তারেক রহমান
বিদেশে আসিফ নজরুলকে অসম্মান দেশের মর্যাদার ওপর আঘাত: তারেক রহমান
বিদেশের মাটিতে আসিফ নজরুলকে অসম্মানসূচক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্টদের এই ধৃষ্টতামূলক কাজ বাংলাদেশ ও জনগণের মর্যাদার ওপর মারাত্মক আঘাত।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই নিন্দা জানান।
পোস্টে তিনি লেখেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফ্র্যান্সে যাওয়ার পথে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা এয়ারপোর্টের সামনে অন্তবর্তিকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কতিপয় আওয়ামী দুস্কৃতিকারীর উদ্ধত আচরণ করে। বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে এহেন শিষ্টাচার বর্হিভূত আচরণ শুধু অনভিপ্রেতই নয়, বরং দেশ ও জনগণের আত্মমর্যাদার ওপর প্রচণ্ড আঘাত।
আরও পড়ুন: জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের হিংস্র রুপের প্রকাশ এখনো দেশে-বিদেশে অনেক স্থানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রবাসে আওয়ামী নেতাকর্মীরাও শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের অভয়ক ধারণ করে সুযোগ পেলেই গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের উশৃঙ্খল আচরণে আবারও প্রমাণিত হলো এরা বিশৃঙ্খলা, হানাহানি, বিভাজন, সংকীর্ণতা, অনৈক্য, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির হরিলুট এবং বিপুল অঙ্কের টাকা পাচারসহ অসৎ অনাচারের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার হত্যা ও গুমের রাজনীতির বিশ্বাস থেকে সরে আসেনি।
তারেক আরও বলেন, এরা গণতন্ত্রে স্বীকৃত মানবাধিকার, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও জনগণের নাগরিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। গণতন্ত্রের সঙ্গে শত্রুতা আওয়ামী লীগের চিরদিনের বৈশিষ্ট্য। রক্তাক্ত পন্থায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে পরাজিত করতে না পেরে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় শেখ হাসিনার ক্রোধ যেমন থামছে না, তেমনি দেশে-বিদেশে তার সমর্থকরাও প্রচণ্ড হাতাশা নিয়ে সুযোগ পেলেই গণতন্ত্রকামী মানুষদের হত্যা করছে বা শারিরীকভাবে আঘাতসহ নানাভাবে হয়রানির কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
সুইজারল্যান্ড জেনেভা এয়ারপোর্টের সামনে ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে অশোভন আচরণ শেখ হাসিনার তৈরি করা সেই দুঃশাসনেরই অভিব্যক্তি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তারেক বলেন, পতিত শেখ হাসিনা দেশের রাজনীতিকে জটিল করে তুলতে বাইরে থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লুটপাটের সুবিধাভোগীরা বিদেশে গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। গণতন্ত্রের স্বপক্ষের ব্যক্তিবর্গকে হেনস্থা করাসহ বাংলাদেশের ভেতরেও অন্তর্ঘাত সৃষ্টির গভীর চক্রান্তজাল বুনে যাচ্ছে। লুটপাটের স্বর্গরাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য উদগ্রীব ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশে-বিদেশে নানা এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন অপরাধপ্রবণ রাজনৈতিক দল। ক্ষমতা হারানোর মনোবেদনায় এরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না বলেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেছে নেয়।
তারেক বলেন, আত্মপ্রত্যয়হীন, যুক্তিবিমুখ, মানবতাবিরোধী আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সন্ত্রাসী দোসরদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে। এদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশে গণতন্ত্রকামী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন ও বিচার বিভাগকে অবহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী দৈত্যকে জনগণই বোতল বন্দি করেছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে এই সমস্ত আওয়ামী কুচক্রীদের বিচারের আওতার মধ্যে আনতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের ওপর ফ্যাসিস্ট দোসরদের অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
১ সপ্তাহ আগে
জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নিন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
অপশক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নয়াপল্টনে এক বিশাল সমাবেশে তারেক রহমান এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'আমি স্বাধীনতাকামী মানুষকে একটি বিষয়ে সতর্ক করতে চাই, আমি নিজেও সজাগ থাকতে চাই যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি ‘
বিএনপির এই নেতা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে দুর্বল করতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগীরা এখনও দেশের প্রশাসনে, বিভিন্ন পদে এবং বিদেশেও সক্রিয় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: অতি আত্মবিশ্বাস পরিহার করে বিএনপিকে জনগণের আস্থা অর্জনের আহ্বান তারেকের
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার দলের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই প্রশাসনকে কখনও ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
তারেক বলেন, ‘তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি নিজেদের সতর্ক রাখতে চায়, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা এখন জনগণের দাবি।'
তিনি একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটানোয় দেশের জনগণ ও ছাত্রদের অভিনন্দন জানান।
তারেক রহমান বলেন, '১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের বন্ধু ও শত্রুর মধ্যে পার্থক্য করার দিন, আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি যতদিন ঐক্যবদ্ধ থাকবে ততদিন দেশের স্বাধীনতাকে কেউ খর্ব করতে পারবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের এই সমাবেশের লক্ষ্য কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলা নয়, বরং দেশের স্বার্থ রক্ষা, ভোট ও জনগণের অন্যান্য অধিকার রক্ষার মিছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজপথে লাখো মানুষের এই মিছিল অগণিত ছাত্র-নাগরিক ও শহীদ এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আহত মানুষের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ের মিছিল।’
তারেক জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার পর্যন্ত যারা প্রতিনিধি হতে চায় তারা যতদিন জনগণের ভোটের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না, ততদিন জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবে না।’
তারেক বলেন, যদি তাদের(জনগণের) সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও নিম্ন আয়ের মানুষকে বাজার সিন্ডিকেটের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, 'আসুন আমরা নিশ্চিত করি যে এই বিশাল মিছিল বৃথা যাবে না। এই প্রত্যাশা নিয়েই আমি এই সমাবেশের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, অভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো সর্বত্র লুকিয়ে আছে, নানাভাবে বাংলাদেশের ক্ষতি করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য জোরদার করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে। ‘কোনো স্বৈরশাসককে আর জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে দেওয়া হবে না। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং নিশ্চিত করি যে, বাংলাদেশে শুধু গণতন্ত্রই বিরাজ করবে।’
পরে 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে দলটি।
বিকাল ৩টা ৩২ মিনিটে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এর আগে দুপুর থেকেই রঙিন টুপি পরে নয়াপল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বড় ধরনের শোডাউনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেন।
দলের শীর্ষ নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা নির্বাচন ও তারেক রহমানসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন।
কাকরাইল মসজিদ ও ফকিরাপুল ও আশপাশের এলাকা বিএনপির সমর্থকদের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ থাকায় ওই এলাকায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
আরও পড়ুন: জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান
১ সপ্তাহ আগে
জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি এমন রাষ্ট্রীয় সংস্কার চায়, যা দেশের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
লন্ডন থেকে এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জাতি এখনও এক সংকটময় সময় পার করছে, কারণ ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারের অশুভ প্রেতাত্মারা এখনও দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
তারেক বলেন, 'আমরা অনেকেই এখন সংস্কারের কথা শুনি, অনেকে বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন এবং এই দেশকে বদলে দিতে বিএনপিই প্রথম সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৭ সালে বিএনপির ভিশন-২০৩০ সনদ ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
তারেক রহমান বলেন, পরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেওয়া গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ৩১ দফা রূপরেখা দিয়ে বিএনপি ২০২৩ সালেও সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘এসব সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য কী? এটা কি শুধুই সংবিধানের কয়েক লাইন পরিবর্তনের জন্য? অবশ্যই, দেশ পরিচালনায় পরিবর্তিত সময় এবং বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করি, দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা এবং দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সংস্কার হওয়া উচিত।’
একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিএনপির এই নেতা মনে করেন, সংবিধানের শুধু কয়েকটি লাইন পরিবর্তন করাই সংস্কার নয়।
বিএনপির প্রয়াত মন্ত্রী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যশোর টাউন হল মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রস্তাবে সুস্পষ্টভাবে দেশের গুণগত পরিবর্তন নিশ্চিত করতে এবং জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমের রূপরেখা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি এক বাক্যে সংস্কারের কথা বলছি, যা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে, বেকারদের কর্মসংস্থান আনবে, নারীর স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, আমাদের সন্তানদের উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করবে এবং জনগণকে ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।’
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও দেশ এখনো সংকটময় সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও তার প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে সমাজে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায়। সেখান থেকে এখনো নানা ষড়যন্ত্রের বীজ বপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি এটাকে ক্রান্তিলিক সময় বলছি।’
বিশেষ করে জাতির এই দুঃসময়ে তরিকুল ইসলামের মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অনুপস্থিতির অনুভূতিও ব্যক্ত করেন তারেক।
তারেক বলেন, ‘তরিকুল ইসলামের মতো এখন যদি কেউ বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি আমাকে মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতে পারতেন, যা দেশ ও দল উভয়ের কল্যাণে অবদান রাখত।’
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
২ সপ্তাহ আগে
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম বাতিল করে তাদেরকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
খালাসপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন— একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও সিনিয়র প্রতিবেদক কনক সারওয়ার।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আব্দুস সালামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, আজকে শাহদীন মালিক সাহেব শুনানি করেছেন। আমরাও সেখানে ছিলাম। এই মামলার শুরুইটাই বেআইনি। তাই আব্দুস সালাম, তারেক রহমানসহ সবার মামলা বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করে। পরদিন তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের মালিক আব্দুস সালামের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: অন্য ইস্যু নয় ভোটের দিকে নজর দিন: সরকারকে ফখরুল
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দেখানো, প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতি ঘৃণা তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এমদাদুল হক। সেখানে তারেক ও সালামের সঙ্গে একুশে টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান এবং জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ারের নাম যোগ করা হয়।
পরে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আব্দুস সালাম হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ২০১৭ সালে রুল ও স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
৩ সপ্তাহ আগে
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ৪ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
২০০৭ সালে রাজধানীর কাফরুল থানায় এসব মামলা করা হয়েছিল।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক-ফখরুলসহ ৫ জন
আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে চাঁদাবাজি করেছেন- এমন অভিযোগ এনে দুই জন ব্যবসায়ী ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় কাফরুল থানায় চারটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। এসব মামলা জরুরি ক্ষমতা বিধিমালার আওতায় আনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৮ সালেই মামলাগুলোর কার্যকারিতা স্থগিত করে এসব মামলার কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট মামলাগুলো বাতিল করেছেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন আরও বলেন, এ মামলায় খায়রুল কবির খোকনও আসামি ছিলেন। এখন মামলাগুলো আর কারও বিরুদ্ধে চলবে না।
জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, আয়কর ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫টি মামলা করা হয়। পরে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কাছে কার্যকর পদক্ষেপ চান তারেক
৪ সপ্তাহ আগে
গণতন্ত্র নির্বাচনসহ অনেক কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র শুধু নির্বাচন নয়, এর মধ্যে ব্যক্তির স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টিও জড়িত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নাজির উদ্দিন আহমেদ জিহাদের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী (শহীদ জিহাদ দিবস) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তারেক বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার অপরিহার্য শর্ত। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, এর অর্থ মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে শহীদ জিহাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারেক।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী জিহাদকে ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন আহমেদ জিহাদ একটি অবিস্মরণীয় নাম। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্যই এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়েছিল।
তিনি বলেন, শহীদ জিহাদ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে সাহসিকতার সঙ্গে অগ্রণী ভূমিকা রাখে গিয়ে পুলিশ তার বুকে গুলি চালিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'এই নির্ভীক ছাত্রনেতা শাহাদাত বরণ করেছিলেন এবং তার আত্মত্যাগ সে বছর গণঅভ্যুত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল। যার ফলে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটে।’
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, আর জিহাদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দৃঢ় প্রত্যয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারেক বলেন, 'আমরা যদি তার স্বপ্ন পূরণ করতে না পারি তাহলে তার (জিহাদের) আত্মা কষ্ট পাবে।’
বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে 'শহীদ জিহাদ দিবস' পালন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে দৈনিক বাংলা ক্রসিংয়ে জিহাদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আমানুল্লাহ আমানের নেতৃত্বে নব্বইয়ের দশকের একদল ছাত্রনেতাও তার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জিহাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে জিহাদ স্মৃতি পরিষদ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: তারেক রাহমানের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ করতে সমাবেশ ধামরাই উপজেলা বিএনপি-অঙ্গদলের
১ মাস আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, একনায়কতামুক্ত বাংলাদেশে হঠাৎ করে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিকল্প ছিল না। সঙ্গত কারণে, আমরা সেই সময় তাদের সমর্থন করেছি এবং এখনও তাদের সমর্থন করি। তাদের প্রতি আমাদের আস্থা যাতে অটুট থাকে তা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ তাদের নিতে হবে।’
এক গণসমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করতে হবে এবং কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য সহায়তার দেবে সরকার: তারেক রহমান
তিনি বলেন, ‘তাদের পক্ষে সমস্ত পরিবর্তন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নাও হতে পারে, তবে তারা যে দায়িত্ব বহন করতে পারবেন না, তা তাদের পক্ষে কাঁধে নেওয়াও অযৌক্তিক হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, বিবৃতি ও প্রতিক্রিয়ায় ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, সরকার চালানো একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও জটিল কাজ।
এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, এমনকি একটি ছোট বিচ্যুতিও একটি বড় প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে। অন্যদিকে অসতর্কতা প্রয়োজনীয় বিশ্বাসকে দুর্বল করতে পারে এবং জাতির শক্তির মূলে থাকা ঐক্যকে ভেঙে দিতে পারে।
তারেক বলেন, ‘এর যে কোনো একটি ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। মনে রাখা দরকার, দেড় দশক ধরে গড়ে ওঠা একনায়কতন্ত্রের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য অশুভ চেতনা এত সহজে এর বিষাক্ত নিঃশ্বাস থেকে আমাদের মুক্তি দেবে না।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ রাকিব ও সাবিরের বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির উদ্যোগে পায়রা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, তারা প্রায়ই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অসহায়ত্ব ও বিশৃঙ্খলা দেখতে পাচ্ছেন; এতে 'স্বৈরাচারী হাসিনা'র রেখে যাওয়া পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসনের চলমান ষড়যন্ত্র প্রকাশ পাচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে স্বৈরাচারীর সহযোগীদের মাধ্যমে সৃষ্ট সীমাবদ্ধতার ফাঁদে আটকে যাবে সরকার। একের পর এক ছোট ছোট সংকটগুলো বড় বিপর্যয়ে পরিণত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘তখন কার্যকর সমাধানের পথ অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে যাবে।’
তারেক বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক আস্থা ও সম্পর্ক, রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা, ব্যবসা সহজীকরণ, জননিরাপত্তা, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা এবং তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকদের দৈনন্দিন সেবা নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান জাতির জন্য আরেকটি স্বাধীনতা ও বিজয়ের বার্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা যদি তড়িঘড়ি করে এটাকে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত করি, তাহলে আমরা আবারও ইতিহাস বিকৃতির ফাঁদে আটকে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ব।
স্বৈরাচারবিরোধী মহাযুদ্ধে রাজনৈতিক দল, ছাত্র, গৃহবধূ ও শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষের অবদানের প্রতি সম্মান জানানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি গত সতেরো বছরে হত্যা, গুম, বিচারিক হয়রানি এবং অন্যান্য নিপীড়নের শিকার হওয়া লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক কর্মীর আত্মত্যাগের উপরও জোর দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি তা করতে ব্যর্থ হই, ইতিহাস আমাদের কাউকে ক্ষমা করবে না।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদল নেতার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
১ মাস আগে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য সহায়তার দেবে সরকার: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি যদি ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে ফ্যামিলি কার্ড চালু করবে। যার মাধ্যমে জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, 'অতীতের মতো ভবিষ্যতেও যদি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের জন্য কাজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়, তাহলে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি কাজ করতে চাই। আমার পরিকল্পনা হলো...। আমরা বাংলাদেশে পরিবারের সংখ্যা গণনা করব। আমরা রাষ্ট্র থেকে প্রতিটি পরিবারকে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেব।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্র-গণ গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের বেশ কয়েকজন পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
তারেক রহমান বলেন, একটি পরিবারে মা বা গৃহিণীর নামের বিপরীতে পারিবারিক কার্ড দেওয়া হবে এবং এই কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে গ্রামাঞ্চলে শুরু হবে এবং পরে ধীরে ধীরে শহরাঞ্চলে প্রসারিত হবে। এই কার্ডের আওতায় প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, এই সহায়তা প্রদান করা হবে যাতে প্রতিটি পরিবার স্বস্তি পায় এবং তাদের পরিবারের সঞ্চয় কিছুটা হলেও বাড়াতে পারে। এভাবে কয়েক বছর চলতে পারলে গ্রামীণ পরিবারের মানুষ সচ্ছল হবে বলে আমার বিশ্বাস।
তারেক রহমান বলেন, মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একই সঙ্গে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনই বিএনপির মূল লক্ষ্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে চাই।’
তিনি গণআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশকে গড়ে তোলার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত অর্জনকে সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক ক্ষমতাচ্যুত হলেও স্বৈরশাসকের কিছু প্রেতাত্মা এখনো দেশে রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের পতন হলেও সব বিপদ এখনো কাটেনি। সামনে এখনও বিপদ আছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তারেক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন বর্তমান সরকার জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নেবে, কারণ জনগণ গত ১৭ বছর ধরে এসবের জন্য সংগ্রাম করে আসছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজের সময় যাতে স্বৈরশাসক নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের প্রেতাত্মারা বসে থাকে না, তারা তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়। প্রতিটি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল এবং গণতন্ত্রপন্থী প্রতিটি মানুষকে এখন সতর্ক থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
দেশ ও জাতি গঠনে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই কেবল এ ধরনের কাজ করতে সক্ষম। কারণ নির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকবে।’
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিল। তবে বিএনপি বিভক্তি চায় না বরং জাতির মধ্যে ঐক্য চায়।
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যদি শহীদ ও নিহতদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে হয়, তাহলে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে কাজ করবে।
তারেক ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের বাইরে তার কোনো ঠিকানা (বাড়ি) নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এর আগে বলেছিলেন, দেশের বাইরে তার কোনো ঠিকানা নেই।
তারেক বলেন, 'খালেদা জিয়ার ছেলে হিসেবে আজ আমি আপনাদের বলতে চাই, বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। বাংলাদেশ আমার প্রথম ঠিকানা এবং বাংলাদেশই আমার শেষ ঠিকানা। তাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম।
আরও পড়ুন: হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
১ মাস আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সংস্কারের পথ ধরে বাংলাদেশ নির্বাচনি রোডম্যাপে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কিছু কর্মকাণ্ড সবার কাছে সফলতা হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারে। কিন্তু আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রপন্থী মানুষের ব্যর্থতা। তাই এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-আন্দোলনকারীদের তারেক রহমানের অভিনন্দন
বিএনপির এই নেতা বলেন, তবে বর্তমান সরকার যাতে নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, সে ব্যাপারে তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের সাবেক পিএস অপু জামিনে মুক্ত
বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, মাফিয়া চক্রের প্রধান হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের সুবিধাভোগী ও অশুভ শক্তি প্রশাসনের ভেতর থেকে বা রাজনীতির ছদ্মবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।
তারেক বলেন, দেশ-বিদেশের নানা উসকানিতে জনগণ সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হাজার হাজার শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং লাখো মানুষের গণঅভ্যুত্থানের ফসল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার দলের নেতাকর্মীদের তাদের কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদল নেতার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
তিনি বলেন, 'আমি বলতে চাই, দেশ সংস্কারের পথ ধরে নির্বাচনি রোডম্যাপে থাকবে। তাই আসুন আমরা সবাই কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করি। আমাদের উচিত জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং আমাদের সঙ্গে রাখা।
২ মাস আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদল নেতার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত বনানী থানা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা মোবারক হোসেনের খোঁজ নিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে কুর্মিটোলা হাসপাতালে আহত এই শিক্ষার্থীর খোঁজ-খবর নিতে যান ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ একটি প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের সাবেক পিএস অপু জামিনে মুক্ত
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্মসম্পাদক মিনার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক রুবেল পারভেজ এবং মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা আসাদুল ইসলাম আসাদ।
গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িল বিশ্বরোডে সামনে থেকে করা গুলিতে আহত হন ছাত্রদল নেতা মোবারক হোসেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-আন্দোলনকারীদের তারেক রহমানের অভিনন্দন
২ মাস আগে