঝতে পেরেছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আগামীতে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি কাজ করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাৎ হোসেন এবং বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরের অন্যান্য সন্ন্যাসী ও পুরোহিতরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: তারেক রহমান
২৬ দিন আগে
নির্বাচনি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: তারেক রহমান
জাতীয় ঐক্য ও নির্বাচনি পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে বিএনপির বর্ধিত সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক বলেন, 'রক্তাক্ত রাজপথ ও নির্বাচনী পরিবেশকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
সারাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার নেতার অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদের এলডি হল প্রাঙ্গণে বেলা ১১টায় এ সভা শুরু হয়।
অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, 'আপনাদের মাধ্যমে কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ, আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ (ইসলামী পণ্ডিত ও আধ্যাত্মিক নেতা) এবং সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে গণতান্ত্রিক শক্তির বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু, যারা বাংলাদেশকে পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল তারা তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে প্রতারণা করেছে বিগত সরকার: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংস্কার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো ইস্যুকে ব্যবহার করে জনগণের সামনে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে।’
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সমাপনী অধিবেশনেও তিনি নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বর্ধিত সভা বাস্তবায়ন গণমাধ্যম উপকমিটির নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র 'প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ' প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া তাৎপর্যপূর্ণ এই আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা বিএনপি পরিবার ইতোমধ্যে 'আস্থা' নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে।
উদ্বোধনের পরে, একটি রুদ্ধদ্বার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে তৃণমূল নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরবেন।
তারেক রহমানের নীতিনির্ধারণী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বর্ধিত সভা শেষ হবে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। চারদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বর্ধিত সভায় তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত ছয়টি সাংগঠনিক পর্যায় থেকে সাড়ে তিন হাজার নেতা অংশ নিচ্ছেন।
সভায় জাতীয় স্থায়ী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সব মহানগর, জেলা, উপজেলা-থানা ও পৌর ইউনিট কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বিলম্বিত হলে কারা সুবিধা পাবে, তা দেখার বিষয়: তারেক রহমান
বৈঠকে বিএনপির ১১টি ভ্রাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্য সম্পাদকসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এমনকি দল থেকে যারা প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন তারাও বর্ধিত সভায় রয়েছেন।
এই বর্ধিত বৈঠকের মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে বিএনপির যাত্রা ও নির্বাচনমুখী কর্মসূচি শুরু হবে।
২৭ দিন আগে
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হোন: খালেদা জিয়া
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা তাদের চক্রান্তে সক্রিয় রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির বর্ধিত সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের সতর্ক বার্তা দিয়ে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শক্তিগুলো এখনো ষড়যন্ত্র করছে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন অনেক ভালো: ডা. জাহিদ
স্থানীয় নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগ করে বলেছেন, স্থানীয় কোনো নির্বাচনের ফাঁদে অংশ নেবে না বিএনপি।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি একই বৈঠকে যোগ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দল স্থানীয় নির্বাচনকে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসিত করার প্রক্রিয়ার অংশ। কিন্তু বিএনপি এই ফাঁদে পা দেবে না।’
জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, কতিপয় উপদেষ্টার কিছু বিভ্রান্তিকর বক্তব্য স্বাধীনতাকামী মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এদিকে দেশে সহিংসতা চলছে এবং সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিও তারা রোধ করতে পারছে না।’
২৭ দিন আগে
নির্বাচন বিলম্বিত হলে কারা সুবিধা পাবে, তা দেখার বিষয়: তারেক রহমান
বিএনপি একটি ‘রাজনৈতিক’ দল উল্লেখ করে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা নির্বাচন চাইব, এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। একটি স্বাভাবিক ব্যাপারকে কিছুসংখ্যক লোক কেন অস্বাভাবিক করছেন, সেটি আমাদেরকে চিন্তা করে দেখতে হবে। এখানে অন্য কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আছে কিনা, সেটি আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণে আয়োজিত কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনাকে যদি সফল করতে হয়, তাহলে সবচাইতে উত্তম পন্থা হচ্ছে, ভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে সেই পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবায়ন করা। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণের কাছে ভোট চাওয়া ও নির্বাচন করা। কিন্তু আজকে আমরা দেখছি, কিছুসংখ্যক ব্যক্তি, সংগঠন হঠাৎ করে কথায় কথায় বলে ওঠে—বিএনপি শুধু নির্বাচন নির্বাচন চায়; বিএনপি নির্বাচন ছাড়া কিছু বোঝে না।
‘বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। আমরা যেহেতু জনগণের শাসনে বিশ্বাস করি, জনগণের রাজনৈতিক শক্তিতে বিশ্বাস করি; আমরা যেহেতু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, স্বাভাবিকভাবে আমরা নির্বাচন চাইব, জনগণের কাছে ভোট চাইব। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। একটি স্বাভাবিক ব্যাপারকে কিছুসংখ্যক লোক কেন অস্বাভাবিক করছেন, সেটি আমাদের চিন্তা করে দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে অন্য কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আছে কিনা, সেটি আমাদের ভেবে দেখতে হবে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে কারা সুবিধাপ্রাপ্ত হবে, কাদের স্বার্থ উদ্ধার হবে, এটি আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এখন প্রধান কাজ: তারেক
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপি দেশে আর কোনো অস্থিরতা দেখতে চায় না জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আজকে আমরা যদি পত্রপত্রিকা খুলি এবং দেশের বিভিন্ন দিকে তাকাই, তাহলে কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু অস্থিরতা লক্ষ করছি।... আজকে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, সেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনমনে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার গঠিত হবার পর থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে এসেছি, আমরা এই সরকারকে সমর্থন করতে চাই। আমরা চাই, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কারণ বাংলদেশের মানুষ মনে করে, জনগণের অধিকার রক্ষা করবার জন্য যা যা দরকার, তা তারা করবেন। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে এই অন্তর্বর্তী সরকার, যা পলাতক স্বৈরাচার বহু বছর আগে রাতের আঁধারে অস্ত্রের জোরে লুণ্ঠন করেছিল।’
‘কিন্তু গত কিছুদিন ধরে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ভেতরের বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।… আমরা দেখছি অর্থনীতিতে অস্থিরতা, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিতে অস্থিরতা, প্রশাসনে বিভিন্ন স্থানে অস্থিরতা।’
আরও পড়ুন: রাজপথে যাদের দেখা যায়নি, তারাই এখন সংস্কারের কথা বলছে: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আবারও পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। কারণ এই সরকার যত স্মুথলি, যত সুন্দরভাবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারবে, আগামী দিনে এই দেশ ও দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক যাত্রা তত স্মুথ হবে। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মানুষ যে নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করে, সে নিরপেক্ষতা তারা বজায় রাখবে। বিএনপিও দৃঢ়ভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।’
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন। আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ অনেকে।
২৯ দিন আগে