প্রায় ১১ বছর আগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১০ মার্চ) বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আফজাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তারেক রহমানবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর, ঘৃণ্য এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
পাবলিক প্রসিকিউটর ও যশোর বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, প্রথমে মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে গেলেও পরে তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেকের
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে আইন অনুসারে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা কেবল তখনই দায়ের করা যেতে পারে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধের সময় রাষ্ট্রে কোনো সরকারি পদে থাকেন। যেহেতু শেখ মুজিবুর রহমান তখন সরকারি কোনো পদে ছিলেন না, সেহেতু মামলাটি অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
এর আগে মামলাটি খারিজ চেয়ে করা একটি আবেদন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু রিভিশন শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালত তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করে মামলাটি খারিজ করে দেন।