তারেক রহমান
রাজপথে যাদের দেখা যায়নি, তারাই এখন সংস্কারের কথা বলছে: তারেক
এখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন, অথচ বিগত সময়ে তাদের রাজপথে পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘একমাত্র বিএনপি স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশ পুনর্গঠনের কথা বলেছে এবং ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে দেশ পুনর্গঠন করবে।’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপিসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দলের নেতা-কর্মীদের খুন, গুম ও লুটতরাজ করে। তখন নানা ধরনের নির্যাতনের মুখে বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল রাজপথে থেকে লড়াই করেছে।’
‘এখন যারা বড় বড় কথা বলছে, তারা তখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিল না। এখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন, অথচ বিগত সময়ে তাদের রাজপথে পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মূল লক্ষ্য ভেঙে পড়া রাষ্ট্র-কাঠামো মেরামত করা। কৃষকের উৎপাদন, নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করাও আমাদের লক্ষ্য। জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব করবে।’
এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের জনগনের সমর্থন নেই—এমন কোনো কাজ বিএনপি করে না। বিভ্রান্ত হয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাই বিএনপির বিরুদ্ধে কারও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’
দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ পুনর্গঠনে দ্রুততম সময়ে স্বচ্ছ নির্বাচন দেওয়া জরুরি বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গণহত্যার বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি বিএনপির আহ্বান
তারেক রহমান বলেন, ‘যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা বিগত ১৭টি বছর আন্দোলন করেছি, সেই স্বৈরাচার আজ পলাতক। তবে তারা বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে; ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু বসে নেই! বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার অসিলায় বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই লক্ষ্য আমরা হাসিল করতে দিতে পারি না। দেশের মানুষকে যদি রক্ষা করতে হয়, সর্বোপরি বাংলাদেশকে যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে আমাদের সবাইকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। আমরা বসব, আলোচনা করব। এক আলোচনায় শেষ না হলে আবার আলোচনায় বসব। আলোচনার মাধ্যমেই আমরা সমস্যার সমাধার খুঁজে বের করব। আমাদের অনেক কাজ; দেশকে পুনর্গঠনের কাজ। দেশের সামনে আমরা রাষ্ট্র-কাঠামো পুনর্গঠনের ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছি। সেটির মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে করব—তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া আছে। এই দেশের বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও কৃষির জন্য আমরা কী কী করতে চাই, তার কথাও উল্লেখ করা আছে। সমগ্র দেশকে পুনর্গঠন করার জন্য আমরা কী করতে চাই, সেই কথাগুলো বলা আছে।’
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিএনপি চেরায়পারসনের উপদেষ্টা আমন উল্লাহ আমান।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী টি এস আইয়ূব, আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেশবপুর পৌর বিএনপি সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, যশোর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।
৪ ঘণ্টা আগে
জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্ব ছাড়া রাষ্ট্রের সংস্কার সফল হবে না: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘যারা মনে করেন নির্বাচনের আগে সংস্কার হওয়া উচিত, তাদের বুঝতে হবে যে, এই সংস্কারগুলো সফল হতে জনগণের সঙ্গে সত্যিকার অর্থে সংযুক্ত লোকদের প্রয়োজন। তাদের ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব হবে না।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বলেন তিনি।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচন পেছানো হলে তা দেশ ও সরকার উভয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রগুলো আরও গভীর হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ফটো সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দিতে 'আমরা বিএনপি পরিবার' এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে প্রতারণা করেছে বিগত সরকার: তারেক রহমান
তারেক বলেন, রাজনীতিবিদরাই দুই বছর আগে সংস্কার প্রস্তাবগুলো জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলেন, অন্য কেউ নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, 'দেশে যদি সত্যিকারের সংস্কার করতে হয়, তাহলে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, কার্যকরভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাজনীতিবিদদের অবশ্যই পেশাদার, বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের কাছ থেকে পরামর্শ ও মতামত চাইতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেই পরামর্শগুলোর ওপর ভিত্তি করেই আমরা ধীরে ধীরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সংস্কারই কোনোভাবেই পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে না।’
তারেক আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে যাদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা আছে, তারাই তাদের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারে ও জনগণের ইচ্ছার আলোকে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ চায় তাদের মৌলিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করেই বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য রাজনৈতিক স্বাধীনতা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে ভোটাধিকার ও ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।‘
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া রাতারাতি দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, তাদের দলসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক ও সমমনোভাবাপন্ন দলগুলো আড়াই বছর আগে দেশকে ঢেলে সাজানোর জন্য ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছিল।
বিএনপি নেতা ব্যাখ্যা করে বলেন, তারা দেশ পুনর্গঠন এবং এর ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সঠিক দিকনির্দেশনা ও কৌশলের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। ‘এজন্য আমরা ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ৩১ দফা প্রস্তাবে তারা রাষ্ট্রকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি দেশের মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনার রূপরেখাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সংস্কারের নামে বেশি সময়ক্ষেপণ না করার আহ্বান তারেক রহমানের
তারেক রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে প্রায় ৮০ জন ফটোসাংবাদিক আহত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
আহত সাংবাদিকদের সাধ্যমতো পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
৫ দিন আগে
নির্বাচনের নামে প্রতারণা করেছে বিগত সরকার: তারেক রহমান
বিগত সরকার নির্বাচনের নামে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নড়াইলে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত পালিয়ে যাওয়া সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধবংস করে দিয়েছে। অর্থনীতি, স্বাস্থ্য শিক্ষা, নির্বাচন ব্যবস্থা অর্থনীতি সবকিছু ধবংস করছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান। এ সময় তিনি বলেন ‘আগামীতে দেশে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, সহসভাপতি ছিলেন জুলফিকার আলি মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন শাহরিয়ার রিজভী জর্জ।
আরও পড়ুন: সংস্কারের নামে বেশি সময়ক্ষেপণ না করার আহ্বান তারেক রহমানের
এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা সম্মেলনে অংশ নেন।
জেলা বিএনপির আয়োজনে নড়াইল সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলররা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করার কথা রয়েছে। নড়াইল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
৬ দিন আগে
মতপার্থক্য থাকলেও দেশের স্বার্থে সবাই এক: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘স্বৈরাচারের মাথাটা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার কিছু কিছু অবশিষ্ট এখনও দেশে রয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় তারা ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার অপচেষ্টা করছে। যদি দেশকে রক্ষা করতে হয়, দেশের মানুষেকে রক্ষা করতে হয় তাহলে ঐক্যের বিকল্প নেই।’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। তবে যারা দেশের জন্য কাজ করতে চাই, দেশের স্বার্থে দিন শেষে আমরা সবাই এক। আমাদের সামনে প্রচুর কাজ, দেশকে পুনর্গঠনের কাজ। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বেকারত্ব দূরীকরণ, কৃষি ও শিল্পখাতে উন্নয়ন ৩১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতে চাই। তবে লাগমহীন দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি যেন জনগণের মধ্যে নাভিশ্বাসের কারণ না হয়!’
তিনি বলেন, ‘অচল কল-কারখানাগুলো সচল করতে হবে। আমাদের অসংখ্য নদনদী ও খাল ভরাট হয়ে গেছে, এগুলো খনন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সব দলের: তারেক রহমান
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘আগামী দিনে সংসদের মেয়াদ কত হবে, সদস্য সংখ্যা কত হবে—গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে দিন শেষে আমরা এগুলো জনগণের ওপর ছেড়ে দেব। এ নিয়ে মাত্রতিরিক্ত বিতর্ক রাষ্ট্র মেরামতের কাজকে বিঘ্নিত করবে। তবে এর একমাত্র উপায় হলো জাতীয় নির্বাচন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে এর ফয়সালা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না, জবাবদিহিতা ছিল না। অস্ত্রের মুখে সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা ডামি নির্বাচন ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেখেছি। উন্নয়নের নাম করে সামান্য জিনিস দৃশ্যমান করা হলেও এর মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। রাষ্ট্র্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে, দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে।’
বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল উল্লেথ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই দলের কর্মী হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতিকে পথ দেখাতে হবে। শুধু আমাদের দলই নয়, দেশের যেসব রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা এক, তাদের সঙ্গে নিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে—এটাই হোক এই সম্মেলনের প্রতিজ্ঞা ও শপথ।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক আহম্মেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সায়েদুল হক সাইদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মো. শামীম, সালাউদ্দিন শিশির, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও জেলা বিএনপি নেতা মো. কবির আহম্মেদ ভুইয়া প্রমুখ।
২১ দিন আগে
৩১ দফা বাস্তবায়নেই হবে জুলুম-নির্যাতনের প্রতিশোধ: তারেক রহমান
৩১ দফা পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সব জুলুম-নির্যাতনের প্রতিশোধ হবে বলে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ গ্রহণ করা যাবে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সব প্রতিশোধ নেব। আমি মনে করি, ৩১ দফার বাস্তবায়নই বড় প্রতিশোধ। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। এজন্য আমাদের দায়িত্ব অন্য দলগুলোর চেয়েও বেশি।’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ, যশোর ও নড়াইল জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা স্থানীয় জোহান ড্রিম ভ্যালি মিলনায়তনে কর্মশালায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় বহাল
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফা কেবল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। ৩১ দফার মাধ্যমে দেশের মানুষের শুভ পরিবর্তন ঘটাতে চাই, যেটি মানুষ প্রত্যাশা করে। এজন্য জনগণের আস্থা ধরে রাখার জন্য নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তাই আমাদের ভাবনায় শুধুই জনগণ, জনগণ ও জনগণ। শুধু তাই নয়, এই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সব জুলুম-নির্যাতনের প্রতিশোধ নেব।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে ১৬ বছরে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা খুন-গুম, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। দেশ ও দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জনগণের একটি বিশাল অংশ বিশ্বাস করে—আগামীতে দেশের যদি ভালো কিছু হয়, সেটা বিএনপিকে দিয়েই হবে।’
‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ গঠনে নিজেই মাঠঘাটে হেঁটে হেঁটে কাজ করেছেন। আমরা শহিদ জিয়ার সেই নীতি নিয়ে কাজ করতে চাই।’
আগামী নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে হলে বিএনপির সব নেতা-কর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনের পথ মোটেও মসৃণ নয়। পলাতক স্বৈরাচার চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট করে সব সাফ করে দিয়ে গেছে। বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙেচুরে ধ্বংস করে দিয়েছে। আগামীতে যে দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবে তাদের অনেক কষ্ট করতে হবে।’
‘দেশের মানুষ যদি আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, এই কষ্টকে আমরা হাসিমুখে সহজ করে নিতে পারব, যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। বড় দল হিসেবে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে যেমন ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, তেমনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একসঙ্গে সংগ্রাম করা, নির্যাতন, জেল, জুলুম সহ্য করা রাজনৈতিক দলগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
৩১ দফার মাধ্যমে দেশের শুভ পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কোনো জাদু বা ম্যাজিকের মাধ্যমে এই পরিবর্তন হবে না মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘এই পরিবর্তনের জন্য বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে প্রস্তুত হতে হবে, মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। দেশের ভিতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। কারণ, বিএনপি জনগণের দল। নিজেদের জনগণের আস্থায় নিয়ে যেতে হবে। নিজেদের শুধরাতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘হাসিনা সরকারের প্রশ্রয়ে কিছু মানুষ ঋণের নামে ব্যাংকগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমান সরকার কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। বড় চ্যালেঞ্জ জনগণ ও গ্রাহকের আস্থা অর্জন করা। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফেরাতে সরকার কাজ করবে। আমরাও এটা নিয়ে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে প্রতিটি পরিবারে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেব। যে কার্ডের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত পণ্য প্রতিটি পরিবারের মাঝে যেন পৌঁছে দিতে পারি।’
আরও পড়ুন: ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সব দলের: তারেক রহমান
‘আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ নারী। নারীদের সুরক্ষার জন্য দলীয়ভাবে আমরা সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচার ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এর পেছনে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের স্বার্থ জড়িত ছিল। আমরা স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজনে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।
এছাড়া ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নুর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক ড. মোরশেদ হাসান খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, মো. আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফারজানা শারমিন পুতুল, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঝিনাইদহ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ দিন আগে
৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সব দলের: তারেক রহমান
৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সব দলের জন্য বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছে। মানুষের এই আস্থা কেউ নষ্ট করলে, তাকে দলে রাখা সম্ভব হবে না।’
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বাগেরহাট শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘সমাজে ভালো-খারাপ দুই ধরনের মানুষই আছে। যে খারাপ, তার সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখতে চাই না।’
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হলে, দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে—রাজনৈতিক অধিকার ও সব শ্রেণির মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার। আর এসব অধিকার বাস্তবায়নে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করছে বিএনপি। ফলে জনগণের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।’
২৫ দিন আগে
তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় বহাল
চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর পৃথক দুটি থানায় করা চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমান-মামুনের ৭ বছরের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত
২০০৭ সালে গুলশান থানায় তিনটি এবং ধানমন্ডি থানার একটি মামলাসহ ওই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের করা পৃথক আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ওই রায় দেওয়া হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত ডিসেম্বরে পৃথক লিভ টু আপিল করে। পৃথক লিভ টু আপিল গত ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। আদালত লিভ টু আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চারটি লিভ টু আপিল করা হয়। লিভ টু আপিলগুলো শুনানি করে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।’
আইনজীবীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ তারেকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল চাঁদাবাজির অভিযোগে একই বছরের ৪ মে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।
তারেক রহমান ও তার একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকে আসামি করে ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভূঁইয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দ্রুত বিচার আইনে গুলশান থানায় ২০০৭ সালের ৮ মার্চ একটি মামলা করেন। ঠিকাদার মীর জাহির হোসেন ধানমন্ডি থানায় ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি করেন। এই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন তারেক রহমান।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (চূড়ান্ড) ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী থেকে ইউপি সদস্য পর্যন্ত সবার জবাবদিহিতা চান তারেক
৪৮ দিন আগে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লন্ডন থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদের (জনগণকে) ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত মহান বিজয়কে সত্যিকার অর্থে ফলপ্রসূ এবং অর্থবহ করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির দিকে সবাইকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন যাচ্ছেন ফখরুল
তারেক রহমানের কাছ থেকে তিনি কী বার্তা নিয়ে এসেছেন-সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
১২ দিনের সফর শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন ফখরুল। স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে দুপুর পৌনে ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
ফখরুল বলেন, লন্ডনে অবস্থানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে।
ফখরুল বলেন, তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং তাদের আয়োজিত মিটিংয়ে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'ওখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমার লন্ডন সফর ফলপ্রসূ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: ফখরুল
৭২ দিন আগে
আগামীতে বাংলাদেশে জবাবদিহিতার সরকার চান তারেক রহমান
বাংলাদেশে আগামী দিনে একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার শুরুর প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা দেখেছি কীভাবে নিশি রাতে ভোট হয়েছে, কীভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যেখানে ইউপি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে জনগণের কাছে। এছাড়া আজও পরিবারে জবাবদিহিতা আছে বলে পরিবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যায়।’
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কুমিল্লা বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারেরা বাংলাদেশের অনেক কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তারা এই দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা আশাবাদী এখনও সম্ভাবনা আছে। সেই সম্ভাবনাকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয়- তাই মানুষ বিএনপির দিকেই তাকিয়ে আছে।’
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের
যেহেতু আপনারা বলছেন দেশের মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখে, সেহেতু বিএনপি হিসেবে আমরা মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব বলে জানান তারেক।
কর্মশালা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। কুমিল্লা বিভাগীয় এই কর্মশালায় অংশ নেন শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনসহ কুমিল্লা জেলা বিএনপি, মহানগর, পৌরসভার শীর্ষ নেতারা। বিএনপি কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার বানু, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুর সাত্তার পাটোয়ারী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবা হাবিব।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন হবে যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে কঠিন: তারেক রহমান
৭৪ দিন আগে
তারেক রহমান-মামুনের ৭ বছরের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত
অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন মামুনকে দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে এ মামলায় তাদেরকে দেওয়া সাত বছরের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার ইমেজকে ক্ষুণ্ন করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাত বছরের সাজা দিয়েছিলেন। আজকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আমাদের লিভ দিয়েছেন (আপিলের জন্য অনুমতি)। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক ও আমাদেরকে আপিলের সার সংক্ষেপ দিতে বলেছেন।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সাত বছরের দণ্ড স্থগিত করেছেন। এই মামলায় দুইজন আসামি। দুইজনের ক্ষেত্রেই সাজা স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী থেকে ইউপি সদস্য পর্যন্ত সবার জবাবদিহিতা চান তারেক
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে অভিযোগ পত্রের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়।
এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন। দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন। আজ এই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের
৭৪ দিন আগে