মুরগি
বগুড়ায় মুরগির খামারিকে ড্রেনের পানিতে চুবিয়ে হত্যা
বগুড়ায় ইউনুছ আলী নামে এক ব্যক্তিকে মারধরের পর ড্রেনে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২২ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের বালা কৈগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ইউনুস আলী বালা কৈগাড়ী গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দিনের ছেলে। তিনি একজন মুরগির খামারি।
আরও পড়ুন: বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকান মালিককে হত্যার অভিযোগ
নিহতের ছেলে গোলাম রসুল বলেন, আমার মানসিক বিকারগ্রস্ত বড় ভাই শাহীনের সঙ্গে প্রতিবেশী ওহাব আলীর স্ত্রীর রাস্তায় ধাক্কা লাগে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওহাব আলীসহ আরও কয়েকজন বড় ভাই শাহীনকে মারধর করে। পরে সন্ধ্যার দিকে আমি ও আমার বাবা ইউনুস আলী এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে তারা প্রথমে আমাকে মারধর করে। এ সময় আমার বাবা এগিয়ে গেলে তাকে মারধর করে এবং ড্রেনের কাদার ভেতরে মাথা চুবিয়ে হত্যা করে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান বলেন, ইউনুস আলীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলার নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রতিবেশী ওহাব আলীর সঙ্গে তার ছেলে শাহীনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ইউনুছ আলীকে মারধর করে ড্রেনে চুবিয়ে মারা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ওহাব আলীর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ফলে তাদের আটক করা হয়নি। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: পাবনায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটের জকিগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
৪ মাস আগে
চাহিদা কমলেও মাংস, মুরগি, কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম এখনো চড়া
ঈদের ছুটি শেষে নগরবাসী এখনো ঢাকায় না ফেরেনি। সেই কারণে চাহিদা কম থাকলেও কমেনি নিত্যপণ্যের দাম। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি, ডিম, কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম চড়া।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় রাজধানীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সবজির দাম বেড়েছে।
এছাড়া ঈদের ছুটিতে বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো সক্রিয় না থাকায় একদল ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট ঈদের পর মাংস, ডিম ও সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: উত্তরার কাঁচাবাজারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
শুক্রবার কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রমিজ উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, কারওয়ান বাজারে অল্প সংখ্যক সবজির ট্রাক এসেছে, যেখানে সাধারণত শাকসবজি ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ট্রাক এখানে আসে।
মগবাজার এলাকার সবজির খুচরা বিক্রেতা আলী হোসেন জানান, শুক্রবার কারওয়ান বাজার থেকে তিনি প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) হিসাবে শসা ৬০০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১২০০ টাকায় কিনেছেন। তাই তাকে বেশি দামে এসব জিনিস বিক্রি করতে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মালিবাগ, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেটগুলোতে ক্রেতা কম। কিন্তু সবজি, মাংস, ডিম ও মুরগির মাংস বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীতে ফার্মের ডিমের দাম প্রতি ডজন (১২ পিস) ১৫ টাকা বেড়ে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম আগের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ২২৫ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগি আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ৩৪৫ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০ থেকে ৭৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের সময় সরবরাহ কম ও অধিক বিক্রি হওয়ায় মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
অন্যদিকে বাজারে গরুর মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এছাড়া খাসির মাংস ১০৫০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে ও ছাগলের মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
৪ মাস আগে
চট্টগ্রামে ১৭০ টাকার ব্রয়লার মুরগি ২৭০ টাকা
রমাজানের শেষ দিকে ঈদের আগ মুহূর্তে চট্টগ্রামে হঠাৎ করে অস্বাভবিক ভাবে বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তাই মুরগি কিনতে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমাজান মাস জুড়ে ১৭০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হওয়া মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।
চট্টগ্রাম চকবাজার এলাকায় মুরগি ক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, মুরগির দাম নিয়ে এমন ‘লাফালাফি-বাড়াবাড়ি’ চলছে বছরখানেক ধরে। নানা উৎসব-পার্বণ ঘিরে তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত। এবার পবিত্র শবে কদর, ঈদুল ফিতর ঘিরে আরও অস্থির বাজার।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঈদের আগে বেড়েছে মুরগির দাম
নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, দামের বাড়াবাড়িতে আমাদের কিছুই করার নেই। বাড়তি চাহিদা থাকায় সাপ্লায়াররা বাড়তি দাম নিচ্ছেন, আমরা সে হিসেবে কেজি প্রতি বিক্রি করছি। চাহিদা বাড়লেই সাপ্লায়াররা দাম বাড়ায়, আমাদেরও বাড়াতে হয়।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, একদিকে বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। অন্যদিকে মুরগির খাবার ও ওষুধের দাম অনেক। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচের প্রভাব পড়েছে বাজারে। আর এসবে ভুগছেন ক্রেতারাই।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই কেজির বেশি ওজনের ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকায়, দেড় কেজি ওজনের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০৫ থেকে ২১০ টাকায়।
এছাড়া লেয়ার ও সোনালি জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ঈদকে সামনে রেখে মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কাজীর দেউড়ি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ সাত্তার।
তিনি বলেন, ঈদকে ঘিরে মুরগির চাহিদা বেড়ে যাবে। তাই অর্ডার নিতে চাইলেও সাপ্লাইররা চাহিদা মোতাবেক দিতে পারবে না বলছে। যার কারণে দাম বাড়তি থাকার আশংকা আছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারেই কেজিপ্রতি ৪০ থকে ৬০ টাকা বেড়েছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের ক্রেতা হাজী আব্দুল হামিদ বলেন, প্রতি বছরই শবে কদর এলে মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয় দোকানিরা। গত এক মাস ধরে মুরগির দাম ২০০ টাকার নিচে নামছেই না। ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ঈদে আরও বাড়বে। তাই একটু আগেভাগে কিনে রাখছি।
রমজানজুড়ে গরিব-মধ্যবিত্তদের আমিষের অবলম্বন ছিল মুরগির মাংস।
তবে শবে কদর ও ঈদকে ঘিরে সপ্তাহ ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় তা এখন অনেক পরিবারের জন্য ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, এ বছর রমজান মাস এবং ঈদ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকারের কোনো তৎপরতা ছিল না বাজারগুলোতে। ফলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ইচ্ছামতো জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চলছে।
১৭০/১৮০ টাকার মুরগি হঠাৎ করে ২৭০ টাকায় বিক্রি করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে বাচ্চার দাম বা খাদের দাম বাড়েনি। তাহলে কোন যুক্তিতে মুরগির দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে?
তিনি বলেন, প্রশাসনের সঠিক তদারকির অভাবে সাধারণ ক্রেতাদের এই ভোগান্তি এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা জনগণের পকেট কাটছে।
আরও পড়ুন: মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
মুরগির ঘরের মাটি খুঁড়তেই মিলল স্কুল ছাত্রের লাশ
৬ মাস আগে
মুরগির ঘরের মাটি খুঁড়তেই মিলল স্কুল ছাত্রের লাশ
বগুড়ায় নিখোঁজ নাসিরুল ইসলাম নাসিম নামে এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাতে গাবতলী উপজেলার ঈশ্বরপুর পূর্বপাড়ায় বসতবাড়ির মুরগি রাখার ঘরে মাটিতে খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশু নিহত
নিহত নাসিম (১৪) সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ওয়াজেল মণ্ডলের ছেলে।
সে সারিয়কান্দির একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রফিকুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক ও আব্দুল জলিল মন্ডলে ছেলে ফিরোজ ইসলাম।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ জানান, নাসিম গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শবে বরাতের রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। থানায় জিডি হলে তার পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তের এক পর্যায়ে নাসিমের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় রফিকুলের ছেলে এনামুলকে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রফিকুলের বাড়ির মুরগি রাখার ঘরের মাটির নিচে পুঁতে রাখা নাসিমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এদিকে এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল, রশি, সিমেন্টের বস্তা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে ইজিবাইকের ধাক্কায় সবজি বিক্রেতার মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
৭ মাস আগে
নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী, কেন খাবেন
বাংলাদেশের মোট প্রাণিজ প্রোটিনের প্রায় ৩৭ শতাংশ পূরণ করে মুরগির মাংস। এক সময় কেবল বাড়ির উঠানে সীমাবদ্ধ থাকলেও এই গৃহপালিত পাখি পালন এখন মাংস ও ডিম উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সার্বিক উৎপাদন পদ্ধতিতেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। সম্প্রতি শুরু হয়েছে নিরাপদ উপায়ে ব্রয়লার মুরগি পালন কার্যক্রম। চলুন জেনে নিই স্বাস্থ্য রক্ষায় ও পুষ্টি লাভে নিরাপদ ব্রয়লারের ভূমিকা কতটুকু।
নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী
অ্যান্টিবায়োটিক-মুক্ত ব্রয়লার মাংস উৎপাদন বিশ্বব্যাপী ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর সেই সূত্রেই বাংলাদেশেও নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি নিয়ে গবেষণা চলছে।
পশু-পাখির স্বাস্থ্য রক্ষা, ভাল পরিবেশ এবং পণ্যের গুণগত মানকে কেন্দ্র করে নিরাপদ উপায়ে ব্রয়লার মুরগি পালন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। এই ব্যবস্থায় পশু-পাখির সঠিক বৃদ্ধি এবং কৃষকদের লাভের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এই পদ্ধতিতে পশু-পাখির খাবারগুলোতে ভেষজ সম্পূরক মানসহ জৈব-সুরক্ষিত ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়। শুধু তাই নয়, পুরো পালন প্রক্রিয়াকে অ্যান্টিবায়োটিক ও বৃদ্ধি হরমোনসহ সব ধরনের বিপজ্জনক উপাদানমুক্ত রাখা হয়। এই পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতিতে পালন করা মুরগিগুলোকেই মূলত নিরাপদ ব্রয়লার হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
নিরাপদ ব্রয়লার পোল্ট্রিতে সাম্প্রতিক সফলতা
বিকল্প ব্রয়লার উৎপাদনে সম্প্রতি যুগান্তকারী সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম এবং তার সহযোগী মো. আবু রায়হান পারভেজ। তারা তাদের গবেষণাগারে উদ্ভিদের নির্যাস থেকে কোনো অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া ছাড়াই ব্রয়লার উৎপাদনে সক্ষম হন।
ব্রয়লারে তারা মূলত বিভিন্ন ধরনের ভেষজ উদ্ভিদের নির্যাস ব্যবহার করেছিলেন। তারা খেয়াল করেন, এগুলো অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও ভালো কাজ দিচ্ছে। উৎপাদিত মুরগিগুলো তুলনামূলকভাবে উচ্চ ওজন সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং এই ওজন বৃদ্ধিটাও বেশ দ্রুত হচ্ছে। এমনকি এগুলোর মধ্যে রোগাক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুর হার ছিল অনেক কম।
দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চলছে এই গবেষণা কার্যক্রম। এটি বৃহৎ পরিসরে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে উন্নত পোল্ট্রি শিল্পের অভিমুখে এক বিশাল পদক্ষেপ হবে।
আরও পড়ুন: কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: বিকল্প কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার
১০ মাস আগে
ব্রয়লার মুরগির মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু না: কৃষিমন্ত্রী
ব্রয়লার মুরগির মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পিআইডির কনফারেন্স রুমে ব্রয়লার মুরগির মাংসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল ও অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে কিনা, তা নিয়ে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন
গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন,ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া নিরাপদ কিনা,এ নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক প্রচারণায় দেখা যায় যে ব্রয়লার মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক,হেভি মেটাল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে; যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ফলে সাধারণ জনগণের মাঝে অনেক সময় ব্রয়লার মাংস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্রয়লার মাংস খাওয়া কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘ফলে ব্রয়লার শিল্পের ওপর একটি বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি তার নজির আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ২০২০ সালে শুরু হওয়া কোভিড- ১৯ প্রাদুর্ভাবে। রোগটির প্রকোপের প্রথম দিকে পুষ্টিসমৃদ্ধ ব্রয়লার মাংস খাওয়া অনেক কমে যায়।’
তিনি বলেন, দেশে ব্রয়লার মুরগি খুবই সম্ভাবনাময় একটি খাত। চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারলে দেশে যে পরিমাণ খামার ও অবকাঠামো রয়েছে,তার পুরোপুরি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন আরও বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেজন্য,মানুষের কাছে মুরগির মাংস জনপ্রিয় করতে হবে।
তার মতে, এটি করতে পারলে একদিকে আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সুস্থ, সবল ও মেধাবী জাতি গঠন সহজতর হবে।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির বাজার দ্রুত বিকশিত হবে, মুরগির মাংস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়া সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে, আমিষের চাহিদা পূরণে ও কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়ার বিষয়ে প্রচারণা ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংসে,হাড়ে ও কম্পোজিটে মূলত দুইটি অ্যান্টিবায়োটিক (অক্সিটেট্রাসিাইক্লিন ও ডক্সিসাইক্লিন) এবং তিনটি হেভি মেটালের (আর্সেনিক,ক্রোমিয়াম ও লেড) সামান্য উপস্থিতি রয়েছে; যা অস্বাভাবিক নয় এবং তা সর্বোচ্চ সহনশীল সীমার অনেক নিচে। খামার এবং বাজারে প্রায় ব্রয়লার মাংসের চেয়ে সুপারশপের ব্রয়লার মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক এবং হেভি মেটাল এর পরিমাণ কম রয়েছে।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, পোল্ট্রি খাতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। একটা সময় গ্রামে নিজস্ব আঙ্গিনায় হাঁস মুরগি পালন করা হতো। এখন এটা শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের আমিষের একটা বড় চাহিদা মিটায় এ খাত। ফলে নিজ উদ্যোগে অনেকেই এখাতে এসেছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। তবে কিছু ভুল ভ্রান্তিমুলক তথ্যের কারণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এজন্য আমরা একটি গবেষণা পরিচালনা করেছি। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পোল্ট্রি খাত বড় ভূমিকা পালন করছে। তাই আমরা চেষ্টা করছি পোল্ট্রি খাতকে আরও আধুনিক করা এবং এখাতের বিকাশকে সরকারি পৃষ্টপোষকতা দিতে। এ লক্ষ্যে পোল্ট্রি খাদ্য আমদানিতে শুল্কে রেয়াত দিতে এনবিআরকে অনুরোধ করেছি। পোল্ট্রি খাতকে সামনে নিয়ে একটি কল্যাণকর মঙ্গলকর অধ্যায় রচনার জন্য কাজ করছি জাতির জন্য।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, ব্রয়লার মুরগির মাংসে,হাড়ে ও কম্পোজিটে মূলত দুইটি অ্যান্টিবায়োটিক (অক্সিটেট্রাসিইক্লিন ও ডক্সিসাইক্লিন) এবং তিনটি হেভি মেটালের (আর্সেনিক,ক্রোমিয়াম ও লেড) সামান্য উপস্থিতি রয়েছে, যা অস্বাভাবিক নয় এবং তা সর্বোচ্চ সহনশীল সীমার অনেক নিচে। খামার এবং বাজারে প্রায় ব্রয়লার মাংসের চেয়ে সুপারশপের ব্রয়লার মাংসে এন্টিবায়োটিক এবং হেভি মেটাল এর পরিমাণ কম রয়েছে।এসময় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশীদ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্তকর্তা ও প্রধান গবেষক ড. রফিকুল ইসলাম, বিআরসির প্রাক্তন সদস্য পরিচালক ড. মনিরুল ইসলাম এবং গবেষণা টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
খামারিরা বিপদে, খুলনায় ১০ লাখ মুরগি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত
খুলনায় বার্ড ফ্লু, অবরোধ ও করোনার লোকসান কাটিয়ে উঠতে না উঠতে রাণীক্ষেত নামক ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে লাখ লাখ মুরগি।
সরকারি প্রাণি সম্পদ কেন্দ্রে মাঝে মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে তবে বেশিরভাগ বাইরে থেকেই কিনতে হচ্ছে। এতে করে খুলনাঞ্চলের মুরগীর খামারিরা বিপদেই পড়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, খোলা বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনে খামারে ভাইরাস মুক্ত করতে যেয়ে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাছাড়া গামবোরা, ফাউল পক্স নামক ভাইরাস সালমোনেলা ও ফাউল কলেরা নামক ব্যাকটেরিয়াতেও মুরগি মারা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আমনে পোকা, দুশ্চিন্তায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা
আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় নয় লাখ ৯৬ হাজার ৯৫৯ টি মুরগি রাণীক্ষেত নামক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এই সময়ের মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৯ হাজার ২৬৬ মুরগি মারা গেছে। জেলাগুলো হচ্ছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, চুয়াডঙ্গা ও মেহেরপুর। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মাগুরা জেলায়। মৃত্যুর দিক থেকে নড়াইল শীর্ষে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশি, লেয়ার ও ব্রয়লার জাতের মুরগি রাণীক্ষেত ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। গামবোরা ভাইরাসও মারাত্মক। রাণীক্ষেত নামক ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি প্রাণি সম্পদ কেন্দ্র থেকে বিসিআরডি নামক ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। সরকারি কেন্দ্রে মাঝেমধ্যে সংকট দেখা দিলে খোলা বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হয়।
আরও পড়ুন: বেশি লাভে আখ চাষে ঝুঁকেছেন মাগুরার কৃষকরা
খুলনার রূপসা উপজেলার জয়পুর গ্রামের খামারি মো. তারেক আল মামুন বলেন, গত এক মাসের ব্যবধানে এক এম্পোল ভ্যাকসিনের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা হয়েছে। গত ১৫ দিন আগে ভ্যাকসিন দেয়ার পরও ৬০টি মুরগি মারা গেছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। ত
তার অভিযোগ, উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে ভ্যাকসিন বা পরামর্শ কোনটাই পান না। ফলে ভাইরাস প্রতিরোধ করতে গিয়ে খোলা বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে ।
একই গ্রামের খামারি ফারুক হোসেন জানান, তার খামারে মুরগি রাণীক্ষেত নামক ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা খরচ বাবদ অতিরিক্ত আট হাজার টাকা ব্যয় হয়।
আরও পড়ুন: ৩০ বছর আগে লাগানো ছাদবাগানে ফুটেছে অপরূপ নাইট কুইন
জানা গেছে, খুলনাঞ্চলে এক কোটি ৬৩ লাখ দেশি, ৬০ লাখ লেয়ার ও ১৩ লাখ ব্রয়লার মুরগি লালন পালন হয়।
বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. সুখেন্দু শেখর গায়েন বলেন, এ অঞ্চলের ৫৯টি প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। এক থেকে ২১ দিন বয়সী মুরগির জন্য বিসিআরডি ও তার ওপর বয়সী মুরগির আরডি ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। সরকারি প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ভ্যাকসিনেটরাও ভ্যাকসিন দিচ্ছে। মাঝেমধ্যে ভ্যাকসিনের সংকট হচ্ছে।
৩ বছর আগে
পোল্ট্রি শিল্পে করোনার ভয়াবহ প্রভাব, কোটি কোটি টাকা ক্ষতি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে কয়েক কোটি টাকা লোকসানে পড়েছেন যশোর অঞ্চলের হ্যাচারি মালিকরা। স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় প্রতিদিন উৎপাদিত হওয়া প্রায় দুই লাখ পোলট্রি মুরগির বাচ্চা হ্যাচারি থেকে খামারে স্থানান্তরিত না হওয়ায় মারা পড়ে ব্যবসায়ীদের এ ক্ষতি হচ্ছে।
৪ বছর আগে